৩ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৫০

টিকটকের ফাঁদে ভারতে নারী পাচারের ভয়ঙ্কর তথ্য পুলিশের কাছে

আট বছরে মানব পাচারের ৬ হাজার অভিযোগ

ভারতের বেঙ্গালুরে বাংলদেশি এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে লোমহর্ষক যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বেরিয়ে আসতে শুরু করে নারী পাচার ও যৌন নির্যাতনের তথ্য। এক নারীকে নির্যাতনের পর আরও এক বাংলাদেশি তরুণীকে একই কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই তরুণী চক্রের হাত থেকে পালিয়ে দেশে আসে। এরমধ্যে সেখানে পুলিশের গুলীতে পাচারকারী তিনজন আহত হয়েছে। নড়েচড়ে বসে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র‌্যাব ও পুলিশ অভিযানে নামে। গ্রেফতার করা হয়েছে ভিডিও শেয়ারিংয়ের অ্যাপ টিকটকের মাধ্যমে ভারতে নারী পাচারকারীচক্রের হোতা ‘বস রাফি’সহ কয়েক জনকে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে পুলিশ। এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে র‌্যাব যে তথ্য পেয়েছে তা রীতিমত আঁতকে ওঠার মতো। এরমধ্যে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রাফি জানিয়েছে-৮ বছরে ৫০০ নারীকে ভারতে পাচার করেছে এই সে। তবে টিকটকের আড়ালে এতদিন যে এভাবে নারী-পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হতো তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে ছিল না। ভারতে নির্যাতনের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর দেশের র‌্যাব-গোয়েন্দাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে অভিযানে নেমেছে। রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে টিকটকের ৯ জনকে আটক করা হয়ছে। সেখানে টিকটক নেটওয়ার্কে জড়িত ৫০০ তরুণ-তরুণীর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

পাচারের শিকার নারীদের নিয়ে কাজ করে থাকে বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। সংস্থাটি জানায়, ঢাকার পুলিশ সদর দফতরের মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত মনিটরিং সেলের তথ্য অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আট বছরে ছয় হাজারের মতো মানবপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছেন ১০ হাজার নাগরিক। এর মধ্যে ১১ শতাংশ শিশু ও ২১ শতাংশ নারী। ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জানা গেছে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার নারী ও শিশুকে ভারতে পাচার করা হয় পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার দরিদ্র শিশু, কিশোরী ও নারীরা এর শিকার বেশি জন। কুমিল্লা, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহের মতো প্রায় ৩০টি জেলা ভারতের সীমান্তবর্তী। এসব এলাকা থেকেই পাচার বেশি ঘটে থাকে।

এদিকে ভারতে পাচার হওয়ার ৭৭ দিন পর কৌশল দেশে ফেরা এক কিশোরী মঙ্গলবার ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছে। ওই মামলায় সাতক্ষীরা থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, এই চক্রের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার নারী পাচারের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি ভারতে গ্রেপ্তার মগবাজারের ‘টিকটক’ হৃদয় বাবু এই চক্রের সমন্বয়ক। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানিয়েছেন, ভারতফেরত পাচার ওই কিশোরী নিজের উপর নির্যাতনের করুন কাহিনী পুলিশকে শুনিয়েছেন । মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে তার দায়ের করা মামলায় ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পাচারের শিকার কিশোরীর সাথে ২০১৯ সালে হাতিরঝিলে মধুবাগ ব্রীজে টিক টক হৃদয় বাবুর পরিচয় হয়। কখনো টিকটক স্টার বানাতে চেয়ে বা ভালো বেতনের চাকরির অফার দিয়ে কিশোরীকে প্রলুদ্ধ করার চেষ্টা করে হৃদয় বাবু। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জের এডভেঞ্চার ল্যান্ড পার্কে ৭০-৮০ জনকে নিয়ে ‘টিকটক হ্যাংআউট’ এবং ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের আফরিন গার্ডেন রিসোর্টে ৭০০-৮০০ জন তরুণ-তরুণীকে নিয়ে পুল পার্টির আয়োজন করে হৃদয় বাবু। এবছর ১৯ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় বাউল লালন শাহ মাজারে আয়োজিত টিকটিক হ্যাংআউটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় এই মানব পাচারকারীর চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় কৌশলে ওই কিশোরীকে ভারতে পাচার করে হৃদয় বাবু। পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পরার পর থেকে পালিয়ে দেশে ফেরা পর্যন্ত তার অপর লোমহর্ষক নির্যাতন চালানো হয়। তেজগাঁও বিভাগের ডিসি শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ভারতে পাচারের পর কিশোরীটিকে ব্যাঙ্গালুরুর আনন্দপুর এলাকায় পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বাসায় রাখা হয়। বাসাগুলোতে হাতিরঝিল এলাকার আরো কয়েকজন তরুণী ও কিশোরীর সঙ্গে দেখা হয় ওই কিশোরীর। এদের মধ্যে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওর নির্যাতিত তরুণীও ছিলেন, যাদের সুপার মার্কেট, সুপার শপ বা বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করা হয় বলে তিনি জানান।

বঙ্গালুরুতে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। শারীরিক নির্যাতনের সময় ২২ বছরের ওই তরুণীকে দল বেঁধে ধর্ষণও করা হয় বলে এনডিটিভি জানায়। ওই ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে টিকটক হৃদয় বাবুসহ দুজন পালানোর সময় গুলীবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মানবপাচারের এই চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে সম্প্রতি ঝিনাইদহ সদর, যশোরের অভয়নগর ও বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

ডিসি শহীদুল্লাহ বলেন, ব্যাঙ্গালুরুতে পৌঁছার কয়েকদিন পরই ভিকটিম কিশোরীকে চেন্নাইয়ের একটি হোটেলে ১০ দিনের জন্য পাঠানো হয়। ওই হোটেলে রেখে তার উপর অমানবিক শারীরিক ও বিকৃত যৌন নির্যাতন চালানো হয়। কৌশলে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কিংবা জোরপূর্বক বিবস্ত্র ভিডিওধারণ করে পরিবারের সদস্য পরিচিতদের তা পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে রাখা হয়। পালিয়ে দেশে ফেরা ওই কিশোরীর করা মামলার এজহারে ও তদন্তে উঠে এসেছে রোমহর্ষক বর্ণনা। মামলায় এজাহারনামীয় ১২ আসামির মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি, ৭ জন ভারতীয়। ৫ বাংলাদেশির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলাদেশি তরুণী যৌন নির্যাতনের ভিডিও আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নিয়ে দুই দেশেই বেশ আলোচনা চলছে। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের তথ্য বেরিয়ে আসে। এই চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল মণ্ডল ওরফে বস রাফিসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব দাবি করছে, আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফি (৩০) গত আট বছরে ৫০০ নারীকে ভারতে পাচার করেছেন। ওই ৫০০ নারীকে যৌন কাজ করতে বাধ্য করা হয়। মানবপাচারকারী এ চক্রের সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত। তিনি বলেন, গ্রেফতার বস রাফির শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। আট বছর আগে থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে তার যাতায়াত শুরু। প্রথমে সেখানে ট্যাক্সি ড্রাইভার ও পরে হোটেলে রিসোর্ট কর্মচারী এবং কাপড়ের ব্যবসা করতেন। এছাড়াও গত দুই বছর আগে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে বস রাফির পরিচয় হয়। এরপর টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণীকে ভারতে পাচার করেন তিনি। ভারতে যে বাংলাদেশি তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে এতে টিকটক হৃদয়ের সম্পৃক্ত পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নারী পাচার চক্রের মূল বিষয় তুলে ধরে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ওই ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা ২৭ মে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় টিকটিক হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ৩১ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা ও র‌্যাব-৩-এর অভিযানে ঝিনাইদহ সদর, যশোরের অভয়নগর ও বেনাপোল থেকে আশরাফুল ইসলাম ওরফে বসসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করতেন তারা।

আর এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন বয়সের নারী ও তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন টিকটক হৃদয়। এই গ্রুপে যেসব তরুণী ছিলেন, তাদের মডেল বানানোসহ ও বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করতেন। পরবর্তীতে ভারতে বিভিন্ন সুপার শপ ও বিউটি পার্লারে চাকরি দেয়ার কথা বলে বস রাফির সহযোগিতায় এসব তরুণীদের বিদেশে পাচার করতেন। ভারতে তাদের পাচারের পর প্রথমে একটি সেফ হাউজে নেয়া হতো। র‌্যাব জানায়, সেফ হাউজে তাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এবং জোর করে মাদক সেবন করতে বাধ্য করানো হতো। মাদক সেবনের পর তাদের জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করা হতো। যাতে তাদের পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করা যায়।
গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, ভিকটিমদের বৈধ বা অবৈধ উভয় পথেই সীমান্ত অতিক্রম করানো হতো। তারা কয়েকটি ধাপে পাচারের কাজটি সম্পূর্ণ করতেন। প্রথমত ভিকটিমদের তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সীমান্তবর্তী জেলা- যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ নিয়ে আসতেন। এরপর ভিকটিমদের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন সেফ হাউজে নিয়ে অবস্থান করানো হতো। সেখান থেকে সুবিধাজনক সময়ে লাইনম্যানের মাধ্যমে অরক্ষিত এলাকা দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করান হতো। এরপর ভারতের এজেন্টরা তাদেরকে গ্রহণ করতো। র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সুবিধাজনক সময়ে কলকাতার সেফ হাউজে নারীদের প্রেরণ করা হতো। এর পরের ধাপে কলকাতা থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বেঙ্গালুরু পাঠানো হতো। বেঙ্গালুরু পৌঁছানোর পর গ্রেফতার বস রাফি তাদের গ্রহণ করে বিভিন্ন সেফ হাউজে অবস্থান করাত। পরে ব্ল্যাকমেইল ও মাদকাসক্তে অভ্যস্তকরণ এবং নির্যাতনের মাধ্যমে যৌন পেশায় বাধ্য করানো হতো। সেফ হাউজগুলো থেকে তরুণীদের কাছে ১০-১৫ দিনের জন্য বিভিন্ন খদ্দেরদের সরবরাহ করা হতো। এক্ষেত্রে পরিবহন ও খদ্দেরের নির্ধারিত স্থানে অবস্থানের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হতো। ভারতের এজেন্ট প্রত্যেক খদ্দের প্রতি তরুণীদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কমিশন দিত।

অন্যদিকে টিকটকের মডেল বানানো ও ভারতে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে নারী পাচারকারীচক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল ইসলাম ওরফে বস রাফিসহ চারজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে ভারতের গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বেঙ্গালুরে বাংলাদেশি তরুণীকে বর্বর নির্যাতন ও যৌন হয়রানির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পুলিশের গুলীতে আহত হয়েছেন। এসময় তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ছুরির আঘাতে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। স্থানীয় সময় গতকাল সকাল পৌনে ৭টার দিকে আভালাহাল্লি এলাকার রামপুরা লেকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের নাম সবুজ। ৩০ বছর বয়সী এ যুবকের পায়ে গুলী লেগেছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

https://dailysangram.com/post/454302