১ জুন ২০২১, মঙ্গলবার, ১:১৭

আসছে বাজেট

আগেই বেড়ে আছে নিত্যপণ্যের দাম

বাজেট পদক্ষেপে কমতে পারে এমন বেশ কিছু পণ্যের দাম উল্টো বাড়ছে। আর বাড়তে পারে এমন পণ্য ও সেবার খরচ আগে থেকেই বাড়তি। ফলে নতুন করে বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। তার পরও খরচ বাড়লে দামও বাড়ার শঙ্কা দোকানি ও ভোক্তাদের। আবার নতুন বাজেটে কমতে পারে—এমন খবরে এরই মধ্যে দু-একটি পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।

রাজস্ব বোর্ডের সূত্রগুলো বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা থাকছে আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) জাতীয় বাজেটে। দেশে উত্পাদিত এবং বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ পণ্যের দাম নাগালে রাখতে দেশি শিল্পে ব্যাপক হারে রাজস্বছাড় দেওয়া হচ্ছে। শুল্কছাড় পাচ্ছে কৃষিযন্ত্র ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা পণ্য। এতে ওই সব পণ্যের দাম কমতে পারে।

তবে আগের মতোই আসছে বাজেটেও বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাতীয় পণ্যের ওপর বাড়তি করের ঘোষণা আসছে। অন্যদিকে দেশে কম্পিউটারসহ কিছু পণ্যের উত্পাদন উৎসাহিত করতে সেসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। পরের দিন ৩ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট সংসদে উপস্থাপনের কথা রয়েছে।

সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে যেসব খাতে শুল্ককর ও ভ্যাট অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে সেসব খাতের পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, চিনি, লবণ, দেশে তৈরি পেস্ট, পাউরুটি, সাবান, বোতলজাত পানি, ফলের জুস, গরুর দুধ, মসলা, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও খেলনার দাম বাড়বে না। দেশি বুটিক ও ফ্যাশন হাউসের পণ্যের দামও বাড়বে না। তবে সমজাতীয় আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করায় দাম বাড়বে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগের দাম এরই মধ্যে বেড়েই আছে। দাম বাড়ার এই চিত্র উঠে এসেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্যতালিকায়ও। টিসিবির গতকাল সোমবারের মূল্যতালিকায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এরই মধ্যে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ছয় টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে সরু চালে তিন টাকা, মাঝারি মানের চালে চার থেকে ছয় টাকা এবং মোটা চালে এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে কেজিতে। এ ছাড়া ডালে বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা, তেলে বেড়েছে লিটারে ৯ টাকা এবং চিনিতে বেড়েছে এক থেকে দুই টাকা। দেশে গরুর দুধের দাম লিটারে পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে আগেই।

তবে আসছে বাজেটে মাছ ও মাংসের দাম কমবে বলে জানা গেছে। আর এই খবরে এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে ফার্মের মুরগির দাম। খামার পর্যায়ে এরই মধ্যে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। শনিবার ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গতকাল খামারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়।

উচ্চ হারে ভ্যাট বহাল থাকায় আগামী অর্থবছরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহনে যাতায়াতে খরচ, গাড়ির নিবন্ধন খরচ, ফিটনেস ফি, ঠিকাদারি ফি, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর ব্যয় বেশি থাকবে। করোনার কারণে এরই মধ্যে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিয়ে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

https://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2021/06/01/1038690