৩১ মে ২০২১, সোমবার, ১২:৫৬

রাজধানীতে তীব্র যানজট

সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। তবে রাজধানীর রাজপথ দেখে তা বুঝার কোন উপায় নেই। স্বাভাবিক সময়ের সেই চিরচেনা রূপে যেন আবার ফিরেছে ঢাকা। গতকাল সকাল থেকে সড়কে ছিল তীব্র যানজট। সকাল পেরিয়ে দুপুর, এমনকি সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজটের সেই পুরানো চিত্র ঢাকার বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে। ট্রাফিক সিগন্যালে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অসহ্য গরমে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সিগন্যালে, যানজটে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীরাও চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।

গতকাল রাজধানীর শ্যামলি, আসাদগেট, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, মগবাজার, মৌচাক, রামপুরা, মতিঝিল, গুলিস্তান, যাত্রবাড়ি সব এলাকায় বাস, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং রিকশা ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতো। তাই প্রায় প্রতিটি রাস্তায়ই ছিল তীব্র যানজট। বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন আবুল হাসেম। তিনি বলেন, মিরপুর থেকে থেকে পল্টন অফিসে আসতে ১ ঘন্টারও বেশি সময় লেগেছে। কারওয়ান বাজার হয়ে আসতে তাকে সিগনালে পড়তে হয়েছে তিনবার। যানজটের কারণে কারওয়ান বাজারের মোড় পার হতে আরও দুবার সিগনালে পড়তে হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাড়িতে ছিল অস্বাভাবিক যানজট। ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রাবাড়ি মোড়ে যানজটে আটকা থেকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার সড়কগুলোতেও ছিল তীব্র যানজট। বিধিনিষেধে এতদিন বাস চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন পর বাস চলাচল আবার শুরু হয়েছে। তারপরও ঢাকার প্রায় সব সড়কেই ছিল প্রচুর রিকশা। নাজিরাবাজার, বংশাল, চকবাজার, চিত্তরঞ্জন এভিনিউ, তাঁতীবাজার মোড়, নবাবপুর রোড, জনসন রোড, ইংলিশ রোড, সূত্রাপুর বাজার রোড, ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে রিকশা চলাচল বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি।

এছাড়াও রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, মগবাজার এসব জায়গার রাস্তায় সিটি সার্ভিস বিভিন্ন বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, রিকশা, ঠেলাগাড়ির ছিল দীর্ঘ লাইন। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের চলাচলও ছিল অনেক বেশি।

সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা বাড্ডা আবুল হোটেল ও কাকরাইল এলাকা যানজটে পরিপূর্ণ ছিল। এছাড়া রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, বিজয় সরণী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহাখালী ও বাড্ডা এলাকায় সড়কেও ছিল তীব্র যানজট। রাজধানীতে বেশিরভাগ ট্রাফিক সিগন্যালে ছিল গাড়ির দীর্ঘ সারি। এসব সিগন্যালে দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

https://www.dailyinqilab.com/article/385495