২৯ মে ২০২১, শনিবার, ৩:১৯

করোনা মহামারিতে অসহায় পথশিশুরা যাবে কোথায়

পথশিশুদের কেউ ফুল বেচে, কেউ বেলুন বেচে চলত এতদিন। লকডাউনে তাদের খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। আশপাশে কোনো গাড়ি থামলেই শিশুরা ছুটে আসছে ত্রাণ বা সাহায্যের আশায়। ঢাকায় এমন হাজারো শিশুর ঠাঁই রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, স্টেডিয়ামগুলোর আশপাশে। আর্থ-সামাজিক নানা টানাপড়েনে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এই শিশুদের পরিচয় পথশিশু। কিন্তু করোনা এই মহামারিতে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় না পাওয়ার অভিযোগ করে অনেক পথশিশু। পথশিশু পুনর্বাসনে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার কোনো হিসাব নেই পুনর্বাসন কেন্দ্রের কারোর কাছে। সরকারের বরাদ্দ থাকলেও এসব প্রকল্পের সুবিধা ঠিকভাবে পাচ্ছে না ছিন্নমূল শিশুরা। দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকার কর্তৃক পরিচালিত ৬টি সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রের অনুমোদিত আসন সংখ্যা ১ হাজার ৯০০। কেবল রাজধানী ঢাকা শহরেই নয় অন্যান্য শহরগুলোতেও ছিন্নমূল ভাসমান অসহায় জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ভবঘুরেদের বিচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সময়ের প্রয়োজনে চাহিদার নিরীক্ষে উক্ত কর্মসূচিকে আরো বেগবান ও সময়োপযোগী করে তুলতে প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। মূলত জবাবদিহি ও তদারকির অভাবেই এ ধরনের কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়মে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগে অনিয়ম রোধ করা না গেলে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য অধরা থেকে যাবে। এদিকে ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। এরপর নতুন করে কোনো গবেষণা না থাকলেও মহামারিতে এর সংখ্যা আরও বাড়ছে বলে আশঙ্কা গবেষকদের। প্রতি বছরই এসব শিশুদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে এনে সুস্থ সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে সরকারের বাজেটে থাকে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প। তবে এসব প্রকল্পে কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে তা বোঝা যায় পথে এসব শিশুদের চিত্র দেখেই।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, মহিলা ও শিশু কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসন (সেফহোম) আইন: শিশু আইন, ১৯৭৪ বা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ বা অন্য কোন আইনের সংস্পর্শে আসা আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার জন্য অপেক্ষমান অভিভাবকহীন/নিরাপত্তাহীন নারী, শিশু ও কিশোরীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে নিরাপদ আবাসিক সুবিধাসহ ভরনপোষন, শিক্ষা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন ও পুনর্বাসন সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ৬ বিভাগে ৬টি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিচারাধীন অবস্থায় মহিলা ও কিশোরীদেরকে জেলখানার পরিবেশ থেকে মুক্ত করে সুন্দর পরিবেশে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্তসহ নিরাপদ অবস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করাই হচ্ছে এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য।

কয়েক বছর আগের ঘটনা, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মাত্র ১২ বছর বয়সি মেয়েটাকে উদ্ধারের পর চিকিৎসক জানান, সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মায়ের বয়স এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় পেটের সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানো ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। তারপর অপেক্ষা। অবশেষে এই শিশুটি আরেকটি শিশুকে জন্ম দেয়। এ ঘটনাটি ঘটে প্রায় চার বছর আগে। সেই মা বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। আর মা ও সন্তান বড় হচ্ছে অন্য শিশুদের সঙ্গে। ঢাকার বছিলায় ‘লিডো পিস হোম'-এ দেখা মেলে এই মা ও ছেলের। এই কিশোরী মা পথশিশু, বিশেষ করে মেয়েশিশুদের পরিণতির একটি উদাহরণ মাত্র। হোমে থাকার কারণে তার ছেলে পথশিশু পদবি পায়নি। কিন্তু ধর্ষণের শিকার এই কিশোরী পথে থাকলে মা হতে গিয়ে হয় মারা যেত, নয়তো ছেলে নিয়ে পথেই জীবন পার করত।

কিশোরীটির কপাল ভালো, সে বাংলাদেশের লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো)-র উদ্ধারকারী দলের চোখে পড়ে। কিন্তু লাখ লাখ পথশিশু সরকার এবং বেসরকারি সংগঠনের নজরের বাইরেই রয়ে গেছে। কত শিশু নজরের বাইরে তার সঠিক পরিসংখ্যানও সরকারের কাছে নেই। বহু আগের পরিসংখ্যানের সঙ্গে যোগ-বিয়োগ করে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, দেশে পথশিশুর সংখ্যা ২০ লাখ বা তারও বেশি।

জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ বলছে, যেসব শিশুর জন্য রাস্তা বসবাসের স্থান অথবা জীবিকার উপায় হয়ে গেছে, তাদের পথশিশু বলা হয়। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি পথশিশুদের তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। এই শিশুরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পথে একাএকা বসবাস করতে পারে। পথে কর্মরত শিশু বা যেসব শিশু জীবিকার জন্য তাদের দিনের বেশির ভাগ সময়ই রাস্তায় ব্যয় করে, তারাও পথশিশু। রাস্তায় বসবাসরত পরিবারের শিশু বা যেসব শিশু তাদের পরিবারের সঙ্গে রাস্তায় বসবাস করে, তারাও পথশিশু।

এই পথশিশুদের নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, দাতাগোষ্ঠী এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বেসরকারি সংগঠন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে। তবে এই শিশুদের পুনর্বাসনে পূর্ণাঙ্গ কোনো কার্যক্রম নেয়া হয়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পথ থেকে এই শিশুদের ঠিকানা পাল্টানোর নির্দেশ দেন। তারপর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তৎপর হয়েছে। কোনো শিশু পথে থাকবে না, তা জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জন্য দুটি কমিটি গঠন করে মাঠে নামে পথশিশুদের পুনর্বাসনে। কমলাপুর এবং কারওয়ানবাজারে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু করে।

বাবা মারা যাওয়ার পর আট বছর বয়সী তারেকের দিন কাটে পথে পথে। চেষ্টা একটাই, বেঁচে থাকার জন্য দু’বেলা খাবার জোগাড় করা। গরম কাপড়ের চাহিদা তার জন্য নিছক বিলাসিতা। কমলাপুরের এই প্ল্যাটফর্মে এমন অনেক শিশু খুঁজে পাওয়া যাবে, যাদের প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত কাটে চরম দুর্দশায়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়তে সরকারি বিভিন্ন দফতরের রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রকল্প। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরেই রয়েছে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র। পথশিশুদের অভিযোগ, সেখানে গেলে ঢুকতে দেয়া হয় না তাদের। তার প্রমাণ মিলল মাঠ পরিদর্শন করতে আসা এক কর্মীর সঙ্গে পথশিশুদের বাকবিতণ্ডা দেখেই। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, শিশুদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন খরচে হচ্ছে অনিয়ম-দুর্নীতি। প্রতিদিন শিশুদের দুপুরের খাবার খরচ বাবদ সরকারি বরাদ্দ ১৩০ টাকা। তবে কত টাকা খরচ করা হয় সেই হিসাব জানতে চাইলে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।

এই বিষয়ে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ডা. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলছেন, সঠিক মনিটরিংয়ের অভাবেই এসব কার্যক্রমের অর্থ পৌঁছাচ্ছে না সুবিধাবঞ্চিতদের কাছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে সরকারি দুর্নীতি প্রতিরোধের পরামর্শ তার।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সরকারের বরাদ্দ থাকলেও প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন ও দেখভালের অভাবে এসব শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ ও শিশুশ্রমে; যা সমাজের জন্য অশনিসংকেত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, পথশিশুরা পথে থাকলে আমরা তিনটা এসডিজি সরাসরি ফেল করব। সরকারের ভিশন পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে এবং ১০ বছর পর এই শিশুরাই দেশের বোঝা হবে, তারা বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িয়ে পড়বে। এসব প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা আর সেটাই যদি আমরা না পারি তাহলে অর্থনৈতিকভাবেও আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হব।

সেবা প্রদানের পদ্ধতির সম্পর্কে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় সূত্রে জানাযায়, বিচারাধীন মহিলা ও নারী শিশু যাদেরকে আদালত হতে সেফ হোমে নিরাপদ হেফাজতে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন তাদের ভরণ পোষণসহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সেফহোমে অবস্থানকালীন তাদেরকে সুরক্ষা, যত্ন-পরিচর্যা, ভরণ-পোষণ, শিক্ষা , চিকিৎসা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কাউন্সিলিংসহ বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে মূল স্রোতধারায় পুনঃএকত্রিকরণ বা পুনর্বাসন করা হয়। সূত্রে আরও জানাযায়, স্বাধীনতা লাভের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি ও ভবঘুরেদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় ১৯৭৭ সনে ঢাকার মিরপুর, মানিকগঞ্জের বেতিলা, নারায়নগঞ্জের গোদনাইল এবং গাজীপুর জেলার কাশিমপুরে নতুন চারটি আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হয়।

বেসরকারি সংগঠন অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর সহায়তায় ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সালের মে মাস পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৬৫ জনকে ড্রপ ইন সেন্টারে সামাজিক সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১১টি জেলা শহরে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সুবিধা পাচ্ছে।

এদিকে পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে জরিপ: পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরুর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আট নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৫ সালের ২৭ থেকে ২৮ ডিসেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ভিত্তি জরিপ করা হয় পথশিশুদের পরিস্থিতি অনুধাবনের জন্য। কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকার মোট ৭০ জন পথশিশুর সংগৃহীত উপাত্তের মধ্যে ছেলে শিশুর সংখ্যাই বেশি ছিল। পথশিশুদের মধ্যে শতকরা ১৪ দশমিক ২৯ ভাগের শিশুর বয়স ছিল ০ থেকে ৫ বছর। শতকরা ৫২ দশিক ৮৫ ভাগ শিশুর বয়স ছিল ৬ থেকে ১০ বছর। শতকরা ৩২ দশমিক ৮৬ ভাগের বয়স ছিল ১১ থেকে অনূর্ধ্ব ১৮ বছর। এদের শতকরা ৭০ ভাগ শিশু রাতে রাস্তায় ঘুমায়।

জরিপ মতে, শতকরা প্রায় ৪৩ ভাগ শিশুই নিজেদের খাদ্য নিজেরা কাজের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। শতকরা ৬০ ভাগ শিশু মাদক গ্রহণ করে। ৭৭ ভাগের বেশি শিশুর স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই। প্রায় ৯ ভাগ শিশু যৌন হয়রানির শিকার। তবে প্রায় ৯২ ভাগ শিশুই যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেনি বা গোপন করেছে। পথে থাকতে গিয়ে শতকরা ৫৭ দশমিক ১৪ ভাগ শিশু পুলিশি বাধার শিকার হয়েছে।

পথশিশুদের নিয়ে আরো কিছু কার্যক্রমের কথা জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ২০১৪ সালের মার্চ মাস থেকে এনজিও বা বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে ১০টাকার বিনিময়ে শ্রমজীবী পথশিশুরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরেই জমানো টাকার পরিমাণ কমেছে ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে মাত্র ১২৩টি নতুন ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। পাঁচ হাজারের কম শ্রমজীবী পথশিশু এ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ উদ্যোগে ভাটা পড়া শুরু হয়েছে।

১৯৯৫ সাল থেকে পথশিশুদের পুনর্বাসনে কাজ করছে অপরাজেয় বাংলাদেশ। এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু বলেন, ছোট ছোট প্রকল্প দিয়ে পথশিশুদের পুনর্বাসন করা সম্ভব নয়। সরকারি বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের পাশাপাশি পথশিশুদের পুর্নবাসনের দায়িত্ব আসলে সরকারকেই নিতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত এখন পর্যন্ত উদ্যোগ খুবই সীমিত। দেশে শিশুদের নিয়ে কাজ করছে অনেক সংগঠন, কিন্তু শুধু পথশিশুদের নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা এনজিও বা সংগঠনের সংখ্যা ১০/১২টির পর আর নাম বলা সম্ভব হবে না। অথচ নানা কারণেই পথশিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই শিশুদের উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে রেখে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়, তা সবাই বুঝতে পারছে। আর পথশিশুদের পাশে থাকলে সুফল পাওয়া যায় তার প্রমাণও আছে। অপরাজেয় বাংলাদেশের শেল্টারহোমে থাকা পথশিশুরা বড় হয়ে বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। ওয়াহিদা বানুর ভাষায়, শুধু চিকিৎসক হতে পারেনি, এ ছাড়া প্রায় সব পেশাতেই আছেন তাঁরা।

https://dailysangram.com/post/453763