২৭ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:৪৮

ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ১৩ জুন পর্যন্ত বাড়ল ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ঢাবি শিক্ষার্থীদের ১ জুনের মধ্যে খোলার আল্টিমেটাম আজ সারা দেশে বিক্ষোভ ক্লাস না করিয়েই টাকা নিচ্ছে

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গতবছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দফায় দফায় এই ছুটি বৃদ্ধি হয়েছে দীর্ঘ ১৪ মাসেরও বেশি সময়। সর্বশেষ গতকাল বুধবার আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে ১২ জুন পর্যন্ত। মহামারি পরিস্থিতি খুব বেশি প্রতিকূল না হলে আগামী ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, আমাদের মূল পরিকল্পনা ১৩ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া। খুব বেশি প্রতিকূল পরিস্থিতি না থাকলে আমরা ১৩ জুন থেকেই খুলে দিতে চাই। এখন যে পরিস্থিতি আছে, সেটা দেখে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চাই। পরিস্থিতি যদি অনুকূলে না থাকে, তাহলে হয়তো ভিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। নতুন করে ছুটির এই ঘোষণার ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে তারা। শিক্ষামন্ত্রীর ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকই প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে তারা। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির কাছে স্মারকলিপি পেশ করবে।

শিক্ষামন্ত্রীর ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১ জুনের মধ্যে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছেন ফেসবুকভিত্তিক একটি গ্রুপে যুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে দাবি আদায়ে আজ রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগসহ সারা দেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানিয়েছে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ গ্রুপের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।

করোনার কারণে দীর্ঘ ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে এই ছুটির মধ্যে গতবছরের ক্লাসের পাশাপাশি সাময়িক, বার্ষিক পরীক্ষা, প্রাথমিক-ইবতেদায়ী সমাপনী, জেএসসি-জেডিসি, এইচএসসি-আলিম পরীক্ষার কোনটিই হয়নি। উচ্চমাধ্যমিকসহ সবকটি শ্রেণিতেই দেয়া হয়েছে অটো পাস। একই অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র সেশনজট। আবার যারা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাদের কেউ কেউ অনার্স শেষ না হওয়ায়, অনেকে একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির প্রত্যাশায় থেকে হতাশ হয়ে পড়ছেন। বন্ধের মধ্যে অনলাইনে পাঠদানের কথা বলা হলেও তা নাম মাত্র। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে অনলাইন ক্লাস ও পাঠদানের সংশ্লিষ্টতাও নেই। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্কুল-ক্লাস-পাঠ্য বইয়ের কথা ভুলতে বসেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, দেশে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী রয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ জন। আর মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী রয়েছে এক কোটি তিন লাখ ৪৯ হাজার ৩২৩ জন। এ ছাড়া প্রাক-প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে আরো প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন কোটির ওপরে।

অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছে ৮ লাখের মতো শিক্ষার্থী। প্রায় ১৩ মাস ধরেই এসব শিক্ষার্থী আছেন পড়াশোনার বাইরে।

যদিও চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় গত ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রণালয়। কিন্তু আবারও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২৩-২৪ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করা হয়। এর মধ্যে ২৩ মে পর্যন্ত স্কুল-কলেজ এবং ২৪ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়। পরে সেই ছুটি প্রথমে ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়, গতকালের ঘোষণার মাধ্যমে তা ১২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।

বন্ধই থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষামন্ত্রীর নতুন ঘোষণায় ১৩ জুন থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও বিশ্ববিদ্যালয় আপাতত খোলার কোন ইঙ্গিত দেননি তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত না করার আগে তা খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আবাসিক হলগুলোতে অনেক ভিড় আছে, আমরা সেটি দেখছি। টিকা দেয়ার ব্যাপারে আমরা তথ্যগুলো চেয়েছি ইউজিসির মাধ্যমে, কতজন টিকা পেয়েছেন। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই ৪০ বছরের নিচে। তাই আমরা ধরেই নিয়েছি তাদের অধিকাংশেরই টিকা দিতে হবে এবং কাজটি আমরা দ্রুত শুরু করতে পারব। প্রথম ডোজ দিলেই তো হবে না, দ্বিতীয় ডোজও দিতে হবে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের আরেকটু চিন্তা করতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সিদ্ধান্ত এই টিকার ওপর খানিকটা নির্ভর করবে বলে তিনি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করলেও বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছুটির সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করলাম। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বর্ধিত করার পেছনে তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাক্সিনের অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেছেন। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে কল-কারখানা, অফিস, শিল্পপ্রতিষ্ঠান; এমনকি গণপরিবহণ কোনো কিছুই থেমে থাকেনি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অপরদিকে, ভ্যাক্সিন নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী সরকারি নীতি-নির্ধারক ও তাদের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।

তারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী এই অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় নিজেই কয়েকবার ডিসকানেক্টেড হয়ে গিয়েছেন। সর্বোচ্চ সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে তাদের ইন্টারনেটের যদি এমন বেহাল দশা হয়, সেক্ষেত্রে কোনো বিবেচনায় তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধ্য করেন? আমরা শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছে এই প্রশ্ন রাখছি।

ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিসি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করবে। একই সাথে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব ভিসি বরাবর এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

ছুটির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১ জুনের মধ্যে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে আলটিমেটাম ঘোষণা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘অবিলম্বে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’ গ্রুপ। মন্ত্রীর নতুন করে ছুটি বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত বলে উল্লেখ করে গ্রুপের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, আগামী ১ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করবে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় শাহবাগে ১১টায় বিক্ষোভ-সমাবেশ ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। একই দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ। সমাবেশ থেকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ও জেলায় জেলায় শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সড়কের উপর প্রতীকী ক্লাস করেছে রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে ‘দুই একে তিন, দুই দুগুণে পাঁচ, আট দুগুণে সতের’- দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রতিবাদের অংশ হিসাবে রাজশাহী মহানগরীতে এক প্রতীকী ক্লাসে দুইয়ের নামতা এভাবেই ভুল করে পাঠ করেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে হওয়া চলমান আন্দোলনের অংশ হিসাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রতীকী এই ক্লাসে একজন শিক্ষার্থী দুই-এর নামতা পড়েন ও শিশুকালে স্কুলের মতো উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরও পড়ান। পরে মো. জাকারিয়া নামে একজন শিক্ষার্থী সেই নামতা রাবি অধ্যাপককে শোনান এবং দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রতিবাদ হিসেবে ভুল করে পড়েন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা হাত উঁচিয়ে প্রতীকী বাঁধা দেন।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ। জান্নাতুল সাবিরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে নির্ধারিত বিষয়বস্তু ‘সমসাময়িক বাংলাদেশ ও শিক্ষা পরিস্থিতি’ উপর ক্লাস নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ।

দ্রুতই কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আহ্বান জানিয়ে রাবি অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ বলেন, এভাবে দিনের পর দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা চরমভাবে বিষণ্নতায় ভুগছে। প্রতিনিয়ত তারা মানসিক পীড়ার মুখোমুখি হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। ফলে শিক্ষার আলো পেয়ে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে বলেও মনে করেন তিনি।

ক্লাস না করিয়ে টাকা নিচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস চালু চলমান রাখার নির্দেশনা আছে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের। যদিও এই অনলাইন ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ডিভাইস সঙ্কট, ইন্টারনেট সমস্যা তো রয়েছেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নর্থ সাথউ বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাতে গোনা দু’একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া প্রায় সবকটিই অনলাইন ক্লাসের নামে নামমাত্র ক্লাস করিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিমাসেই হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইন ক্লাসে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই অংশ নেয় না। একে তো ইন্টারনেটের সমস্যা। ক্লাসে প্রবেশ করতে করতেই ১০-১৫ মিনিট চলে যায়। আবার যা পড়ানো হয় তার কিছুই বোঝা যায় না। কিন্তু প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারের জন্য টাকা ঠিকই আদায় করা হচ্ছে। তিনি বলেন, টাকা দিয়ে এভাবে পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া শিক্ষার্থীদের কি লাভ হচ্ছে?

https://www.dailyinqilab.com/article/384546/