১৯ মে ২০২১, বুধবার, ৫:৪৬

৪ মাস পরও দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে

জাতীয় পরামর্শক কমিটি

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছে, চার মাস পরও করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া যাবে। কোনো কোনো দেশ প্রথম ডোজ নেয়ার ১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে জনগণকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার পরামর্শ কমিটির ৩৪তম সভায় অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ শহীদুল্লার সভাপতিত্বে এ সভায় আরো বলা হয়, বৈশ্বিক সঙ্কট এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা না পাওয়ার কারণে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক ও সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ও বিকল্প অনুসন্ধান করছে। স্বাস্থ্য বিভাগকে এ ব্যাপারে টিকার পরিস্থিতি ও সরকারের বিকল্প পরিকল্পনা জনগণকে অবহিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়। টিকার জন্য পরনির্ভরতা কমিয়ে দেশে উৎপাদনের জন্য দ্রুত সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তারা।

জাতীয় পরামর্শক কমিটি সরকার ৯টি পরামর্শ দিয়েছে তাদের ৩৪তম সভায়। কমিটি কলকারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে খুলতে পরামর্শ দিয়েছে যেন ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া মানুষ একই সময় ঢাকায় না আসেন।

সরকার আরো এক সপ্তাহের জন্য বিধিনিষেধ বাড়িয়েছেন। বিধিনিষেধ প্রয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কঠোর বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চত করা প্রয়োজন বলে সভা মনে করে।
৩৪তম সভায় ভারত থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। ১৪ দিন পর পিসিআর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেই কেবলমাত্র ছাড়পত্র দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। এ ছাড়া বর্ডার এলাকা দিয়ে অনানুষ্ঠানিক যাতায়াত কঠোরভাবে বন্ধ করার অনুরোধ করা হয়। ভারতে সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সাথে সীমান্তে চলাচল বন্ধ অব্যাহত রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়।

সভায় হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। কমিটি এসব পদক্ষেপের দ্রুত বাস্তবায়ন প্রত্যাশা করে। কমিটি মনে করে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করে পরনির্ভরতা কমানো প্রয়োজন। সব জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপনে সরকারের সিদ্ধান্তকেও কমিটি সমর্থন করেছে। এ ছাড়াও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও সিলিন্ডার পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহের প্রস্তাব করা হয়। অন্য দিকে সভায় বলা হয়, মারাত্মক রোগীর চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর ছাড়াও বাই প্যাপ, সি প্যাপ ও হাই ফ্লো অক্সিজেন ক্যানুলা সব জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সংযোগ করা প্রয়োজন। স্বল্পমূল্যে মেডিক্যাল গ্রেড অক্সিজেন সরবরাহের উদ্দেশ্যে বুয়েটের একটি গবেষকদলের প্রয়াসকে অভিনন্দিত করা হয়। কমিটি বলেছে, এই কার্যক্রমে সরকার পৃষ্ঠপোষকতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এটি দেশের জন্য আশাব্যঞ্জক খবর এবং এর সফল বাস্তবায়ন পরনির্ভরশীলতা কমাতে ভূমিকা রাখবে।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/582665/