১৯ মে ২০২১, বুধবার, ৫:৪১

বড় আকারের অর্থ গচ্চা দিলেও প্রকল্পের সুফল পায়নি জনগণ

প্রায় প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন প্রকল্প যুক্ত হলেও সেই তুলনায় পুরোনো প্রকল্প সমাপ্ত না হওয়ায় ভারী হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার। এ সমস্যা সমাধানে প্রায় প্রতি অর্থবছরই কিছু প্রকল্প সমাপ্তির জন্য নির্দেশনা দেয় সরকার। কখনো কঠোর নির্দেশনাও সরকার দিয়ে থাকে। তার পরও সেসব প্রকল্প সমাপ্ত করা হয় না। এতে উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়নের যে চ্যালেঞ্জ সিংহভাগ ক্ষেত্রেই তা মোকাবিলায় ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। ফলে বড় আকারের অর্থ গচ্চা দিয়েও প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনগণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে বা অপরিকল্পিত কোনো প্রকল্প একবার এডিপিতে ঢুকে গেলে বা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়ে গেলে, যতই নির্দেশনা দেয়া হোক না কেন তা বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন। তাই সমস্যার গোড়া চিহ্নিত করতে হবে। যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ও অপরিকল্পিত প্রকল্প এডিপিতে ঢুকে যাচ্ছে, তা বন্ধ করা না গেলে এর সমাধান হবে না। সরকার জানার পরও নানা কারণে তা বন্ধ করছে না।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার নতুন অর্থবছরে ১ হাজার ৫১৫টি প্রকল্পের জন্য দুই লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পাওয়া যাবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। বাকি টাকার ৮৮ হাজার ২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা আসবে বৈদেশীক উৎস থেকে আর স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশন থেকে পাওয়া যাবে ১১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। জাতীয় সংসদে এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নতুন অর্থবছরের (২০২১-২০২২) জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত এডিপি অনুমোদন করেছে এনইসি। তার মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং বিদেশী উৎস থেকে ৮৮ হাজার ২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার জোগান দেয়া হবে। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ১১ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার এডিপিও অনুমোদন করেছে এনইসি। তার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬ হাজার ৭১৭ কোটি ৪৮ লাখ এবং বিদেশী উৎস থেকে ৪ হাজার ৭৫১ কোটি ৪৭ লাখ টাকার জোগান দেয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৪২৬টি প্রকল্পের মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৩০৮টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৮টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৮৯টি প্রকল্পসহ মোট ১ হাজার ৫১৫টি প্রকল্পের অনুকূলে এডিপির এই বরাদ্দ প্রকল্প সমাপ্তির বিষয়ে সরকারের কড়া নির্দেশনাও কাজে আসছে না।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য মতে, গত ২ মার্চ ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) অনুমোদনের সময় অনুষ্ঠিত এনইসি সভার ৫.৩ নম্বর সিদ্ধান্তে ৪৪২টি প্রকল্প ২০২১ সালের জুনের মধ্যে আবশ্যিকভাবে সমাপ্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অথচ সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে ৪৪২টির মধ্যে ৫৭টি প্রকল্প ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেবল তাই নয়, এই ৫৭টির মধ্যে ১৫টি ২০১৯-২০ অর্থবছরেও সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ছিল। ২০২০-২১ অর্থবছরের এই ১৫ প্রকল্পসহ মোট ১৩৭টি প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এ বিষয়ে আইএমইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণে কোনো প্রকল্প সমাপ্ত করা সম্ভব না হলে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আগে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের পূর্বানুমোদন/সম্মতি গ্রহণ করতে হবে মর্মে এনইসি সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। আইএমইডির তথ্য বলছে, এডিপি প্রণয়নের নির্দেশনায় যেসব প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুনে শেষ হবে সেসব প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে (নির্দেশিকা অনুচ্ছেদ ৩.৪)। কিন্তু অনুমোদিত ডিপিপি/টিএপিপি অনুযায়ী, এই জুনে মেয়াদ শেষ হবে এমন ৬৭৮টি প্রকল্প ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।

অতীত অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে আইএমইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেয়াদ বৃদ্ধি যথাসময়ে না হওয়ায় অর্থবছরের প্রথম ৪-৫ মাস এসব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ করা অর্থছাড় ও ব্যয় করা সম্ভব হয় না। ফলে এডিপির বরাদ্দ ব্যবহার কমে এবং সামগ্রিকভাবে এডিপি বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বৃদ্ধি বা সংশোধনের সব কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন, যাতে নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ করা অর্থছাড় ও ব্যয় করা সম্ভব হয়। বাস্তবায়ন মেয়াদকাল বাড়ানো ছাড়া এসব প্রকল্পের বরাদ্দ করা অর্থছাড় ও ব্যয় করা যাবে না।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন জানান, সরকার নির্দেশনা দিলেও প্রকল্প সমাপ্তির ক্ষেত্রে তার ফল দেখা যায় না। প্রতি বছরই এরকম ঘটনা আমরা দেখি। অসমাপ্ত প্রকল্পের একটা লক্ষ্য থাকে যে, আগামী অর্থবছরে এতগুলো প্রকল্প শেষ করা হবে। এডিপি থেকে বেরিয়ে যাবে। প্রতি বছরই আবার শেষের দিকে দেখা যায় যে, এগুলো টার্গেটের অনেক পেছনে আছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখি প্রকল্প সমাপ্ত হয় নাই, তারপরও সমাপ্ত করে দেয়া হয়েছে। পরে আবার অন্যভাবে ওটা ম্যানেজ করা হয়। একই প্রক্রিয়া বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটে। যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্পটি এডিপিতে ঢুকে গিয়েছিল তা যদি বন্ধ করা না যায়, তাহলে এর সমাধান হবে না। তিনি জানান, এডিপিতে ঢোকার পরে দেখা যায়, প্রকল্পগুলো সুপরিকল্পিতভাবে ঢুকে নাই। বাস্তবায়নের জন্য এগুলো প্রস্তুত নয়। নকশায় ত্রুটি আছে বা নকশা পুরোপুরি চিন্তা করে ডিপিপি তৈরি হয় নাই। ডিপিপি তৈরি হয়েছে এটাকে পাস করানোর জন্য। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অর্থায়নেরও ব্যবস্থা করা হয় না। ভূমি অধিগ্রহণের সমস্যার সমাধান হয় না। কর্মকর্তা নিয়েও জটিলতা থাকে। কেনাকাটায় পরিকল্পনা নাই। দুর্নীতি তো প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আছে, এটা তো কমন। কাজেই প্রস্তুত প্রকল্পগুলো যদি এডিপিতে ঢোকানো বন্ধ করা না যায়, তাহলে সমস্যা প্রতি বছর থেকেই যাবে।

দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহেই এডিপিতে নতুন প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে। ফলে এখন প্রায় ১৭০০’র মতো প্রকল্প হয়েছে। মানে এডিপি খুব ভারি হয়ে যাচ্ছে। এমন না যে বড় বড় প্রকল্প নিয়ে এডিপির আকার বাড়াচ্ছি। প্রকল্পের সংখ্যা বাড়িয়ে এডিপির আকার বাড়াচ্ছি। এডিপিতে প্রবেশ ও বাতিলের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকতে হবে। সেই ভারসাম্য না থাকার কারণে এডিপি ভারি হয়ে যাচ্ছে। এটাই গোড়ার সমস্যা।

ড. জাহিদ জানান, প্রকল্প বাছাই করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক যে কাঠামো আছে, তা পুরোপুরি কাজ করছে না। ধাপগুলো হলো- প্রকল্প মন্ত্রণালয় তৈরি করবে, সচিব অনুমোদন করবেন, মন্ত্রী দেখবেন, তারপর এটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যাবে, পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা দেখবে, তারা এটাকে যাচাই-বাছাই করে দেখবে। মানে তৃতীয় পক্ষের মূল্যায়ন। তারপর তারা প্রশ্ন করবে, সেটা মন্ত্রণালয়ে ফিরে যাবে। মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রশ্নের উত্তর দেবে। সংশোধন করবে। আবার পরিকল্পনা কমিশনে আসবে। তারপর প্রস্তুত হলে এটা একনেকে যাবে। প্রকল্প দেখলেই বোঝা যায় এই প্রক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করছে না।

এদিকে আগামী অর্থবছরে (২০২১-২০২২) নতুন এডিপির বরাদ্দ মোট ১৫টি খাতে দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া ১০টি খাতের মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি (২৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ৪৫ কোটি ৮৬৮ কোটি (২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ), গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে প্রায় ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি (১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ), শিক্ষা খাতে প্রায় ২৩ হাজার ১৭৮ কোটি (১০ দশমিক ২৯ শতাংশ), স্বাস্থ্য খাতে প্রায় ১৭ হাজার ৩০৭ কোটি (৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ), স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে প্রায় ১৪ হাজার ২৭৪ কোটি (৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি খাতে প্রায় ৮ হাজার ৫২৬ কোটি (৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ), কৃষি খাতে প্রায় ৭ হাজার ৬৬৫ কোটি (৩ দশমিক ৪০ শতাংশ), শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে প্রায় ৪ হাজার ৬৩৮ কোটি (২ দশমিক ০৬ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে প্রায় ৩ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা (১ দশমিক ৫৯ শতাংশ)। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারা পাচ্ছে প্রায় ৩৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তারপর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রায় ২৮ হাজার ৪২ কোটি, বিদ্যুৎ বিভাগ প্রায় ২৫ হাজার ৩৪৯ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রায় ২০ হাজার ৬৩৪ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রায় ১৩ হাজার ৫৫৮ কোটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ প্রায় ১৩ হাজার কোটি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ প্রায় ১১ হাজার ৯২০ কোটি, সেতু বিভাগ প্রায় ৯ হাজার ৮১৩ কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় ৮ হাজার ২২ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রায় ৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।

এনইসি সভা সূত্র আরও জানিয়েছে, নতুন প্রকল্পের জন্য ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তার মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। বরাদ্দবিহীনভাবে অননুমোদিত নতুন ৫৯৬টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিদেশী ঋণ-অনুদান পাওয়ার সুবিধার্থে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন ১৪১টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পিপিপি প্রকল্প ৮৮টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্তির জন্য ৩৫৬টি প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ৫৭টি প্রকল্প ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও সভা সূত্র জানিয়েছে।

ড. জাহিদ হোসেন জানান, এডিপিতে প্রবেশ ও বাদ দেওয়ার সমস্যা সমাধানের যে সংস্কারগুলো দরকার, সেটা করার পর যদি বলা হয় যে, আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে তো এডিপিতে প্রকল্প এসে গেছে। ঠিক আছে, এগুলো এখন সমাপ্ত করার জন্য আমরা কী করতে পারি। হয় এগুলো অসমাপ্ত অবস্থায় প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া যেতে পারে অথবা নির্মাণ প্রকল্প যেমন সেতু, স্কুল, রাস্তাযেগুলো নির্মাণভিত্তিক কাজ, সেগুলো শেষ করা যেতে পারে। কারণ এগুলো করলে হয়তো অর্থনীতি উপকার পাবে। এছাড়া তো প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি-এ ধরনের সফট প্রকল্প থাকে। এগুলো শেষ না করে বাদ দিয়ে দিলেও খুব একটা প্রভাব পড়বে না। যাচাই-বাছাই করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

https://dailysangram.com/post/452764