১২ মে ২০২১, বুধবার, ২:৪৫

ঈদের পর করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা

যেভাবে চলাচল বেড়েছে ঈদের পরে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম। ঈদ উদযাপন করতে গিয়ে যেভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি পালন না করে বাড়ি যাচ্ছেন সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যে মানুষগুলো বাড়িতে গিয়েছেন তারা ঈদ শেষে আবার ঢাকায় আসবেন তখনো এমন অবস্থা হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আরো সাবধান না হলে ঈদের পর করোনার তৃতীয় ঢেউ আমাদের দেশে আঘাত করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানকার অবস্থা আমাদের এখানে হোক এটা আমরা কেউ চাই না। করোনার ভয়াবহতা রোধ করতে যে যেখানে আছেন তাদের সেখানেই থাকার অনুরোধ করেন মহাপরিচালক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস কবে যাবে, আমরা জানি না। তবে যত দিন ভাইরাসটি নির্মূল না হবে তত দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার কাছে আহবান জানান।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নিয়মিত প্রেসব্রিফিংয়ে আরেকটি ঢেউয়ের শঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। সাথে ছিলেন অধিদফতরের দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, সংক্রামক ব্যাধিটা অবাধে চলাফেরা করে আমরা যেন ঘরের মধ্যে না নিয়ে যাই। বাড়িতে যে আপনজনরা আছেন তাদের ব্যাপারে সবার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। তাদের যেন আমরা বাইরে থেকে জীবাণু নিয়ে গিয়ে আক্রান্ত না করি। তিনি বলেন, আমাদের করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা বেড়েছে, করোনার লক্ষণ দেখা দিলেই পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। করোনা পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের আইসোলেশনে থাকার আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার মূল্য কমানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নেই। ঘরে থাকলে জীবনে আরো ঈদ আসবে। অনেক উন্নত দেশও করোনার চাপ সহ্য করতে পারছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ আদায় এবং ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে হাত মিলাতে ও কোলাকুলি না করার আহ্বান জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাইকে কোয়ারেন্টিনের ব্যাপারে সহযোগিতা করারও আহবান জানান তিনি।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/581669/