৩ এপ্রিল ২০১৭, সোমবার, ১০:২৫

চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া.....

জিবলু রহমান : গুম ও অপহরণ সীমা অতিক্রম করেছে। দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে গুম আর অপহরণের ঘটনা। দেশে গুম, হত্যা আর বন্দুকযুদ্ধ যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কত মায়ের চোখে এখনো অনবরত ঝরছে জল তার ইয়ত্তা নেই। এ অবস্থা আর কতদিন? গণতান্ত্রিক দেশে এভাবে আর কত মায়ের বুক খালি হবে? এ নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও। কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র ও আইনজীবীসহ পাঁচজনের অপহরণের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে।

কুমিল্লার তনু, ত্বকী, মিতুর হত্যাকা-ের মতো ঘটনাগুলো রহস্যে আবৃত রয়ে গেছে। মানুষের মনে জন্মেছে, আইনের জন্যও অনেক স্থান, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি দুর্ভেদ্য। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হলো এতে জাতির বিবেক। সত্যবোধ ক্ষয় পেয়ে যাচ্ছে। সত্য ও মিথ্যাকে একাকার হতে দিলে, করা সম্ভব হলে সমাজে অপরাধ ঠেকানো মুশকিল, জঙ্গিবাদের প্রবণতার কাছেও তা দুর্বল থাকবে। আর বিবেক অস্বীকৃত হলে, বিবেককে অকার্যকর করে দিলে অর্থাৎ বিবেকের মৃত্যু ঘটলে, সেটি আর মানুষের সমাজ থাকে কি?

অপহরণের বহুমাত্রিক ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে দেশজুড়ে। একেকটি ঘটনা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে জনমনে। গত দু-আড়াই বছরে অপহরণের মামলাসংক্রান্ত পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য ওঠানামা নেই। তবে মামলার পরিসংখ্যানের বাইরে অপহরণের ঘটনা রয়েছে অনেক বেশি। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণের কৌশল ও অপহৃত ব্যক্তিদের পরিণতি অনেক পাল্টে গেছে। মুক্তিপণ বা সমঝোতায় মুক্তি মিলছে না অপহৃত ব্যক্তিদের। কারো লাশ মিলছে, আবার কেউ কেউ নিখোঁজই থেকে যাচ্ছেন। এখন অপহরণের শিকার বেশির ভাগ ব্যক্তির সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচিতি রয়েছে। আগে এ ধরনের ঘটনা ছিল নিতান্তই কম। আর এসব অপহরণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনার শিকার পরিবার দুষছে র্যা ব ও পুলিশকে। আইন-শৃুঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বারবার নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও কমছে না সন্দেহের মাত্রা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ করা হলেও পরে দেখা গেছে অপরাধীচক্রের কাজ। সব মিলিয়ে অপহরণ নিয়ে এক ধরনের গোলকধাঁধায় রয়েছে সাধারণ মানুষ।

পরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে বাংলাদেশে সব ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই অঙ্গীকারের পরও থেমে থাকেনি তা।
বাংলাদেশে ৬৮টি কারাগারে ধারণক্ষমতা বহুগুণ বেশী কারাবন্দী রয়েছেন। বিনা চিকিৎসা, নিম্নমানের খাবার, পানির অসুবিধা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বন্দীদের মানবাধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিচারব্যবস্থা ও পুলিশের প্রতি অনাস্থার কারণে সাধারণ মানুষের নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
১৪ ডিসেম্বর ২০১২ গাজীপুরের কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে গোপনে মুক্তি পায় শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ কুমার বিশ্বাস। তার আগেই আরও দুই শতাধিক দাগী সন্ত্রাসী মুক্তি পেয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশসহ কয়েকশ দাগী সন্ত্রাসীর জামিনে মুক্তির খবরে জনমনে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দেয়।

মহাজোটের আমলের প্রথম কয়েক বছরে আলোচিত হত্যাকা-গুলো হলো নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নুর বাবুকে পুলিশের সামনেই পিটিয়ে হত্যা, যশোরের ঝিকরগাছা বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম হত্যাকা-।
নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান ১ নবেম্বর ২০১২ নরসিংদীর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলীতে নিহত হন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুরাতন জমাদ্দারহাটের সেতু থেকে নিরপরাধ কলেজ ছাত্র লিমনকে ধরে পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলী করে র্যা ব। পরে চিকিৎসকরা তার বাম পা কেটে ফেলেন। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি রিপোর্টও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি।
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের কূটনীতিকপাড়ায় গুলীবিদ্ধ হন সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ বিন মোহাম্মদ সালেম আলী। ওই দিনই ভোরে হাসপাতালে খালাফ মারা যান।
৪ এপ্রিল ২০১২ গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সংগঠক আমিনুল ইসলামকে আশুলিয়া থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠে।
২৭ জুলাই ২০১২ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার মধ্যে টেকেরহাট মোড়ে মিলন নামে এক কিশোরকে পুলিশের সামনেই স্থানীয়রা পিটিয়ে হত্যা করে।
সংঘাতময় রাজনীতি দেশ ও জাতিকে গভীর সঙ্কটে নিপতিত করছে-যা গণতান্ত্রিক পথকে কঠিন করে তুলবে।
মহাজোট আমলে সভা-সমাবেশ ও মিছিলে বাধা দেয়ার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারি দল আওয়ামী লীগ বা তার সমর্থিত সংগঠনগুলো এই কাজে লিপ্ত থাকছে। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশাসন কর্তৃক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেকগুলো সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালে ১০৫টি ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের বসতি ও মন্দিরে হামলা ঠেকাতে এগিয়ে যায়নি। এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের মদদে এ হামলা হয়।
৯ ডিসেম্বর ২০১২ অবরোধ চলাকালে বিশ্বজিৎ দাস নামে একজন তরুণ সংঘর্ষের কারণে পালিয়ে আত্মরক্ষার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী নূরে আলম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক, রাশেদুল হাসান শাওন, রফিকুল ইসলাম শাকিল, ওবায়দুল কাদের তাহসীন প্রমুখ তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা যান। প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের রড, ছুরি ও চাপাতির কোপে বিশ্বজিতের নৃশংস হত্যাকা- বিশ্ব বিবেককে চিন্তিত করেছে। আলোচিত এ হত্যার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেন, ‘হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ না’। কিন্তু এ ঘটনায় গ্রেফআর হওয়া সাতজন নিজেদের ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেছে।

মহাজোটের শাসনামলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহির অভাব লক্ষ্য করা গেছে চরমভাবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং তথ্য কমিশন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার কর্তৃক বেসরকারি সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীদের ওপর হয়রানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে ২১ জনের মৃত্যুদ-াদেশ মওকুফ করেছেন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। ২০০১ সালের অক্টোবরে লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে বিপ্লবের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বিএনপি কর্মী কামাল উদ্দিনকে নিজ বাড়িতে তার বাবা-মা’র সামনে পিটিয়ে হত্যা করে। ১০ বছরের বেশি সময় পলাতক থেকে বিপ্লব ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এরপর তার পিতা সরকারদলীয় নেতা আবু তাহের ছেলের দ- মওকুফের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেন।
২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আবু তাহেরের তিন ছেলে বিপ্লব, লাবু ও টিপু’র নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত এডভোকেট নুরুল ইসলামকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরা করে বস্তায় ভরে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়। প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নাটোরের আলোচিত সাব্বির আহাম্মেদ গামা হত্যা মামলায় ফাঁসির দ- পাওয়া ২০ জনের সাজাও মওকুফ করে দিয়েছেন।
মহাজোট সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় গণহারে মামলা প্রত্যাহার করায় অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে তোয়াক্কা করছে না। শাসক দলের কোন নেতা বড় ধরনের অপরাধ কর্মকা- চালালে পুলিশ বা র্যা ব তাকে আটক করতে পারছে না। রাজনৈতিক বিবেচনায় ৭ হাজার ১শ’ জনকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী অখ্যায়িত করে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।

বিচার বিভাগকে তোয়াক্কা না করে সরকার খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার মতো অনেকগুলো মামলা ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রত্যাহার করেছে। যাদের নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে, বেশিরভাগ আসামীর বিরুদ্ধেই হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্ষমাপ্রাপ্ত হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষ আস্থা হারাতে থাকবে।
প্রতিদিনিই দেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ধর্ষণ, যৌতুক, এসিড সন্ত্রাস এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। নারী এবং মেয়ে শিশুদের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ, যৌতুক দিতে না পারায় হত্যা, ধর্মীয় বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সালিসের মাধ্যমে দোররা মারা, পারিবারিক সহিংসতা এবং যৌন সহিংসতার ঘটনা অহরহ ঘটছে।
আশংকাজনক হারে মেয়ে শিশু ধর্ষণের হার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক ধর্ষণের হারও বেড়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪৭৯ জন নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ২০১২ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮২২ জন বিবাহিত নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ১০৫ জন ব্যক্তি এসিডদগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৮ জন নারী, ১৭ জন পুরুষ, ২০ জন বালিকা এবং ১০ জন বালক।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নারী নির্যাতনের আলোচিত ঘটনাটি ঘটে পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায়। ঘটনার সময়কাল ২৯ মে ২০১২। মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসে, আদালতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের শ্লীলতাহানির শিকার হয় ১৮ বছরে এক তরুণী। সামান্য ঘটনায় বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মেয়েটির পিতা মাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পুলিশ। মেয়েটি এর প্রতিবাদ করলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালত চত্বরের পুলিশ বক্সে। সেখানে কয়েকজন পুলিশ মিলে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে পুলিশ বক্সে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে। পরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুলতানা কামাল পুলিশের কবল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। আদালত চত্বরে পুলিশের এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে। আদালতের মতো নিরাপদ জায়গায় পুলিশের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগে আবারও পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ে।


ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা পলিটেকনিকসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি অব্যাহত রয়েছে। অস্ত্র হাতে ছাত্র লীগের অনেক ছবিও প্রকাশ পায় পত্রিকার পাতায়। ক্যাম্পাসে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কয়েকজন ছাত্র। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হয়। ৯ জানুয়ারি ২০১২ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন। আগের দিন ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে আহত করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

http://www.dailysangram.com/post/278315