৯ মে ২০২১, রবিবার, ৭:৪৫

অভিজাত এলাকার নিষ্প্রাণ শপিংমল

ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর শপিংমল-বিপণিবিতানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় হলেও গুলশান বনানী অভিজাত এলাকার চিত্র তার বিপরীত। অন্যত্র শপিংমলগুলো ঈদের বেচাকেনায় জমজমাট থাকলেও এখানকার বিপণিবিতান অনেকটাই নিষ্প্রাণ। নামকরা সব ব্র্যান্ডের দোকানেও ক্রেতা নেই। যা দুই-একজন আসেন তারাও কেনা কাটায় খুব একটা আগ্রহী নন। গতকাল শনিবার এসব এলাকার একাধিক শপিংমল ঘুরে এমন চিত্র উঠে আসে।

বিক্রেতারা জানান, করোনার ভয়ে এলাকার বাসিন্দারা শপিং করতে আসছেন না। আবার অনেকে করোনার ভয়ে কিংবা প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে আগেই দেশ ছেড়েছেন। ফলে ফাঁকা হয়ে গেছে অভিজাত এলাকা। এ কারণে ক্রেতার অভাবে অর্ধেকেরও বেশি মাল অবিক্রীত রয়ে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত গুলশান-বনানী এলাকায় রমজান শুরুর পর কিছুটা বিক্রি হয়। তবে এই এলাকার বাসিন্দারা বেশির ভাগই দেশের বাইরে থেকে কেনাকাটা করেন। আর প্রয়োজনীয় কিছু বাকি থাকলে তারা এই মার্কেটগুলো থেকে নেন। যার কারণে ঈদ ঘনিয়ে এলে আর বেচাকেনা ভালো হয় না।

তবে পুলিশ প্লাজার দোকানদাররা জানান, অন্যান্য এলাকার বিপণিবিতানগুলোর তুলনায় বেচাকেনা কিছুটা ভালো। কারণ এই মার্কেটে অভিজাত এলাকার বাইরেও রামপুরা, বনশ্রী, বাড্ডার বাসিন্দারা কেনাকাটা করতে আসেন। তারপরও আশানুরূপ বিক্রি না হওয়াতে ব্যবসায়ীরা হতাশ। তবে চাঁদ রাতে বিক্রি একটু ভালো হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

অপর দিকে যমুনা ফিউচার পার্কে গিয়ে মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ করা গেলেও ক্রেতা কম বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এখানেও কিছু ব্র্যান্ডের ঘরছাড়া অন্যান্য দোকানে ক্রেতা নেই বললেই চলে। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা আসার পর থেকে গত দুই বছর এভাবেই তাদের চলছে। এতে প্রতি মাসে লোকসানের বোঝা টানছেন তারা। যদিও বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম চড়া বলেই মন্তব্য করেন ক্রেতারা।

এ দিকে চার-পাঁচ দিন পরই ঈদ। করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে কড়াকড়ি। কিন্তু তা চোখে পড়ছে না রাজধানীর শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলোতে। শপিংমলে আগতদের মধ্যে নেই স্যানিটাইজারের ব্যবহার, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

মাস্ক ছাড়াই ক্রেতা-বিক্রেতারা অবাধে করছেন বেচাকেনা। যদিও মার্কেট কর্তৃপক্ষের দাবিÑ তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চষ্টা করছেন। আবার পাল্টা অভিযোগও তাদের ‘ক্রেতারা যদি চাপাচাপি করে তাহলে আমাদের তো কিছু করার নেই’। তবে উল্টো মত ক্রেতাদের। যদিও কেনাকাটায় সুরক্ষা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে প্রশাসনও। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ক্রেতা-বিক্রেতারা গুনছেন জরিমানা।

অন্য দিকে দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করছেন বিক্রেতারা। তাই অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন তারা। বিক্রির দিক দিয়ে এ বছর ঈদবাজারে পোশাক ও জুতার পাশাপাশি, বেশ চাঙাভাব দেখা গেছে প্রসাধনী আর কৃত্রিম অলঙ্কারের দোকানে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/581004/