৭ মে ২০২১, শুক্রবার, ৭:২৪

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মমুখর সচিবালয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে জরুরি সব কাজ এগিয়ে চলছে। চলমান লকডাউনের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও প্রতিটি মন্ত্রণালয় খোলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ জনবল দিয়ে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট জরুরি সব কাজ শেষ করা হচ্ছে।

এদিকে সূত্র জানায়, ৬ মে ছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) শেষ দিন। ২০২১-২২ অর্থ বছরের কর্মপরিকল্পনা ও রোডম্যাপ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনে এর আগে নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ৩০ এপ্রিল। তবে করোনায় লকডাউন পরিস্থিতির কারণে তা ৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল সচিবালয় ছিল বেশি কর্মমুখর। নিয়মানুযায়ী দফতর ও সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে তাদের কাজের রোডম্যাপ সূচি আগেই জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কয়েকজন যুগান্তরকে বলেন, এপিএ চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে নম্বরের ভিত্তিতে তাদের পারফরমেন্সের মান নির্ণয় জড়িত। তাছাড়া অর্থবছরের জুন ক্লোজিং একেবারে সন্নিকটে। এজন্য বিস্তর কাজের টার্গেট এরমধ্যে শেষ করতে হবে। নানা রকম অর্থ ছাড়ের বিষয়ও আছে। সব মিলিয়ে তারা মনে করেন, লকডাউন চলমান থাকলেও কোনো কাজ ফেলে রাখা সমীচীন হবে না। সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কাজ এগিয়ে নিতে হবে। তবে কেউ কেউ লকডাউনের ঘোরবিরোধী। তাদের মতে এভাবে লকডাউন বহাল থাকলে দেশের অর্থনীতিসহ চাকরিবাজার ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিবর্তে লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। সেটি আরও ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে। এজন্য সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরুত্ব বজায় রেখে সব কাজ চালু রাখতে প্রশাসনিক ও সামাজিক ভিজিল্যান্স আরও বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ কঠোর না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ কাজে প্রশাসনিক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি ও সিভিল সোসাইটিকে কাজে লাগানো জরুরি। প্রয়োজনে জেল-জরিমানা ছাড়াও জেল দেওয়ার বিধান রাখা যেতে পারে। কিন্তু লকডাউন থাকলে দেশ বহু বছর পিছিয়ে যাবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/419044/