৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ২:৩১

‘লকডাউন’র ২০তম দিন

সড়কে যানজট বাড়ছে

সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’র ২০তম দিনে সোমবার রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এতে মহানগরীর মার্কেটমুখো সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট ছিল। যানজটে এসব মানুষের নাভিশ্বাস হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজারে প্রধান সড়ক, অলিগলিতে প্রচুর গাড়ি ও মানুষ। কেউ হেঁটে চলছেন, কেউ রিকশা বা সিএনজি চালিত অটোরিকশায়। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে বাইরে বের হওয়া মানুষের উপস্থিতও ছিল অনেক। বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির কারণে ট্রাফিক সিগন্যালে দীর্ঘসময় আটকে থাকতে হয়েছে। এসব ধকল মাড়িয়ে কর্মব্যস্ত মানুষকে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লেগেছে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

গত কয়েকদিনের মতো রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে উপস্থিতি ছিল না। মানুষ নিজেদের ইচ্ছেমতোই চলাচল করেছে। কারো গাড়ি চেক করতে দেখা যায়নি পুলিশকে। অনেক প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহণ করতে দেখা গেছে।

মহানগরীর মতিঝিল, মালিবাগ, মৌচাক, মিরপুর, উত্তরা, কুড়িল এলাকা সোমবার ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাইরে বের হওয়া এসব মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে বরাবরের মতো উদাসীন দেখা গেছে। কেউ মাস্ক পরছেন, কেউ পরছেন না। কেউ পরলেও থুতনির নিচে রেখে হাঁটাচলা করছেন।

মিরপুরের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘লকডাউন’ নামে আছে বাস্তবে নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহানগরীর সড়কগুলোতে তীব্র যানজট লেগে থাকে। সকাল ১০টা বিকাল ৩টায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে এত যানজট থাকে যে, চলাচল করা দূরূহ হয়ে পড়ে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন’ রাজধানীর স্বাভাবিক সময়ের মতো মানুষ চলাচল করছে। গণপরিবহণ ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। আর সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ মানুষ এখন অনেকটা মানছে।

এছাড়া নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ, গুলশান, বনানী, মিরপুর ও উত্তরার মার্কেটমুখো সড়কে সর্বত্র মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ঈদ উৎসবকে আনন্দঘন করতে করোনার ভয়কে জয় করে মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/418049/