১ মে ২০২১, শনিবার, ২:০৬

হঠাৎ ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি

বাজার দর

আবারো বেড়েছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম। তবে তরিতরকারির দাম স্থিতিশীল আছে। মাছ-গোশতের দামও স্থিতিশীল। লকডাউনের কারণে অধিকাংশ বাজারেই ভালো কোনো মাছের দেখা মিলছে না।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪-৬ টাকা বেড়েছে। নতুন মূল্যের সয়াবিন তেল বাজারে আসার আগেই খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে এক লিটারের যে বোতল পাওয়া যাচ্ছে তার গায়ে ১৩৯ টাকা লেখা রয়েছে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩৪-১৩৬ টাকায়। যা আগে বিক্রি হতো ১৩০-১৩২ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, তারা পাইকারি বেশি দামে কিনছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারো বেড়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি। গতকাল শুক্রবার সকালে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। মানিকনগরের খুচরা বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, পাইকারি কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তাই তাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

রমজানের শুরুতে কিছু পণ্যের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। এ বছরেও রোজার শুরুতে বেগুন, শসা ও টমেটোসহ ওই জাতীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাব বেড়ে যায়। শসার দাম বেড়ে হয় ১২০ টাকা। আর টমেটোর দাম বেড়ে হয় ১৪০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি বিক্রি হয় ১০০-১২০ টাকা। এই পণ্যগুলো এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও আগের তুলনায় বেশি। শসার কেজি এখন ৫০-৬০ টাকা। টমেটো ৩০-৪০ টাকা। আর বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁকরোল ১২০ টাকায় কেজি বিক্রি হলেও এই সপ্তাহে তা ৬০-৭০ টাকায় নেমেছে।

পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, করলা, শিম, কচুর লতি এবং ঢেঁড়সের দাম একই আছে। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে মানভেদে কোনো কোনো বাজারে দাম কিছুটা কম আছে।

শাকের মূল্যও একই রয়েছে। কলমিশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আঁটি। পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। পাটশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আঁটি। বাজারে নতুন আসা পুঁইশাকের কেজি এখন ৩০-৪০ টাকা। লাউশাক ২৫-৩০ টাকা আঁটি। অন্যান্য যেকোনো শাকের আঁটিই এখন ১০ টাকার ওপরে। এক কেজি কচুর লতি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত শুক্রবারের মতো ব্রয়লার ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৭০ টাকা। ডিম ১০০ টাকায় ১৩-১৪ টি পাওয়া যাচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/579418