২৮ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ৮:৫৯

করোনায় বিপর্যস্ত শিল্পখাত

বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত। অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। বাদ যায়নি শিল্পকারখানাসহ মানুষের কর্মক্ষেত্র। সে ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশের শিল্পখাতেও বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। এমনকি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার ইতোমধ্যেই অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কয়েকদিনে সংক্রমণ হার কিছুটা নিম্নমুখী হলেও মৃত্যুহার এখনও ঊর্ধ্বমুখীই রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শিল্পখাতে মেয়াদি ঋণ বিতরণ, শিল্পের যন্ত্রপাতি-কাঁচামাল-মধ্যবর্তী শিল্পপণ্য আমদানি আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। একই সাথে কমেছে এসব পণ্য আমদানির এলসি খোলার প্রবণতা। শিল্প উৎপাদনের হারও নিম্নমুখী। সব কিছু মিলিয়ে আগামী দিনে শিল্পখাতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা।

মূলত, করোনা অর্থনীতির সকল বিভাগেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যা আমাদের মত ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশের পক্ষে সামাল দেয়া সহজসাধ্য নয়। এ ক্ষতি পোষাতে সচল শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ এসেছে অর্থনীতিবিদদের পক্ষ থেকে। তারা বলছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বন্ধ বা রুগ্ন শিল্পগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়ে নতুন বিনিয়োগের পরিসর সম্প্রসারণ করা দরকার। তাহলেই মানুষের কর্মসংস্থানসহ আয় বাড়ানো সম্ভব হবে; ঘুরে দাঁড়াতে পারবে শিল্পখাত ও জাতীয় অর্থনীতি।

করোনায় সব সেক্টরই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বস্ত্রখাতে যে কোনো খাতের তুলনায় অনেক বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে এই খাতে ক্রয়াদেশ বাতিলসহ দেশীয় বাজারে লোকসান হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। পরে সরকারি আদেশে বস্ত্রকলগুলো ক্রমান্বয়ে চালু করা হলেও সম্পূর্ণ উৎপাদনের ক্ষমতা ব্যবহার করতে না পারায় ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তৈরি পোশাক রফতানি খাতের অবস্থাও খুব একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় নেই।

এমতাবস্থায় দেশের শিল্পখাতকে বাঁচানোর লক্ষ্যে যুৎসই, সুদূরপ্রসারী ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ এসেছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে। মূলত, করোনার কারণে আমরা এক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। এ বাস্তবতা আমাদের জীবন ও অর্থনীতিকে কঠিন ও দুর্বিষহ করে তুলেছে। এই কাঠিন্য যাতে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় সে জন্য আগাম কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার আবশ্যকতা অনুভূত হচ্ছে। আর এজন্য দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহদাকারসহ সকল ধরনের শিল্পে যেকোন মূল্যে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আবশ্যকতাও দেখা দিয়েছে।

গত বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনার প্রাদুর্ভাব মাঝখানে কিছুটা কমলেও চলতি বছরের শুরু থেকেই দ্বিতীয় ঢেউ সার্বিক পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি ঘটিয়েছে। ফলে স্থানীয় বাজারসহ আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যসহ শিল্পপণ্যের চাহিদা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশীয় শিল্পকারখানার ওপর। যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য মোটেই স্বস্তিদায়ক খবর নয়। যা এখন রীতিমত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।

করোনার নেতিবাচক প্রভাবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। কমে গেছে শিল্পের কাঁচামাল আমদানিও। শিল্পের মূল উপকরণ আমদানিতে এ বিপর্যয়ের কারণে শিল্পকারখানায় বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। নতুন শিল্পকারখানা সৃষ্টি হচ্ছে না। বরং অনেক চালু কারখানাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না বরং সাধারণ মানুষের কর্মসংকোচন এখন প্রান্তিক পর্যায়ে নেমে এসেছে। বেকারত্ব পৌঁছেছে অসহনীয় পর্যায়ে।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, নতুন শিল্প স্থাপন ও চালু শিল্প আধুনিকায়ন কম হওয়ার কারণে শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা কমেছে। এ ছাড়া করোনার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় পণ্য বিক্রিতে ধস নেমেছে। এতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুরো সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারছে না। ফলে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন নতুন বাস্তবতায় অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।

মূলত, চলমান পরিস্থিতিতে কেউ বিনিয়োগে এগিয়ে আসছেন না। তারা নতুন বিনিয়োগে কোন প্রকার ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নন। কারণ, তাদের ব্যবসা ব্যাংকের লগ্নিনির্ভর। কিন্তু ব্যাংক ঋণের অর্থ নতুন শিল্পকারখানায় বিনিয়োগ করে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা না গেলে ব্যাংকের বিনিয়োগ ফেরত দেয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই শিল্প উদ্যোক্তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্যই অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সেই সুদিন কবে ফিরে আসবে সে নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছেন না। কারণ, করোনা পরিস্থি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। ফলে আমাদের শিল্পখাতে অনিশ্চিয়তাও কাটছে না সহসাই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। একই সময়ে আমদানি কমেছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে আমদানি কমেছিল ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। রফতানিমুখী শিল্পগুলো ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি করে। সেগুলো দিয়ে পণ্য তৈরির পর রফতানি করে। গত দুই অর্থবছর ধরে এ খাতের কাঁচামাল আমদানিতেও মন্দা চলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসির বিপরীতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা কমেছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আমদানি কমেছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এলসি খোলা কমেছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং আমদানি কমেছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই শিল্পখাতে মন্দাভাব চলছে। এর প্রভাবেই শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে বলা হয়, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর আবশ্যকতাও দেখা দিয়েছে। শুধু দেশী বিনিয়োগ নয় বরং বিদেশী বিনিয়োগও বাড়ানোর বিষয়টিও সামনে এসেছে। যা খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মতই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ করোনায় পোশাক খাতে একটি ক্ষতির হিসাব প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। তারা তথ্য দিয়ে বলেছে, গত বছর করোনা শুরুর পর মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৩.৮১ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার স্থগিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত হওয়া অর্ডারের শতকরা ৯০ ভাগ ফিরে আসে। ৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার শেষ পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সে অবস্থাও আর অবশিষ্ট নেই।

গত বছরের অক্টোবর, নবেম্বর, ডিসেম্বর এবং এই বছরের জানুয়ারি মাসে রফতানির প্রবৃদ্ধি ছিল কম। অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাসে শতকরা পাঁচ থেকে ১০ ভাগ রফতানি কমেছে। তবে এটাকে ক্ষতি বলছেন না পোশাক শিল্পের মালিকরা। তারা বলছেন, নানা সময়ে রফতানি স্বাভাবিক নিয়মে ওঠা-নামা করে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অর্ডার তেমন স্থগিত হয়নি। তবে অর্ডার ও পোশাকের দাম কমেছে। অক্টোবর, নবেম্বর ও ডিসেম্বরে গড়ে দাম কমেছে শতকরা পাঁচ ভাগ। পোশাক রফতানি করে লাভ হয় গড়ে শতকরা দুই-তিন ভাগ। ফলে লাভ কমে গেছে বা লোকসান হয়েছে।

সাধারণভাবে কারখানাগুলো একবারে অনেক উৎপাদন করে অভ্যস্ত। অনেক সময়ে বড় ধরনের অর্ডারও আসে তাদের কাছে। সঙ্গত কারণে উৎপাদনও বাড়াতে হয়। কিন্তু এখনো ইউরোপ, অ্যামেরিকায় দোকানপাট পুরোপুরি খোলেনি বা স্বাভাবিক ব্যবসা-বণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। খুচরা ক্রেতারা পোশাক কেনায় আগের মত আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাই বায়াররাও বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। আগে কারখানাগুলো সাধারণত তিন মাস আগে অর্ডার পেতো। কিন্তু এখন সেই লিড টাইম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কারখানাগুলোকে সক্ষমতার চেয়ে কম উৎপাদন করতে হচ্ছে।
বিজিএমইএ’র পক্ষে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপে পোশাকের স্তূপ জমে গেছে। তারা এখন চেষ্টা করছেন সেগুলো দ্রুত বিক্রি করতে। গত শীতে করোনার সময় তারা যে পোশাক নিয়েছে সেই পোশাক তারা এখন বিক্রি করছে। ফলে এই বছরে বাংলাদেশ থেকে পোশাক নেয়া ২০ ভাগ কমবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা তৈরি পোশাকশিল্পে নতুন সংকটের সৃষ্টি করবে।

তারা বলছেন, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে তারা যেটা দোকানে বিক্রি করবে তার অর্ডার দেবে এই বছরের জুন মাসে। গত আগস্টে ২.৫৮ ভাগ রফতানি বেড়েছিল, সেপ্টেম্বরে ৩.০৯ ভাগ বেড়েছিল। কিন্তু অক্টোবরে ও নবেম্বরে ৭ ভাগ এবং ডিসেম্বরে ৯ ভাগ রফতানি কমে গেছে। এর সঙ্গে দাম কমে গেছে। কারণ, তারা এখন আগের জমে থাকা পোশাক ডিসকাউন্টে বিক্রি করছে। ফলে নতুন করে পোশাক ক্রয়ে তাদের কোন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের এক গবেষণায় বলেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পোশাক শতকরা ২৩ ভাগ কম নিয়েছে আমদানিকারকরা। এই সময়ে শ্রমিকদের আয় কমেছে ৮ শতাংশ, আর তাদের ওপর চাপ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। যা দেশীয় শিল্পের জন্য মোটেই ইতিবাচক নয়।

সিপিডি বলেছে, করোনায় প্রথম ওয়েভে পোশাক কারখানা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বিতীয় ওয়েভে এখনো ততটা হয়নি। বড় পোশাক কারখানাগুলো ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে, যদিও মাঝারি ও ছোট কারখানাগুলো এখনো আছে খানিকটা বিপাকে। এখন ১১ শতাংশ কারখানা অর্ডারের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে নিট গার্মেন্টসের তুলনায় ওভেন উন্নতি করতে পারছে কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী গত জুলাই-ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় তার আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ শতাংশ কম হয়েছে। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ৪.১২ শতাংশ। এই ছয় মাসে নিট পোশাক রফতানি থেকে আয় বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৯০ শতাংশ। কিন্তু ওভেনে ১০. ২২ শতাংশ কমেছে। তারপরও জুলাই-ডিসেম্বরে মোট রফতানি আয়ের ৮০.৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। আর গত এপ্রিলে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল সব মিলিয়ে মাত্র ৫২ কোটি ডলার। পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৬ কোটি ডলার।

পোশাক শিল্প মালিকরা আবার প্রণোদনা প্যাকেজ দাবি করলেও তা এখনো সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে আগে নেয়া ঋণ পরিশোধের সময়সীমা আরো ছয় মাস বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকার যে এক হাজার কোটি টাকার কারিগরি সহায়তা প্রকল্প নিয়েছে রফতানিমুখী শিল্পের জন্য, সেখান থেকে যেসব ছোট এবং মাঝারি পোশাক কারখানা সংকটে আছে তাদের সহায়তা করার আবশ্যকতাও দেখা দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। তাদের জন্যও সরকারের কোনো কর্মসূচি হাতে নেয়া উচিত। অন্যথায় আমাদের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণশক্তি শিল্পখাত কোনভাবেই বাঁচানো যাবে না। কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না করোনা সৃষ্ট বিপর্যয়ও।

https://dailysangram.com/post/451026