২৫ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ২:২৮

দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে ঢাকা

ভয়াবহ বায়ু দূষণের কবলে রাজধানী ঢাকা। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দূষণ বেড়েছে ১০গুণ। আর ২০২১ সালের গত ৪ মাসে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনের মধ্যেও দূষণের কারণে গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ৪৮৯, যেটি মারাত্মক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাকিস্তানের করাচি ও ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ১৭৩ ও ১৬৬ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এদিকে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি দূষিত এলাকা হলো শিল্প এলাকা। কম দূষিত হলো সংবেদনশীল এলাকা। হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেই। বাপা ও ক্যাপসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বায়ু দূষণের কারণে যে সব রোগ হয় তা হলো: শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক অ্যাজমা, ফুসফুসের নানা সংক্রমণ, হার্টের রোগ, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, ক্যানসার, ইত্যাদি। বর্তমানে সারা বিশ্বেই মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের কুফল পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, আজকের পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বায়ু দূষণ জনিত নানান রোগব্যাধিতে অকালে মারা যাচ্ছেন। বায়ুর দূষণকারী পদার্থগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণাগুলো। স্বাস্থ্যের ওপর এই কণাগুলোর কুফল রীতিমতো ভীতিজনক। এগুলো শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুস অবধি পৌঁছে যায়, সবচেয়ে সূক্ষ্ম কণাগুলো রক্তেও মিশে যেতে পারে। দীর্ঘদিন বায়ু দূষণের মধ্যে বাস করলে এর কুফল স্বরূপ মানুষের দেখা দিতে পারে নানান বিপজ্জনক রোগ। সূক্ষ্ম কণাগুলো ছাড়া বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের আধিক্যও কম উদ্বেগজনক নয়। এগুলোর মধ্যে আছে নাইট্রোজেনের একাধিক অক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড ও নানান জৈব বাষ্প। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে দূষিত বায়ুর নানা বিষাক্ত গ্যাস মানুষ ও পশুপাখির পক্ষে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। যে এলাকার বায়ু দূষণ যতো বেশি, সে এলাকায় শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগ হয়ে উঠতে পারে ততো ভয়ংকর। করোনা ভাইরাস ঘটিত কভিড রোগের ক্ষেত্রে বায়ু দূষণের এই মারাত্মক কুফল স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গেছে। বিজ্ঞানিরা জানিয়েছেন, যে সব এলাকায় শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি সেখানে কভিডে মৃত্যুহারও সবচেয়ে বেশি।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা জেলাসহ সারা দেশে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে মানহীন ইটভাটা। ছাড়পত্রহীন এসব ইটভাটা মানছে না আবাসিক এলাকা, মানছে না কৃষি জমি। নরওয়েভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ঘওখট(নিলু)-র সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণা বলছে ,ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা দায়ী ৫৮ শতাংশ, রোড ডাস্ট ও সয়েল ডাস্ট ১৮ শতাংশ, যানবাহন ১০ শতাংশ, বায়োমাস পোড়ানো ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য উৎস ৬ শতাংশ দায়ী।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। জনবহুল ঢাকা দীর্ঘ দিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পিএম ২.৫ এর জন্য বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। বিশ্ব বায়ু মান প্রতিবেদনে ২০১৯ সালে ঢাকা দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় উঠে আসে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত ওই সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে, স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। যার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে নগরবাসী। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। আর একিউআই মান ৩০১ থেকে ৪০০ হলে শহরের বাতাসের মান মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ৪০১ থেকে ৫০০ হলে এটাকে মারাত্মক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোর পাওয়ার মানে হলো বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর পাওয়ার অর্থ হচ্ছে বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর পাওয়ার মানে হলো বাতাসের মান ভালো। সাধারণত বর্ষার মৌসুমে শহরের বাতাসের মানের উন্নতি হয়। তবে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বাতাসের মানের দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করেছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। এদিকে বায়ু দূষণ বন্ধে গত বছরের ২৪ নভেম্বর নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তর, উত্তর সিটি করপোরেশন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন যথাক্রমে অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, অ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম টিপু ও অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন। ঢাকা শহর ও আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট নয় দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।

নির্দেশনাগুলো হলো ১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকৃত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা; ২. নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা; ৩. সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে; ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোড়াখুড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা; ৫. কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা; ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা; ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা; ৮ পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সকল টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা এবং ৯. মার্কেট/দোকান গুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা এবং অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে পদক্ষেপ নেওয়া।

এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র ক্যাপস স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক গবেষণা তথ্যে জানাযায়, ঢাকার ৭০টি স্থানে বায়ু দূষণ মাত্রা পরিমাণ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গবেষনা মতে, অপরিকল্পটিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ কাজ থেকে সবচেয়ে বেশি বায়ূ দূষিত হয় এর পরিমান ৩০ শতাংশ। ইটভাটা ও শিল্পকারখানার দূষণ ২৯ শতাংশ। যানবাহনের কালো ধোঁয়া ১৫ শতাংশ। আন্তদেশিয় বায়ুদূষণ ১০ শতাংশ। এবং গৃহস্থালি ও রান্নার চুলা থেকে নির্গত দূষণ ৯ শতাংশ। ২০২০ সালে ঢাকা শহরের ৭০টি স্থানের গড় বস্তুকণা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৩৩৫.৪ মাইক্রোগ্রাম। যা বায়ুর আদর্শ মানের তুলনায় ৫.২ গুন বেশি। ২ জন ক্যাপস এর গবেষনা মতে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার বাতাসে প্রতিদিন অন্তত আড়াই হাজার মেট্রিকটন ধুলোবালি উড়তে থাকে যার প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন ধুলোবালি।

অপরিকল্পিত ও মানহীন ইটভাটার কারণে ঢাকার বায়ু দূষিত হয় বলে মনে করেন অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান,কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, পিএসসি, পার্টিকুলেট ম্যাটার ধূলিকণাসহ আমাদের এখানে দূষণের ছয় সাতটা উপাদান আছে। আমাদের দেশে দূষণের মূল কারণ পার্টিকুলেট ম্যাটার পিএম ১০ ও পিএম ২.৫। তিনি বলেন, ঢাকায় বর্ষাকালে বায়ুদূষণ থাকে না। শীতে পার্টিকুলেট ম্যাটার ফাইন কণা যেটাকে আমরা ধুলাবালি বলি, সেটাই বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। আর প্রধান দোষ হলো ইটভাটার। জ্বালানির কারণে ধোঁয়ার সঙ্গে যে কণা বেরুচ্ছে সেটা এতো ফাইন যে ফুসফুসে মিশে যায়, এতো ফাইন যে রক্তেও মিশে যেতে পারে। এর মাত্রা পিএম ২.৫। এছাড়াও নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম কানুন না থাকা এবং সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে দায়ী করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখনও সিরিয়াস পরিস্থিতিতে যায়নি। তাই সময় থাকতে এ ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

ইটখোলা যদি নতুন নিয়ম, আইন মেনে চলে তাহলে দূষণ কম হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাসাবাড়ি বানানোর সময় কিছু নিয়ম মানার কথা। কিন্তু মানা হয় না। এগুলোকে বলা হয় স্থানীয় দূষণ। এছাড়াও পাশের দেশে কোনও দূষণ হলে বাতাসের সঙ্গে ভেসে এসে সেগুলোও আমাদের এখানে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ধূলিকণার সঙ্গে জীবাণু, হেভি মেটাল আছে কিনা সেদিকেও গবেষণায় যাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি জানান, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আমির হোসেন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে বায়ু দূষিত হচ্ছে। রাজধানীতে প্রচুর নির্মাণের কাজ হচ্ছে যা ধুলা তৈরি করছে। অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজ, আবাসিক এলাকায় শিল্প কারখানা, ইটভাটা থেকে শুরু করে কোনটাই নিয়ম মেনে করা হয় না। ঢাকা শহরের চারপাশ ঘিরে কমপক্ষে ৫ হাজার ইটভাটা আছে সেগুলো থেকে কার্বন নিঃসরিত হওয়ায় বায়ু দূষিত হচ্ছে। বাতাসে যে পরিমাণ সালফার ডাই অক্সাইড থাকে তা পানিতে মিশে চোখে জ্বালাপোড়া করায়। এতে ফুসফুসে প্রদাহ থেকে শুরু করে অনেক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দেয়। এসব থেকে উদ্ধার পেতে করণীয় কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কাজের জন্য যে আইন ও নিয়ম আছে সেগুলো মেনে চলার কোনও বিকল্প নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এর বক্ষব্যাধি বিভাগের সভাপতি ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাতাসে যে ধূলিকণা আছে তার মধ্যে পিএম ৫ এর নীচে যেসব উপাদান সেগুলোই সবচেয়ে ক্ষতিকর। কেবল ঢাকা দূষিত হচ্ছে তা নয়, তবে দূষণ ঠেকাতে যে নিয়ম আইন আছে সেগুলো না মানার কারণে ঢাকার দূষণ দৃশ্যমান হচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান প্রক্রিয়া, সেটি তো বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু সেখান থেকে যেন ধূলিকণা ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ফুসফুস ও রক্তপ্রবাহের ওপর প্রভাব না ফেলে সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

https://dailysangram.com/post/450692