২৫ এপ্রিল ২০২১, রবিবার, ২:২৭

রমযান এবং করোনাকালেও রাজধানীতে তীব্র পানি সংকট

একদিকে পবিত্র মাহে রমযান। অন্যদিকে চলছে করোনাকাল। প্রতিবছর মাহে রমযানে রাজধানীতে পানির সংকট হবে না বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। এবারো রমযান শুরুর আগে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজধানীতে কোনো পানি সংকট থাকবে না। বরং অতিরিক্ত পানি উৎপাদন করা হচ্ছে। রমযানের পাশাপাশি দেশে চলছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকাল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ মারা গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে আছে সরকার আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধ। এ সময় মাস্ক পরিধান, দূরত্ব বজায় রাখা বিশেষ করে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বারবার হাত ধোবে কীভাবে? রমযানে নামাযের ওজু করবে কিভাবে? বাসায় তো পানিই নেই। খাওয়া বা টয়লেটে ব্যবহারের জন্যও ঠিক মতো পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বারবার হাত ধোয়া তো দূরের কথা! অনেকেই পানি কিনে ব্যবহার করছেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পানি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে শনির আখড়া, দনিয়া ও যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদেরও।

পানি সংকট নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সুজন সরকার। তার বাসায় প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ওয়াসার পানির সাপ্লাই নেই। তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি বাড্ডা এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে রান্না-খাওয়া, গোসলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন কাজ করতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি সংকটের এই চিত্র শুধু বাড্ডাতেই নয়। রাজধানীর অনেক এলাকাতেই এখন পানি সংকট তীব্র। সংশ্লিষ্ট ওয়াসা অফিসে যোগাযোগ বা লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং করোনায় লকডাউনের কথা বলে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উপায় না দেখে ওয়াসার পানি সরবরাহের গাড়ি থেকে বাসা মালিকরা বাধ্য হয়ে পানি কিনে নিচ্ছেন।

রাজধানী বাড্ডার একটি বাড়ির মালিক রাজু আহমেদ বলেন, আমাদের বাসায় ওয়াসার পানি সরবরাহ নেই গত দুই সপ্তাহ ধরে। বারবার ওয়াসার সঙ্গে এলাকার সব বাসা মালিকরা মিলে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সমাধান দিতে পারেনি এখনও। বাধ্য হয়ে আমরা ওয়াসার পানি সরবরাহের গাড়ি থেকে পানি কিনে নিচ্ছি। তাও আবার পানির জন্য অর্ডার দিলেও সময়মতো পানির গাড়ি আসে না। দীর্ঘ সময় তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া এক গাড়ি পানির দাম ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও সুযোগ বুঝে তার বেশি টাকা দাবি করে। এদিকে সব ভাড়াটিয়ারাও পানির জন্য অস্থির হয়ে যান। পানি ছাড়া কি বসবাস করা যায়? করোনাকালের পাশাপাশি তার মধ্যে এখন চলছে মাহে রমযানও।

এ বিষয়ে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ ওয়াসার মডস জোন-৮ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, বাড্ডা এলাকার সমস্যার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় এ সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি। আর যেসব এলাকায় এখনও সমস্যা আছে সেখানেও আমরা খুব দ্রুত সমাধান করার জন্য কাজ করছি। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে। গরমকালে পানির লেয়ার নিচে নেমে যায়, এ সময় আমরা পাইপ যুক্ত করতে পারলে ঠিক হয়ে যাবে। তাহলে এই সমস্যার এত দিন ধরে সমাধান করা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমি এখানে যোগদান করেছি, আগে মিরপুরে ছিলাম। আমার কাছেও অনেক বাসা মালিকার এসে ইতোমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমাদের কাজ চলছে, কাজও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আশা করছি আগামী কিছু দিনের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

শুধু বাড্ডা এলাকা নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাতেই পানির এমন সমস্যার অভিযোগ রয়েছে রাজধানীবাসীর। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, মাতুয়াইল, জিয়া সরণি, পূর্ব জুরাইন, মালিবাগ, মিরপুর, মতিঝিলের আরামবাগ, মনিপুরের কাঠালপাড়া, আদাবরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানির জন্য হাহাকার চলছে। করোনাকালে কঠোর বিধিনিষেধের পাশাপাশি মাহে রমযানের মধ্যে নাগরিকরা পানি সংকটে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে। ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কর্মকর্তাই করোনার দোহাই দিয়ে বিষয়টি এড়য়ে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, রমযানে পানি ছাড়া জীবন যাপন একেবারেই অসম্ভব।ওযু, রান্না বান্নার জন্য পানি ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। পানি কিনে কতদিন চলা যায়। ওয়াসার পানি না পেয়ে প্রতিটি মানুষ খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। রমযানের পাশাপাশি করোনাকালে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পানি নেই এই কথা চিন্তাও করা যায় না।

ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ও রমযান মাসে ঢাকা মহানগরীতে পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে ওয়াসার মডস জোনগুলোর কার্যক্রম তদারকির জন্য ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি অ্যাডভাইজারি ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে । ঢাকা ওয়াসার সচিব (আ. দ.) প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই অ্যাডভাইজারি ও মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই অ্যাডভাইজারি ও মনিটরিং টিম কোভিড সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও রমযান মাসে ঢাকা মহানগরীতে পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে ওয়াসার মডস জোনগুলোর কার্যক্রম তদারকি করবে। কিন্তু এই কমিটির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছেনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর কমলাপুরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাসাসহ জসীমউদ্দীন সড়ক এলাকায় চরম পানি সংকট চলছে। রাত জেগে পানি ধরে রাখলেও দৈনন্দিন কাজ মেটানো কঠিন হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, প্রতি বছর এখানে এ সমস্যা অব্যাহত থাকে। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই এখানকার মানুষের। টাকা দিয়েও ওয়াসার গাড়ি না মেলায় উৎকণ্ঠায় থাকেন এ এলাকার মানুষ। পাইপ পরিবর্তন বা পাম্প স্থাপন করে স্থায়ী সমাধানের দাবি এলাকাবাসীর।

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ছেলে খুরশিদ আনোয়ার বলেন, এটা রীতিমতো পরিবেশ বিপর্যয়। সাহিত্যিক আকবর হোসেনের বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে পানির সমস্যা অনেক দিন ধরেই, যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। অপর্যাপ্ত পানির লাইন এর মূল কারণ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে কবি জসীমউদ্দীন সড়ক। এ সড়কে কয়েক শ আবাসিক বাড়িঘর রয়েছে। পানি না থাকায় বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ওয়াসার পানির গাড়ির জন্য দিনের বিভিন্ন সময় এমনকি গভীর রাতেও অপেক্ষা করে পানি মিলছে না- এমনটাই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। অনেকেই জানান, পাইপ পাল্টানো বা সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াসায় কয়েকবার আবেদন করলেও লাভ হয়নি।

নগরীর শাহজাদপুর দক্ষিণপাড়ায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত পানির দেখা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। পানির দাবিতে মিছিলও বের করেন তারা। ঢাকা ওয়াসার মডস জোন ৮-এর অফিসের সামনে জড়ো হন শতাধিক বাসিন্দা। তারা ওয়াসার অফিসে প্রবেশে করতে চাইলে ভাটারা থানার পুলিশ বাধা দেয়। জনগণ উত্তেজিত হয়ে পড়লে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধ্যস্থতার আশ্বাস দেন। পরে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে দুই জন প্রতিনিধি ও ঢাকা ওয়াসার মডস-৮-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ ওয়াসা অফিসে বৈঠক করেন। জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দা শুভ বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে আমাদের এলাকায় একফোঁটা পানি আসছে না। অনেকদিন ধরে ওয়াসাকে জানাচ্ছি। কোনও সমাধান করছে না। একবার দেখতেও আসেনি। তিনি আরও বলেন, রমযানে পানির অভাবে বেশ সমস্যা হচ্ছে। ওজু পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। রান্নাবান্নার সমস্যা তো আছেই। প্রতিদিন পানি কিনে খেতে হচ্ছে। বড় সমস্যা হচ্ছে ৩০ টাকার জার এখন ৫০ টাকা। ওয়াসা বলছে পানির লাইন নাকি উঁচু হয়ে আছে। পানি না আসলেও বিল আসছে আগের মতোই। জুরাইনের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বলেন, জুরাইনের ঋষিপাড়া, দারোগাবাড়ি রোড, মশারী পট্টি ও কলেজ রোডসহ পুরো এলাকায় পানি সমস্যা। পানিতে প্রচুর ময়লা ও দুর্গন্ধ। বাধ্য হয়েই নাক চেপে পানি পান করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

সূত্র মতে, রাজধানী ঢাকায় প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়ছেনা ওয়াসার কার্যক্রম। তারা তাদের স্বাভাবিক কাজেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফলে এই শহরে বিশুদ্ধ পানি পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। রাজধানীতে পানির সংকট নতুন কোনো বিষয় না হলেও রমযান ও করোনাকালে এমন সংকট ভাবিয়ে তুলেছে নাগরিকদের। ওয়াসা বলে, পানি উৎপাদনে ঘাটতি নেই, তবুও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই পানির জন্য মিছিল হচ্ছে। প্রতিবাদ হচ্ছে। এছাড়া আর যেসব এলাকায় পানির সংকট নেই, সেখানকার পানিও ময়লা-দুর্গন্ধের কারণে খাবারের অযোগ্য। গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান, আমাদের এই এলাকার পানিতে অনেকদিন ধরেই দুর্গন্ধ এবং পানির রং হলুদ। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নচ্ছেনা।

বছরের প্রায় সময়েই রাজধানীর কোথাও না কোথাও পানি সংকট লেগেই আছে। সেটি আরও তীব্র হয় গরমকালে। তবে সেটি এবার তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা প্রতিদিন প্রায় আড়াইশ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করতে সক্ষম। আর বর্তমানে ২৪০ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে রাজধানীতে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনও হচ্ছে। সেই অনুযায়ী রাজধানীতে পানি সংকট থাকার কথা না। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। তবে ওয়াসা তাদের উৎপাদনের পরিমাণটা জানালেও সিস্টেম লসের বিষয়টি সেভাবে প্রকাশ করতে চায়না। হিসেব মতে, উৎপাদিত পানির ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পানি সিস্টেম লসে চলে যায়। যার প্রভাব পড়ে রাজধানী জুড়ে।

সূত্র মতে, ওয়াসা নিয়ে গণশুনানিতেও পানি সংকটের কারণে গ্রাহকরা প্রত্যেকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গেল বছর গণশুনানির শেষ পর্যায়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান পানি সমস্যা নিরসনে ওয়াসার নানা কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে গ্রাহকের ভোগান্তি ও হয়রানি কমাতে গোটা ওয়াসার কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান। কিন্তু সেটি বাস্তবে কখনোই দেখা যায়না। ওয়াসা বলছে, ওয়াসার পানির অনেক চোরাই সংযোগ রয়েছে, অবৈধ সংযোগ করতে গিয়ে লাইনে ছিদ্র হয়ে যায়, সেই ছিদ্র দিয়েই পানিতে ময়লা ঢুকে গন্ধ ছড়াতে পারে। এছাড়া নদীর পানিতে খুব বেশি পরিমাণ ময়লা আবর্জনা থাকে, সেই পানি রিফাইনিং করে বিশুদ্ধ করতে প্রচুর কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয়। একারণেও দুর্গন্ধ হতে পারে। এছাড়া অনেক এলাকায় পুরনো লাইন থেকে যাওয়াতে পানি সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে বলেও তারা জানান।

ঢাকা ওয়াসার তথ্যমতে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ওয়াসার প্রায় ৪ লাখেরও বেশি গ্রাহক সংযোগ রয়েছে। তবে একটি বাড়িতে একটি সংযোগ থাকলেও সেখানে একাধিক পরিবার বাস করছে। ফলে বাস্তবে গ্রাহকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া প্রচুর অবৈধ সংযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, আট শতাধিক পাম্প থেকে আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড পানি এক্সট্র্যাক্ট করি। হরহামেশাই কিছু পাম্প যখন খারাপ থাকে, তখন ওই এলাকায় সামান্য একটু সমস্যা হয়। আমরা এটাকে বলছি পকেট সমস্যা। আমাদের সামগ্রিক উৎপাদন প্রতিদিনই টোটাল ডিমান্ডের চেয়ে বেশি। সিস্টেম লসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তো হয়েই থাকে। তিনি জানান, গ্রীষ্ম মওসুমকে সামনে রেখে ওয়াসার বিশেষ ব্যবস্থা সব সময় থাকে। এবার সেটি রয়েছে। তবে এখন যেহেতু রমযান ও করোনাকাল চলছে, তাই পানি চাহিদাও বেশ বেশি। তবে যে সব এলাকায় সমস্যার কথা বলা হচ্ছে সেখানে আমরা কাজ করছি। কোথাও পানি সমস্যা থাকলে সেখানে সরবরাহ করা হবে।

https://dailysangram.com/post/450720