২ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ১০:১৭

ন্যায়কণ্ঠ

চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক একটি অপরটির পরিপূরক

বাংলা ‘চুক্তি’ শব্দটির ইংরেজি Contract, আবার Contract-এর সমার্থক ইংরেজি শব্দ Agreement, Pact, Treaty ইত্যাদি। Agreement-এর বাংলা অর্থ চুক্তি, মত, মিল, সম্মতি, সমঝোতা, ঐকমত্য, বোঝাপড়া ইত্যাদি। আইনের ভাষায়- সব ধরনের সমঝোতাই চুক্তি, যদি তা চুক্তি সম্পাদনের জন্য যোগ্য পক্ষের স্বাধীন সম্মতিতে আইনসঙ্গত মূল্য এবং বিষয়ে হয়, যা ব্যক্তভাবে বাতিল ঘোষিত নয়।


চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে নিজ দেশের কোনো আইন দ্বারা বারিত নন, এমন প্রত্যেক সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি চুক্তি সম্পাদনের জন্য যোগ্য। স্বভাবতই প্রশ্নের উদয় হতে পারে, চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে সুস্থ মস্তিষ্ক বলতে কী বোঝায়? এ বিষয়ে আইনজ্ঞদের সুচিন্তিত অভিমত- চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে একজন ব্যক্তিকে তখনই সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন ভাবা হয়, যদি এটি সম্পাদনকালে তিনি এর অর্থ বুঝতে এবং তার স্বার্থের ওপর এটির প্রভাব বিষয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।

সম্মতি ও স্বাধীন সম্মতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। দুই বা ততধিক ব্যক্তি যখন একই অনুভূতিতে একটি বিষয়ের ওপর সম্মত হয়, তখন এটিকে সম্মতি বলা হয়। অপরদিকে সম্মতি তখনই স্বাধীন, যখন এটি প্রদান বিষয়ে কোনো ধরনের বল প্রয়োগ বা অন্যায় প্রভাব বা প্রতারণা বা ভ্রমাত্মক উপস্থাপন বা ভুল না থাকে।

Pact I Treaty উভয়ই Contract-এর সমার্থক হলেও প্রথমোক্তটি ব্যক্তির, পক্ষের অথবা রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি, অপরদিকে শেষোক্তটি শুধু জাতি অথবা রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি। যখন একাধিক ব্যক্তি অথবা একাধিক পক্ষের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন হয়, তখন চুক্তির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি বা পক্ষের চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রদানের আবশ্যকতা রয়েছে। চুক্তিতে কোনো ব্যক্তির বা পক্ষের নাম উল্লেখ রয়েছে; কিন্তু স্বাক্ষর নেই সে ক্ষেত্রে সে চুক্তিটি স্বাক্ষরবিহীন ব্যক্তি বা পক্ষের ওপর বাধ্যমূলক নয়। চুক্তি সম্পাদনকালীন কোনো ব্যক্তি বা পক্ষ অনুপস্থিত থাকলে উক্ত ব্যক্তি বা পক্ষ কর্তৃক আমমোক্তারনামা (Power of Attorney ) প্রাপ্ত হয়ে অপর কোনো ব্যক্তি বা পক্ষ তার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রদান করতে পারেন। একাধিক রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ক্ষেত্রে চুক্তির বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রের পক্ষে কোনো পদমর্যাদার ব্যক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে যখন সীমানা বিরোধ মীমাংসাবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তখন রাষ্ট্রদ্বয়ের শীর্ষ নির্বাহী চুক্তিতে স্বাক্ষর করে থাকেন। আবার দুটি রাষ্ট্রের মন্ত্রণালয় অথবা মন্ত্রণালয়স্থ বিভাগ বা সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অথবা সচিব অথবা বিভাগ বা সংস্থার প্রধান চুক্তিতে স্বাক্ষর করে থাকেন।

সমঝোতা স্মারকের ইংরেজি হল Memorandum of Understanding, যার সংক্ষিপ্ত রূপ Mou. সমঝোতা স্মারক দুই বা ততধিক পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা সমঝোতা। বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠান দাফতরিক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সম্পাদনে উদ্যোগী হয়ে থাকে। সমঝোতা স্মারক আইনগতভাবে বাধ্যমূলক না হলেও কিন্তু তা আন্তরিকতার মাত্রা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ইঙ্গিতবহ যা ভদ্রজনোচিত সমঝোতা থেকে শক্তিশালী। প্রায়ই সমঝোতা স্মারক আইনসঙ্গত চুক্তির প্রথম পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে সমঝোতা স্মারকের সমার্থক হল অভিপ্রায় পত্র যা অবাধ্যকর লিখিত এমন সমঝোতা, যেটি বাধ্যকর চুক্তি অনুসরণের ইঙ্গিত দেয়।

বহুজাতিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক জনপ্রিয় এ কারণে যে, চুক্তির ভিন্নতায় এটি অনুমোদনে স্বল্প সময় লাগে এবং এটিকে গোপন রাখা যায়। বিদ্যমান আইনসিদ্ধ চুক্তি সংশোধনের ক্ষেত্রেও সমঝোতা স্মারকের প্রচলন দেখা যায়।

চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে দুটি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এর একটি অনুচ্ছেদ নং ১৪৫ এবং অপরটি ১৪৫(ক)। অনুচ্ছেদ নং ১৪৫ চুক্তি ও দলিলবিষয়ক, অপরদিকে অনুচ্ছেদ নং ১৪৫(ক) আন্তর্জাতিক চুক্তিবিষয়ক। ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নকালে অনুচ্ছেদ নং ১৪৫ সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুচ্ছেদ নং ১৪৫(ক) সামরিক ফরমানবলে প্রণীত দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ, ১৯৭৮ দ্বারা সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়। উক্ত সামরিক ফরমান সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী দ্বারা অনুমোদিত হলেও উচ্চাদালত কর্তৃক পঞ্চম সংশোধনী বাতিল-পরবর্তী অনুচ্ছেদ নং ১৪৫(ক) কার্যকারিতা হারায়। অতঃপর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নকালে অনুচ্ছেদ নং ১৪৫(ক) পূর্বেকার রূপে সংবিধানে পুনঃসন্নিবেশিত হয়।

অনুচ্ছেদ নং ১৪৫ মূলত অভ্যন্তরীণ চুক্তিবিষয়ক। এ অনুচ্ছেদটির (১) নং দফায় বলা হয়েছে- প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্বে প্রণীত সব চুক্তি ও দলিল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বলে প্রকাশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি যেরূপ নির্দেশ বা ক্ষমতা প্রদান করবেন, তার পক্ষে সেরূপ ব্যক্তি কর্তৃক ও সেরূপ প্রণালিতে তা সম্পাদিত হবে। অনুচ্ছেদটির (২) নং দফায় বলা হয়েছে- প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী কর্তৃত্বে কোনো চুক্তি বা দলিল সম্পাদন করা হলে উক্ত কর্তৃত্বে অনুরূপ চুক্তি বা দলিল প্রণয়ন বা সম্পাদন করার জন্য রাষ্ট্রপতি কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন না, তবে এ অনুচ্ছেদ সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যধারা আনয়নে কোনো ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে না।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, অনুচ্ছেদ নং ১৪৫(ক) আন্তর্জাতিক চুক্তিবিষয়ক। এ অনুচ্ছেদটিতে বলা হয়েছে- বিদেশের সঙ্গে সম্পাদিত সব চুক্তি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন; তবে শর্ত থাকে যে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অনুরূপ কোনো চুক্তি কেবল সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হবে।

উপরোক্ত অনুচ্ছেদ দুটির মর্মার্থ অবলোকনে প্রতীয়মান হয়, অভ্যন্তরীণ যে কোনো চুক্তি বা দলিল সংসদে পেশ করার আবশ্যকতা না থাকলেও আন্তর্জাতিক চুক্তি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংসদে পেশ করার আবশ্যকতা রয়েছে, যদিও আন্তর্জাতিক চুক্তিটি জাতীয় নিরাপত্তা বা প্রতিরক্ষাবিষয়ক হলে তা কেবল সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করার বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রটির অভ্যুদয়-পরবর্তী এযাবৎকাল পর্যন্ত কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বা প্রতিরক্ষাবিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়নি। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ১৯৭৪ সালে স্থলসীমানা চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল বিনিময়বিষয়ক যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, উক্ত চুক্তিটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষে স্বাক্ষর করেন যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এ চুক্তিটি স্বাক্ষর-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক তা অনুমোদিত হলেও ভারতের সংসদ কর্তৃক ২০১৫ সালে তা অনুমোদিত হওয়ায় চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হওয়া বিলম্বিত হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তান শাসনামলে ১৯৫৮ সালে একই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নুনের মধ্যে অনুরূপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল; কিন্তু চুক্তি-পরবর্তী ভারতের সুপ্রিমকোর্টে মামলা হলে পাকিস্তান শাসনামলে চুক্তিটি আর কার্যকর হয়নি।

চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হল, প্রথমোক্তটি ভঙ্গের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ প্রতিকার প্রার্থনা করে আদালতে মামলা করতে পারে; কিন্তু শেষোক্তটির ক্ষেত্রে সে ধরনের মামলা দায়েরের কোনো সুযোগ নেই। আবার আন্তর্জাতিক চুক্তি যেমন সংসদে উপস্থাপনের আবশ্যকতা রয়েছে, সমঝোতা স্মারকের ক্ষেত্রে তা নেই। তাছাড়া চুক্তির ভিন্নতায় এটি অনুমোদনে স্বল্প সময় লাগে এবং এটিকে গোপন রাখা যায়। অনেকের মনে প্রশ্নের উদয় হতে পারে, চুক্তির পরিবর্তে সমঝোতা স্মারক কেন? বহুমাত্রিক চুক্তির ক্ষেত্রে চুক্তি সমঝোতা স্মারককে নাকি সমঝোতা স্মারক চুক্তিকে অনুসরণ করা হবে এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত নয়। কোনো বিষয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার অর্থ এই নয়, চুক্তিটিও একই পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত হবে; তবে একই বিষয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকের ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরকালীন ভিন্ন পক্ষের অন্তর্ভুক্তি গ্রহণীয় নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দেশ ‘ক’ দেশ ‘খ’-এর সঙ্গে সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ বিষয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে এবং চুক্তির শর্তানুযায়ী তিন বছরের মধ্যে দেশ ‘খ’ দেশ ‘ক’কে জাহাজটি সরবরাহ করবে। দেশ ‘খ’ জাহাজের কাঠামো নির্মাণ করলেও ইঞ্জিন প্রস্তুত করে না। আবার কাঠামো নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার পরই এ ধরনের জাহাজে ইঞ্জিন সংস্থাপন করা হয়। দেশ ‘ক’ দেশ ‘গ’তে প্রস্তুতকৃত ইঞ্জিন জাহাজটিতে সংস্থাপন করতে চায়; কিন্তু দেশ ‘খ’ ও দেশ ‘গ’-এর মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকায় তার পক্ষে দেশটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশ ‘ক’-এর কাক্সিক্ষত ইঞ্জিন সংস্থাপন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে দেশ ‘ক’ দেশ ‘গ’-এর সঙ্গে ইঞ্জিন সরবরাহ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে, দুই বছর পর নির্ধারিত মানের ইঞ্জিনটির নির্মাণকাজ শুরু করে আড়াই বছরের মাথায় তা সরবরাহ করতে হবে। সমঝোতা স্মারকের মর্মানুযায়ী ইঞ্জিন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কাজ ও এটি সরবরাহবিষয়ক চুক্তি দুই বছর পর সম্পাদিত হতে পারে। এখানে চূড়ান্তভাবে ইঞ্জিনসমেত জাহাজের গ্রহীতা একটি দেশ হলেও গ্রহীতার সঙ্গে জাহাজ প্রস্তুত ও ইঞ্জিন প্রস্তুত বিষয়ে অপর দুটি দেশের ভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার একটি সমঝোতা স্মারকবিহীনভাবে কার্যকর, অপরটি চুক্তি-পূর্ববর্তী সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে কার্যকর।

একই বিষয়ে যখন দুটি পক্ষ বা দুটি দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, তখন তা উক্ত বিষয়ে দুটি পক্ষ বা দেশকে পরবর্তী সময়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার জন্য দায়বদ্ধ করে। এরূপ সমঝোতা স্মারক অনুরূপ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষ বা তৃতীয় দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি সম্পাদনে বাধা হিসেবে দাঁড়ায়। আর তাই যে কোনো পক্ষ বা দেশ যখন অপর কোনো পক্ষ বা দেশের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা বা জাতীয় প্রতিরক্ষাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিতে উপনীত হয়। তখন তার জন্য দেশ ও জনগণের স্বার্থকে মুখ্য ভেবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়া জরুরি। এরূপ সমঝোতা স্মারক বা চুক্তির ক্ষেত্রে জনআকাক্সক্ষার প্রতিকূলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিপর্যয়ের বার্তাবহ। সমঝোতা স্মারক চুক্তিকে আকৃষ্ট করে বিধায় চুক্তির পরিবর্তে সমঝোতা স্মারকের মধ্য দিয়ে তা পরিহার করা হয়েছে এমন কথার উচ্চারণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর-পরবর্তী চুক্তি স্বাক্ষর থেকে নিষ্কৃতি দেয় না। আর এ কারণে মৌলিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বলা হয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক একটি অপরটির পরিপূরক।

ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

iktederahmed@yahoo.com

 

http://www.jugantor.com/window/2017/04/02/114277/