২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার, ১১:৪৯

লকডাউনের সুযোগে সরকার ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে!

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার দেশব্যাপী এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে। সেটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। তবে লকডাউনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে যখন লকডাউনের মধ্যেই বিরোধী নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করা হয়, দেশের শ্রদ্ধের আলেম-ওলামাদের কথিত নতুন-পুরাতন মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের দ্বিমুখী আচরণের কারণেও। একদিকে গার্মেন্টসহ শিল্প কারখানা পুরোদমে চালু। অণ্যদিকে মসজিদে নামাজ পড়তে বিধি-নিষেধ আরোপ। লকডাউনে একদিকে যে যার মতো চলাচল করছে। অথচ নিয়ম মেনে সরকার ঘোষিত অফিসগুলোতে যাতায়াতে হেনস্থা শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও বলছেন, লকডাউনের মূল উদ্দেশ্য করোনা নিয়ন্ত্রণ নয়। বরং সরকার বিরোধী যে জনমত গড়ে উঠছে সেটিকে দমিয়ে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘোষণায় লকডাউন হলেও মূলত: দেশে এখন সরকার ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে। লকডাউনকে কেন্দ্র করে তারা (সরকার) একটা ক্র্যাকডাউনে নেমেছে। এই ক্র্যাকডাউনে নেমে তারা সব বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে, হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। ক্র্যাকডাউনের এই সুযোগটা (লকডাউন) নিয়ে তারা (সরকার) বিরোধী দলের বাড়িতে হামলা করছে। সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছে না। সর্বত্র আতঙ্ক ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যাতে টু শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে সেজন্যই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালানোকে লক্ষ্য হিসেবে ধরে নিয়েছে সরকার। নির্যাতন-নিপীড়ণ, গুম-খুন ইত্যাদি অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়েছে তারা।

জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি আগেও বলেছি যে, এই লকডাউনের সুযোগ নিয়ে একটা ক্র্যাকডাউন করা হয়েছে। সেই ক্র্যাক ডাউনের মধ্য দিয়ে একদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের ধর্মীয় নেতা যারা আছেন, যারা আলেম-ওলামা আছেন তাদেরকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ, শ্রদ্ধেয় আলেম আছেন, এদেশে মানুষের কাছে যারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্যক মিথ্যা মামলাও দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নাজেহাল করা হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাগুলো সংগঠিত হয়েছে এটা তো সরকারের তৈরি করা। সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাগুলো যাতে ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা দেখেছি যে, বায়তুল মোকাররমে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি হচ্ছিল তা শান্তিপূর্ণ ছিলো। এটাকে অশান্তিপূর্ণ করে দেয়ার পেছনে পুলিশের সবচেয়ে বড় ভূমিকা এবং তার পরে আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে এটার ওপর পুরোপুরিভাবে হামলা চালায়। সেই কারণে চট্টগ্রামের হাটাজারিতে ও ব্রাক্ষনবাড়ীয়াতে এই ঘটনাগুলো সংগঠিত হলো। সেই কথাগুলো কিন্তু তারা(সরকার) কখনোই বলছে না। তারা বার বার করে দোষ চাপাচ্ছে যে, এই সমস্ত ধর্মীয় সংগঠন এবং বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি এইসব ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই অবৈধ সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। লকডাউনের এই সুযোগে সরকার যেন ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে। ভয়াবহ করোনা, রমজান এবং লকডাউনের মধ্যেও গ্রাম-শহর, পাড়া-মহল্লায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে।

সূত্র মতে, সরকার একদিকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। বিএনপির নেতা এ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, ডাঃ শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ আলী, রফিকুল ইসলাম, আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, রবিউল আলম বুলেট, আব্দুল মতিন, সাজ্জাদ হোসেন, মোঃ কাইয়ুম মিয়া, হেলাল আহমেদ, হালিম ফকির, এফ আই ফারুক, ওয়াসিম আকরামসহ এই লকডাউনে সারাদেশে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লকডাউনের মধ্যেই চলছে হেফাজত নেতাদেরও গ্রেফতার কার্যক্রম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ১৩ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সর্বশেষ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সূত্র জানিয়েছে- গ্রেফতারের তালিকায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আরও শতধিক নেতার নাম রয়েছে। অনেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন। গ্রেফতার হেফাজতের নেতারা হলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল ইসলামা ইসলামাবাদী, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াস, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, সহকারী মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা যুবায়ের আহমেদ, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী, লোকমান হোসেন আমিনী, মুফতি শরিফ উল্লাহ ও মুফতি বশির উল্লাহ। এরআগে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অভিযোগ উঠেছে, লকডাউনের আগে ও পরে চার শতাধিক হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সরকারের এমন দমনপীড়নের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে দেশে যে অরাজকতা হয়েছে, রক্তপাত হয়েছে তার দায় একান্তই সরকার, সরকারি দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরকারি দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা হেফাজতের কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মুসুল্লিদের উপর হামলা করে প্রথমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে তা স্পষ্ট দেখা গেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছে এবং মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে। মান্না বলেন, এসব ঘটনার পর দায়ের করা মামলা এবং সেই ২০১৩ সালের মামলাসহ বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতারা তথা দেশের আলেম সমাজের নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে, রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। মান্না বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, হাসপাতালে অক্সিজেন, আইসিইউ বেড নিশ্চিত করা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুইবেলা খাবার নিশ্চিত করা এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে মামলা, হামলা, রিমান্ড, অত্যাচার, নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তারা।

এদিকে লকডাউনের মধ্যে সব ধরণের রাজনৈতিক সভা সমাবেশ বা বৈঠকাদি বন্ধ থাকলেও সরকারের একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের খবর এখন আলোচনার তুঙ্গে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হেফাজতের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে থাকা হেফাজতের এক নেতা বলেন, সরকার হেফাজতকে বিরোধী দল মনে করে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। যেভাবে হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। এছাড়া হেফাজতের অরাজনৈতিক আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে আমরা এই বার্তাটিই দিতে চেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নাম প্রকাশ করে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

গ্রেফতারকৃত সব হেফাজত নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর হেফাজত। গতকাল এক বিবৃতিতে হেফাজত ঢাকা মহানগরের নেতারা বলেছেন, সরকার দেশে লকডাউন দিয়ে আলেমদের হয়রানি করার নীলনকশা তৈরি করেছে। লকডাউনকে হাতিয়ার বানিয়ে গ্রেফতার আর হয়রানির এক মহোৎসবে মত্ত সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়, এই গ্রেফতার তামাশা বন্ধ করুন। আমরা অনতিবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার করে সরকার পতন ডেকে আনছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। তিনি বলেন, সরকার জনগণের প্রতিবাদকে ভয় পায়। এ জন্য লকডাউনের মধ্যে আলেম-ওলামা ও ইসলামি নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্য দিয়ে লকডাউনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, পবিত্র রমজানে আলেম-ওলামা ও ইসলামি নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার ও হয়রানি করে মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। রিমান্ডের নামে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। হামলা, মামলা ও গ্রেফতার করে সরকার নিজের পতন ডেকে আনছে।

আলেমদের গ্রেফতারের কারণে লকডাউন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের নিরীহ নিরাপরাধ আলেমদের গ্রেফতার ও হয়রানির কারণে সরকারের চলমান লকডাউন কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। যে মুহূর্তে মহামারি প্রকট আকার ধারণ করছে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরম দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। সর্বত্র মানুষ আতঙ্কিত’ এ পরিস্থিতিতে আলেমদের অযথা হয়রানি-নির্যাতন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পবিত্র রমজানের শুরুতেই দেশের আলেম ও মাদ্রসা শিক্ষকদের সরকার গণহারে গ্রেফতার করছে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকারের এই আচরণ অত্যন্ত অমানবিক ও দুঃখজনক।

এদিকে হেফাজতের তাণ্ডবে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি হেফাজতের তাণ্ডবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, তা আজ সবাই জানে। শুধু পৃষ্ঠপোষকতাই নয়, বরং এসব সহিংস ঘটনায় জড়িত ছিল বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন। কোনও দল বা আলেম ওলামা দেখে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা এ তাণ্ডবলীলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত, বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুন দিয়েছে, তাদের ভিডিও দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে।

করোনায় লকডাউনে থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসেনের করা মামলায় একমাত্র আসামি নুর। নুরের বক্তব্যে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নুরকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব। মামলাসহ হুমকি ধামকির বিষয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসিনি। তিনি বলেন, নেতা,এমপি-মন্ত্রী হওয়ার খায়েসে রাজনীতি করলে এতোদিনে অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগ ছিলো কিন্তু আমি শুধুমাত্র দেশ ও দেশের মানুষের কথা ভেবে আপোষ করিনি। হুমকি-ধমকি, চাপ দিয়ে লাভ নেই। আজীবন তো আর পৃথিবীতে কেউ বেঁচে থাকবে না। ভারতীয় আদিপত্যের ফ্যাসিবাদীদের কবল থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আপোষ করলে, পরবর্তী প্রজন্ম অভিশাপ দিবে। তাই বেঁচে থাকা পর্যন্ত দেশের স্বার্থে এ লড়াই চলবে ইনশাআল্লাহ। আর মরে গেলে পরবর্তী প্রজন্ম চালিয়ে নিবে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নূর বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেদেরকে তৈরি করুন। জনগণ জেগে না উঠলে এ জাতির ভাগ্য আকাশে ঘোর অন্ধকার। যার পরিণতি কারো জন্যই সুখকর হবে না।

https://dailysangram.com/post/450296