১৭ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, ৩:১৭

এপ্রিলে ভয়ংকররূপে করোনা

ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু শনাক্ত ২৬১

২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু ১০১ আক্রান্ত ৪৪১৭: চলমান ‘লকডাউনে’ করোনা পরীক্ষা না-কমিয়ে বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

দিন যতই যাচ্ছে, দেশে করোনা সংক্রমণও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। বিশেষ করে চলতি মাসে (এপ্রিল) এর তীব্রতা রীতিমতো নিয়ন্ত্রণহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ১৬ দিনে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৪৮৪ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১১৩৬ জনের। অর্থাৎ এই ১৬ দিনে প্রতি ঘণ্টায় ২৬১ জন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু ঘটেছে প্রায় তিন (২ দশমিক ৯৬) জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে করোনা পরীক্ষা বাড়ানো হলে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে যাবে-এমনটি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, সাত দিনের জরুরি বিধিনিষেধ আরোপ করে করোনা পরীক্ষার হার কমানো হয়েছে। অথচ এই সময়ে পরীক্ষার হার বাড়ানো দরকার ছিল। তাহলে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে আইসোলেশন করা যেত এবং সংক্রমণের হার কমানো যেত। কিন্তু বর্তমানে লকডাউনের কারণে পরীক্ষার হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া এ ধরনের সংক্রমণের রোগতাত্ত্বিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কমপক্ষে ২১ দিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কেননা, বর্তমানে যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, এটি গত ৫ এপ্রিল ঘোষিত বিধিনিষেধ জারির আগের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে এই প্রথম ‘একশ’জনের বেশি রোগীর মৃত্যু হলো। গত ৩১ মার্চ অধিদপ্তর ৫২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায়। এরপর থেকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০-এর নিচে নামেনি। শুক্রবারের ১০১ জন নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৮২ জন।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় হঠাৎ করে বিপুল রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা রাজধানীর হাসপাতালগুলো। মারাত্মক শয্যা সংকট তৈরি হওয়ায় যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক রোগী বাসাতেই মৃত্যুবরণ করছেন। অনেকে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও একটি শয্যার ব্যবস্থা করতে পারছেন না। এই মুহূর্তে আইসিইউ পাওয়া যেন ‘সোনার হরিণ’।

পরিস্থিতি সামাল দিলে ইতোমধ্যে সাধারণ ও আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট/নিবিড় পরিচর্য কেন্দ্র) মিলিয়ে তিন হাজারের বেশি শয্যা অতিরিক্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব শয্যার একটিও খালি নেই। কিন্তু প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে শুধু জটিল রোগী এবং যাদের আইসিইউ অক্সিজেন প্রয়োজন এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। অন্যদের বাসায় চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৮ তারিখ রোববার রাজধানীর মহাখালীস্থ উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেটে দুইশ আইসিইউ শয্যাসহ এক হাজার শয্যার হাসপাতাল উদ্বোধন করা হচ্ছে। অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এটি উদ্বোধন হলে শয্যা ও আইসিইউর যে হাহাকার সেটি অনেকাংশে কমে আসবে। রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) এবং কোভিড সংক্রান্ত মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আগামী ১৮ তারিখ মহাখালীর ডিএসসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। সব ধরনের আধুনিক সেবা এই ভবনে থাকবে। এটি চালু হলে কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা অনেকটা কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বগতি ছিল। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে তা কমতে শুরু করে, যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না-করে মানুষ স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে যায়। ভুলে যায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কথা। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিশেষজ্ঞদের বারবার তাগাদা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষ ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চলতি বছরের মার্চ থেকে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে, যা এক মাসের মাথায় ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য

অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশে করোনা সংক্রমণের গত ১৪ মাসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত বছরের মার্চ মাসে (২০২০ সালের মার্চ) শনাক্ত হন ৫১ জন এবং মৃত্যু হয় ৫ জনের। একইভাবে এপ্রিল মাসে শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬১৬ জন এবং মৃত্যু হয় ১৬৩ জনের। মে মাসে শনাক্ত হয় ৩৯ হাজার ৪৮৬ জন এবং মৃত্যু হয় ৪৮২ জনের। জুন মাসে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ৯৮ হাজার ৩৩০ জন আর মৃত্যু হয় ১১৯৭ জনের। জুলাই মাসে শনাক্ত হন ৯২ হাজার ১৭৮ জন, মৃত্যু হয় ১২৬৪ জনের। এরপর আগস্ট থেকে শনাক্ত ও মৃত্যুহার কমতে শুরু করে। ওই মাসে শনাক্ত হয় ৭৫ হাজার ৩৩৫ জন এবং মৃত্যু হয় ১১৭০ জনের। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত ৫০ হাজার ৪৮৩ জন এবং মৃত্যু ৯৭০ জন; অক্টোবরে শনাক্ত ৪৪ হাজার ২০৫ এবং মৃত্যু ৬৭২ জন; নভেম্বরে শনাক্ত ৫৭ হাজার ২৪৮ জন এবং মৃত্যু ৭২১ জন; ডিসেম্বরে শনাক্ত ৪৮ হাজার ৫৭৮ জন এবং মৃত্যু ৯১৫ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শনাক্ত ও মৃত্যুহার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওই মাসে শনাক্ত হয় ২১ হাজার ৬২৯ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৬৮ জনের; ফেব্রুয়ারিতে শনাক্ত হয় ১১ হাজার ৭৭ জন এবং মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। কিন্তু চলতি মার্চে দেশের সবার মধ্যে ঢিলেঢালাভাব লক্ষ করা যায়। এতে শনাক্ত ও মৃত্যু আবার বাড়তে শুরু করে। যার ফলে মার্চে শনাক্ত ৬৫ হাজার ৭৯ জন এবং মৃত্যু হয় ৬৩৮ জনের। আর এপ্রিলে ১৬ দিনেই আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে শনাক্ত এক লাখ ৪৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১৩৬ জনের।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট রোগতত্ত্ববিদ আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে শনাক্ত ও মৃত্যুর যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেটি এপ্রিলের ৫ তারিখের আগের অবস্থার পরিপ্র্রেক্ষিতে। অর্থাৎ যে সময়ে দেশের মানুষ মহামারি উপেক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেছিল। গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তার ফল পেতে আমাদের আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া ১৪ তারিখে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তার ফল পেতে পরবর্তী ৩ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। এটিই রোগতাত্ত্বিক হিসাব। তিনি বলেন, চলতি ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না। এ ধরনের কঠোরতা অবলম্বন করা সম্ভব না-হলেও অন্তত ৫ তারিখের পর যে ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল সেটি বলবৎ রাখতে হবে। নয়তো সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে না।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ৪১৭ জনের, এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ১১ হজার ৭৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ দুই হাজার ৯০৮ জন।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৭০৭টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৯০৬টি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সরকার দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে সেটি সর্বাত্মক ব্যবহার করা গেল না। তিনি বলেন, এই সময়ে সবাই বাসায় রয়েছে। তাই পরীক্ষার হার বাড়ানো যেত। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ৩০ হাজারের ওপর পরীক্ষা হতো, বর্তমানে সেটি কমিয়ে ১৮ হাজার আনা হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা আপাতদৃষ্টিতে কম দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সময়টি কার্যকর ব্যবহার করা হলো না। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে কারফিউ জারি করা হলে সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো। বাকি জেলাগুলো স্বাভাবিক রেখে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাত লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় চার লাখই যুবক, যাদের বয়স ২১-৪০ বছরের মধ্যে। অন্যদিকে এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের আট হাজারের বেশির বয়স পঞ্চাশের ওপরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুবকরা বাইরে বের হচ্ছে বেশি, তাই সংক্রমিতও বেশি হচ্ছে। আর নানা শারীরিক জটিলতার কারণে বয়স্কদের মৃত্যুর হার বেশি। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশের বয়স ২১-৪০ বছর। সংখ্যার হিসাবে তা তিন লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৪ জন। এদের মধ্যে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশের (এক লাখ ৯৪ হাজার ৭৫) বয়স ২১-৩০ বছর। ৩১-৪০ বছর বয়সি ২৭ দশমিক ১ শতাংশ বা এক লাখ ৯০ হাজার ৫৫৯ জন। শনাক্ত রোগীর ২ দশমিক ৯ শতাংশের বয়স ১০ বছরের কম। ১১-২০ বছর বয়সের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ৪১-৫০ বছর বয়সের ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ৫১-৬০ বছর বয়সের ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ্ব ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যে ১০ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮০ দশমিক ৮৯ শতাংশ অর্থাৎ আট হাজার ১৫৫ জন। মোট মৃত্যুর ৫৬ দশমিক ২৯ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ হাজার ৬৭৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

দেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশই পুরুষ। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত ১০ হাজার ১৮২ জনের মধ্যে সাত হাজার ৫৬৬ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৬১৬ জন নারী। অর্থাৎ, শতকরা ৭৪ দশমিক ৩১ ভাগ পুরুষ এবং ২৫ দশমিক ৬৯ ভাগ নারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, হরমোনজনিত কারণে নারীদের আক্রান্তের হার কম।

নারীদেহে যে হরমোন আছে, সেটা পুরুষের নেই। এই হরমোনগুলো ভাইরাসকে সংক্রমণে বাধা দেয়। এই হরমোন থাকার ফলে এক ধরনের ইমিউনিটি তৈরি হয়, যা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ঢাকা। আইইডিসিআর গত ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ৫১ হাজার ১০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখিয়েছে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ। উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৯ শতাংশ। যেখানে সারা দেশের গড় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/412330