৯ এপ্রিল ২০২১, শুক্রবার, ৩:০৯

গ্রীণ হাউজ ইফেক্টে ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের কৃষকরা

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে যেসব দেশ, তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। গ্রীণ হাউজ ইফেক্টের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে বাংলাদেশের কৃষকরা। কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন ধান গবেষকরা। নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা এবং গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলাসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ৪ এপ্রিলের হিটশকে বোরো আবাদের ন্যূনতম ৫ শতাংশ (ধানগাছ) মরে গেছে। এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

জানা গেছে, বাংলাদেশের ওপরে ঘন মিথেন গ্যাসের রহস্যময় ধোঁয়া দেখা গেছে। এ নিয়ে পরিবেশবিদদের ভাবিয়ে তুলেছে। বাংলাদেশের উপরে মিথেন গ্যাসের আস্তরণ শনাক্ত করেছে অন্তত তিনটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা। নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক ও ডেটাসেবা প্রদানকারী এবং মিডিয়া কোম্পানি ব্লুমবার্গ তাদের একটি প্রতিবেদনে এই গ্যাসকে ‘রহস্যময়’ বলে উল্লেখ করেছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ডাটা পর্যালোচনা করে ব্লুফিল্ড টেকনোলজিস ইনকরপোরেশন। মে মাসে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ওপরে বিপুল পরিমাণ মিথেনের মেঘ দেখতে পায়। পাশাপাশি তারা বাংলাদেশের ওপরে মিথেনের ঘনত্বটা শনাক্ত করে। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইয়োতাম এরিয়েল বলেন, আমাদের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মিথেন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ বিষয়টি স্যাটেলাইটেই শনাক্ত করা যায়। তবে সবচেয়ে বেশি মিথেন গ্যাসের উৎস কোনটি তা চিহ্নিত করার কাজ সবেমাত্র শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। মহাশূন্য থেকে এই পর্যবেক্ষণ হতে পারে মৌসুমী। অর্থাৎ মৌসুমভেদে এর পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এর কারণ, মেঘের আচ্ছাদন, বৃষ্টিপাত এবং আলোর তীব্রতার ভিন্নতা। সমুদ্র থেকে নিঃসরিত গ্যাস শনাক্ত করা স্যাটেলাইটের জন্য কঠিন হতে পারে। এসব গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে আর্কটিকের মতো উচ্চতর অক্ষাংশে। আর্কটিকে রাশিয়ার রয়েছে তেল ও গ্যাস পরিচালনার বড় কর্মযজ্ঞ। এর ফলে সীমিত ডাটা পাওয়া যাচ্ছে, যার ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক সার্বিক পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যে মাত্রায় মিথেন গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এর কম উচ্চতা এবং জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব এই দেশটিকে চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিপন্ন করে তুলেছে। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ার বর্তমানে বাংলাদেশ। এই ফোরামের ৪৮টি সদস্য দেশে রয়েছেন ১২০ কোটি মানুষ। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা গেছে, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা এবং গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, চুয়াড়াঙ্গা, ঝিনাইদহ রাজশাহী ও ময়মনসিংহ জেলাসহ কিছু অঞ্চলে ৪ এপ্রিলের হিটশকে বোরো আবাদের ন্যূনতম ৫ শতাংশ (ধানগাছ) মরে গেছে। এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে হিটশকের মাত্রা ধরা হয়। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে মার্চের শেষ দিক থেকে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে

জানা গেছে, গত রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর সারাদেশের মতো কালবৈশাখীর ঝড়ো বাতাস শুরু হয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতেও। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বাতাস ছিল অতিরিক্ত গরম। দেশের অধিকাংশ এলাকায় এরপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সেসব এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। পরদিন ৫ এপ্রিল সকালে ক্ষেতে গিয়ে মাথায় হাত পড়ে কৃষকের। সূর্যের প্রখরতা যত বেড়েছে, ততই বোরো ধানের শীষ মরতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় একই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি কী ঘটেছে তা পরিষ্কার ছিলেন না কৃষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এ ধরনের ঘটনা নতুন না হলেও সাধারণ মানুষের কাছে বেশি পরিচিত নয়। কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।

গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নেত্রকোনার তিনটি উপজেলা পরিদর্শন করেছেন গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল)। এই দলে ছিলেন ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নজমুল বারী, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিক ইকবাল খান এবং উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সাজ্জাদুর রহমান।

তারা বলেন, বাতাসে যদি জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি থাকে এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারের কম থাকে, তখন আমরা যে তাপমাত্রা পরিমাপ করি না কেন, এর চেয়ে অনুভব তাপমাত্রা অনেক বেশি হবে। তখন মনে হয় গায়ে লু-হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। হাওর এলাকায় সেটা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি ফসলের জন্য ক্ষতিকর। নাজমুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রা বাড়া অথবা কমা দুই কারণে হিটশক বা হিট ইনজুরি হয়ে থাকে। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে হিটশকের মাত্রা ধরা হয়। গরম বাতাস এমন সময় হয়েছে, যখন ওইসব এলাকার ধানের ফ্লাওয়ারিং স্টেজ চলছিল। তাই ওইসব ধানের শীষ থেকে পানি বেরিয়ে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। হাওর এলাকায় তাপমাত্রাটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। হাওর এলাকায় পানি থাকলে এবং সূর্যের তাপ থাকলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে এবং বাতাসের গতি না থাকলে আমরা হয়তো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করলাম, কিন্তু তাপমাত্রার অনুভব ৪০ ডিগ্রি সেলিসয়াসের বেশিও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. শাহ আলম জানান, হাওর এলাকায় মনে হচ্ছে তাপমাত্রাটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। ধান ফুল থেকে পুষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়ায় যে তাপমাত্রার দরকার ছিল, তার চেয়ে সেখানে বেশি ছিল বলে মনে হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের এটি একটি প্রভাব।

হিটশক দেশে নতুন নয় উল্লেখ করে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব বিভাগের সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমরা হিটশকের তথ্য রেখেছি। এ পর্যন্ত যশোর সদর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, গাজীপুরের কালিয়াকৈর এবং ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে এর আগে হিটশক হয়েছে। তবে কখনো গ্রামের এক-দুইটি মাঠে বা কোনো একটি এলাকার ক্ষেতে হয়েছে। এতো বড় হিটশক এটাই প্রথম। তিনি বলেন, এ বছর কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি না থাকায় ক্ষতি হয়েছে বেশি। সাধারণত কালবৈশাখীর পরে বৃষ্টি হয়। তাই তাপমাত্রা কমে যায়; এমন হয় না। ৪ এপ্রিল যেখানে যেখানে বৃষ্টি হয়েছে, সেখানে ক্ষতি হয়নি।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা নেত্রকোনার স্থানীয় কৃষক ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবার এক লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৩ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ গরম বাতাস শুরু হয়। যেসব এলাকা দিয়ে ওই বাতাস প্রবাহিত হয়েছে, সেসব এলাকার বোরো ধানের ক্ষেতের শীষ মরে গেছে। কৃষকরা জানান, ৫ এপ্রিল সকালে রোদ ওঠার পর হাওরে গিয়ে দেখি থোড় আসা ধান মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। ধান মরে গেছে।

নেত্রকোনা জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার হাওড়াঞ্চলে মোট ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়। এরমধ্যে হাইব্রিড (হীরা) জাতের ধান ও বিআর ২৯ জাতের ধানে ক্ষতি বেশি হয়েছে। হাওরাঞ্চলে হাইব্রিড (হীরা) জাতের ধান মোট ১০ হাজার ৩৩০ হেক্টর এবং বিআর ২৯ জাতের ধান প্রায় সাত হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছিল। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতির খবর আসলেও ক্ষতির সঠিক তথ্য এখনো দিতে পারছে না জেলা কৃষি অধিদফতর।

এদিকে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের হাওরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরম বাতাসের প্রভাবে ২৫ হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। ৫ এপ্রিল জেলার করিমগঞ্জের উরদিঘী, ইটনার রায়টুটি, মিঠামইনের বড় হাওরসহ কয়েকটি হাওরে গিয়ে ধানের শীষ শুকিয়ে যাওয়ার প্রমাণ মেলে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, কিশোরগঞ্জে এ বছর মোট এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে জেলার হাওরাঞ্চলসহ কয়েকটি অঞ্চলের মোট ২৫ হাজার হেক্টর জমির ধান এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সর্বশেষ জরিপ শেষে প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে গরম বাতাসে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রাথমিক হিসেবে উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমির ধান (ফুল অবস্থায়) সবুজ থেকে সাদা হয়ে ধানের শীষ নষ্ট হয়ে গেছ। তবে কৃষকদের মতে, ধান নষ্ট হওয়া জমির পরিমাণ আরো বেশি।

চলতি বোরা মৌসুমে হাওরাঞ্চলে বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু গত রোববারের আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় কৃষকদের স্বপ্নসাধ ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। গরম ঝড়ো হাওয়ায় ধানগাছ সাদা রঙ ধারণ করে চিটা হয়ে গেছে। সুদের ওপর ঋণ নিয়ে ফসল ফলিয়ে গোলায় তোলার আগেই গরম দমকা ঝড়ো হাওয়ায় সেই ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে ধান নষ্টের সাথে কৃষকদের স্বপ্নও ভেঙে গেছে।

সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, এসব সমস্যা সম্পর্কে আমরা অবহিত। তার মতে মিথেনের সবচেয়ে বড় অংশ আসছে ধানক্ষেত থেকে। কৃষকরা যখন তাদের জমিতে সেচ দিয়ে ভাসিয়ে দেন, তখন মাটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া প্রচুর পরিমাণে গ্যাস নিঃসরণ করে। তার মতে, এই গ্যাসের আরেকটি উৎস হলো মাটিতে থাকা বা খনিজ গ্যাস। উপরের বিভিন্ন জিনিসের স্তর ভেঙে যাওয়ার ফলে এসব গ্যাস উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা এ বিষয়টিকে প্রশমনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তার মতে, গৃহপালিত পশু, তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের লিক, ভূমিতে আবদ্ধ গ্যাস এবং কয়লা খনি হলো মনুষ্যসৃষ্ট কর্মকা-, যা থেকে মিথেন গ্যাস নিঃসরিত হয়। বর্তমান বিশ্ব উষ্ণায়নের কমপক্ষে এক চতুর্থাংশের জন্য মনুষ্য সৃষ্ট মিথেন নিঃসরণ দায়ী বলে মনে করে এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড।

যুক্তরাষ্ট্রে গবেষকেরা আগেই সতর্ক করে বলেছেন, মিথেন গ্যাসের ছড়িয়ে পড়ার হার যদি কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনা না যায়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমানে যেসব লড়াই সংগ্রাম চলছে, তাতে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও গবেষক রবার্ট জ্যাকসন বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য বর্তমানে যেসব কর্মসূচি চালানো হচ্ছে তাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের ওপরেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এর পেছনে যথেষ্ট কারণও আছে। তবে আমরা যদি এখন এই মিথেন গ্যাসের দিকে নজর না দেই, তাহলে সেই ঝুঁকিটা থেকেই যাবে। মিথেনের গ্রিনহাউজ এফেক্ট বা বায়ুম-লের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি। কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায়, মিথেন গ্যাস, বায়ুম-লে তাপমাত্রা এক শতাব্দীকাল সময়ব্যাপী ৩০ গুণ বেশি ধরে রাখতে পারে।

https://dailysangram.com/post/449003