৩১ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ৭:২৯

চট্টগ্রামে ডিবি পরিচয়ে একই পরিবারের ব্যবসায়ী সদস্যসহ ৩ জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে এক সপ্তাহ আগে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একই পরিবারের ব্যবসায়ী সদস্যসহ তিনজনকে তুলে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস কাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন ব্যবসায়ী এস এম শফিকুর রহমান এবং তার দুই শ্যালক মো: হাসান তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সাথীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া টুম্পা বলেন, গত ২৪ মার্চ দুপুরে ছয়জন নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে আলফালাহ গলির বাসায় ঢুকেই তারা উল্লেখিত তিনজনের মোবাইল সেট কেড়ে নেয়। এরপর একটি সাদা কাগজে দস্তখত করার জন্য আমার স্বামীর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন।
‘দস্তখত দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী ও ভাই মোয়াজ্জেমকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তারেক মোটরসাইকেল নিয়ে মাইক্রোবাসের পেছনে পেছনে যেতে থাকলে পাঁচলাইশ থানার সামনে থেকে তাকেও মোটরসাইকেলসহ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২৫ মার্চ খুলশি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওই দিন রাতে শফিকুর তার মোবাইল থেকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের যারা তুলে নিয়ে এসেছে তারা নাকি সরকারের বিশেষ টিমের লোকজন। আমার এখানে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমাদের ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমাদের এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করো।
শফিকুর রহমানের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী ও ভাইদের কোনো অপরাধ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচার হোক। কিন্তু ছয় দিন ধরে তাদের থানায় সোপর্দ না করে যেভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে এটা কোন আইনে পড়ে। কোনো চিহ্নিত অপরাধীকেও তো এভাবে গুম করে রেখে নির্যাতন চালানো যায় না। স্বামী শফিকুর দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে দাবি করেন তার স্ত্রী টুম্পা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তারেকের বোন বিবি আমেনা রুম্পা। এ সময় তারেকের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ফৌজিয়া আইনুন নাহার রুমিও উপস্থিত ছিলেন। নিজের স্বামীসহ তুলে নিয়ে যাওয়া তিনজনকে ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রুমি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরিবার। কিন্তু ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কাউকে তুলে নিয়ে যায়নি।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/208233