৩১ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ৭:২৭

সরেজমিন ভোটের চিত্র

সংঘর্ষ কেন্দ্র দখল ব্যালট ছিনতাই বোমাবাজি

কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হল বহুল প্রত্যাশিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার ঘটনাও ঘটে। আবার তালিকায় নাম না থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েও ভোট দিতে পারেননি অনেকে। সকালে ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন থাকলেও ভোট গ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ ছিল বিস্তর। ক্ষুব্ধ ভোটাররা বিষয়টিকে প্রশাসনের গোপন কারসাজি বলে উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যথারীতি শেষ হয় বিকাল চারটায়। দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা নৌকা ও মনিরুল হক সাক্কু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করেন। দুপুরের পর অনেক কেন্দ্র ভোটারশূন্য থাকলেও এসব কেন্দ্রে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানানো হয়। সাধারণ ভোটারদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবেদককে বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ইসি চেষ্টা করেও স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে তা অনেকটা ব্যর্থ হয়। ইসির নির্দেশ যারা অমান্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি।
কয়েকটি অনিয়মের ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে টিভি চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারিত হওয়ায় চাপের মুখে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া জাল ভোটের কারণে একজনকে ছয় মাসের জেল দেয়া হয়।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই ভোটারদের উপস্থিতি ভালো ছিল। মহিলা ও তরুণ ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নানা অনিয়ম ও নাটকীয়তা। ভোটার সেজে ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে সিল মারা, নির্বাচন কর্মকর্তাদের অসহায়ত্ব এবং প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ছিল প্রকাশ্য। নির্বাচন কমিশন থেকে বহিরাগতদের বের করে দিতে বারবার নির্দেশ দেয়া হলেও স্থানীয় প্রশাসন তা আমলেই নেয়নি। উল্টো অনেক কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। দুপুরের পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। দুপুর বারোটার দিকে সাততলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিছু যুবক ভোটার সেজে ভেতরে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারে। এ সময় কেন্দ্রে পুলিশসহ প্রশাসনের অসংখ্য সদস্য উপস্থিত থাকলেও তাদের নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।
পৌনে এগারটায় কুমিল্লা সিটি সরকারি কলেজে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সরকারি দলের ক্যাডাররা। এ সময় সেখানে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার সমর্থকরা প্রতিরোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। উল্টো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এ সময় কয়েকজন কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ঢোকায়। শহরের কয়েকটি এবং সদর দক্ষিণ থানার ৯টি ওয়ার্ড ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। কেন্দ্র পাহারাসহ টহল ডিউটিতে র্যাব-পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করলেও বেশিরভাগ ঘটনায় তাদের ভূমিকা ছিল নীরব। অনেক কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খরক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যকে প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে ভূমিকা রাখতে দেখা যায়।
শহর ছিল আ’লীগ ও বহিরাগতদের দখলে : সকাল থেকে বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। কেন্দ্রের সামনে তো দূরের কথা অনেক কেন্দ্রে ধানের শীষের পোলিং এজেন্টই ছিল না। বেশ কিছু কেন্দ্রে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখা না মিললেও কুসিকের অলিগলি ছিল আ’লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং বহিরাগতদের দখলে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা নেপথ্যে থেকে পুরো বিষয়টি তদারকি করেন বলে জানা গেছে। কার নেতৃত্বে কারা কোন কেন্দ্রে থাকবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল থেকে তারা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে গলায় নৌকা প্রতীকের ব্যাজ লাগিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন। কিন্তু এসব বহিরাগতদের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। উল্টো অনেক কেন্দ্রের সামনে বহিরাগতদের সঙ্গে পুলিশকে চায়ের আড্ডায় দেখা যায়।
বহিরাগতদের ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে সিইসির কাছে অনুরোধ জানায় বিএনপি। সিইসি কুমিল্লা পুলিশ সুপারকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ইসির নির্দেশকে আমলেই নেয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সরকারি দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।
সরকারি সিটি কলেজে বিএনপিকে বের করে দিয়ে ব্যালট ছিনতাই : নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের আড়াই ঘণ্টা পরই পৌনে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০-২৫ জন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র দখল করে। তারা জোরপূর্বক ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমার নৌকা প্রতীকে ভোট দেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলরের পক্ষেও সিল মারেন তারা। এ সময় কেন্দ্রের বাইরে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মাহবুবুর রহমান বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
ঘটনার পরই রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, অনিয়মের ঘটনায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কয়েকজন বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ হওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করে তিনশ’র বেশি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে সটকে পড়েন। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফরিদ আহমেদ বলেন, কিছু ছেলে ঝড়ের বেগে এসে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে এভাবে সিল মেরেছে। তার কিছুই করার ছিল না। তিনি জানান, এ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৭৭২ জন। যার মধ্যে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ৯০০ ভোট পড়ে।
ভোট গ্রহণ চলাকালে নৌকার ব্যাজ পরা কয়েকজন যুবক চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে দেয়। পরে তারা এসব সই করতে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে চাপ দেয়। কিন্তু তিনি স্বাক্ষর না দেয়ায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। চৌয়ারা কেন্দ্রে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক পুলিশের কাছে এসব বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান। তবে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। এ সময় তারা ‘আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে’ কেন্দ্র থেকে চলে যান। পরবর্তীকালে এ কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে এক পর্যায়ে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
একই ঘটনা ঘটে নেউরা এমআই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এখানে প্রকাশ্যে গণসিল মারতে দেখা যায়। গণমাধ্যমকর্মীরা যাওয়ার পর তাড়াহুড়ো করে ব্যালট সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় কিছু ব্যালট পেপার ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিও ও স্থির ছবি এক ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
বিএনপির এজেন্ট প্রবেশে ছাত্রলীগের বাধা : শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরুষ ও নারীদের দুটি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ওই কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে ঘেরাও করে রাখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তাদের বাধার মুখে বিএনপির পোলিং এজেন্টরা নির্ধারিত সময় ৮টার মধ্যে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির এজেন্টরা ওই দুই কেন্দ্রে প্রবেশ করে। কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথের বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট জসিম সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগের বাধার মুখে সকাল ৭টায় এসেও তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারিনি। পরে সাড়ে ৯টায় প্রবেশ করেছি।’ একই অভিযোগ করেন ওই কেন্দ্রের ১ নম্বর বুথের বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট কবিরুল ইসলাম।
এখানে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলীয় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট আরিফ ও ইদ্রিসের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই ভোট কেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কেন্দ্রে দু’চারজন ছাড়া কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। বেলা ১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট পাওয়া যায়নি। বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে নাকি নিজেরাই বের হয়ে গেছেন তা জানাতে পারেননি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
প্রিসাইডিং অফিসারের কান্নাকাটি : দুপুর পৌনে ১টার দিকে হঠাৎ করেই দখল হয়ে যায় ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। দখলের আগে কেন্দ্রটি রহস্যজনক কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শূন্য হয়ে পড়ে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে জোর করে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারতে থাকে। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার মো. দিদারুল ইসলাম জাল ভোট না দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানান। কিন্তু তাদের প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি অসহায়ের মতো কাঁদতে থাকেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ভোটাররা জানান, ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও দুপুর পৌনে একটার দিকে ভোটারের উপস্থিতি কমে যায়। উপরের নির্দেশে ২০-২২ জন সমর্থক কেন্দ্রটিতে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে ব্যালট দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। প্রিসাইডিং অফিসার মো. দিদারুল ইসলাম এতে রাজি না হওয়ায় তারা উচ্চবাচ্য শুরু করেন। এ সময় তারা প্রিসাইডিং অফিসারসহ ভোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। প্রিসাইডিং অফিসার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লে তারা টেবিল থেকে ব্যালট বই নিয়ে ইচ্ছেমতো সিল মারতে থাকেন। এ সময় প্রিসাইডিং অফিসারকে বলতে শোনা যায়, ‘আই অ্যাম নট সেফ’।
এ ব্যাপারে প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘ঘটনা সত্য। আমার ৫টি বুথের মধ্যে সবগুলোতেই জোর করে জাল ভোট দেয়া হয়। ১২টা ৩৫ মিনিটে প্রথমে দ্বিতীয় তলায় বুথে প্রবেশ করে জোর করে মুড়ি বই নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে আমার অফিসারের ধস্তাধস্তি হয়।’

 

http://www.jugantor.com/first-page/2017/03/31/113512/