৩ এপ্রিল ২০২১, শনিবার, ১১:২৮

আবার লাগাম ছেঁড়া সবজির দাম

সবজির দাম আবার চড়া। ক্রমেই বাড়ছে দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি সবজির কেজিতেই ৫-১০ টাকা বেড়েছে। ৫০ টাকার নিচে বাজারে ভালো কোনো সবজি নেই। পেঁয়াজ-আলুর দাম স্থিতি অবস্থায় আছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পটোল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়স। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। তবে সজনে ডাটার দাম কিছুটা কমে এখন ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা নিম্নমানের সজনে পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকায় কেজি। রমজান শুরু না হতেই বেগুনের দাম বাড়তে শুরু করেছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ৫০-৬০ টাকার নিচে কোনো বেগুন পাওয়া যাচ্ছে না। গত সপ্তাহেও ভ্যানে এই বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি। শীত শেষ হলেও শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম এখনো বাজারে দেখা যাচ্ছে। তবে দাম চড়েছে। ২০-২৫ টাকা পিস দামের ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে এখন ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শিমের দাম বেড়ে এখন ৫০ টাকা কেজি। ধুন্দল, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। মৌসুমের শেষের দিকে টমেটোর দাম নেমেছিল ১০ টাকায় কেজি। এখন সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।

মানিকনগর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন বলেন, শীতের সবজি সামান্য কিছু আসছে বাজারে। তবে দাম বেশি। ভরা মৌসুমে এসব সবজির দাম কম ছিল। এখন আবার বেড়েছে। আর গ্রীষ্মের সবজির দাম আগে থেকেই বেশি। এরপরেও কোনো কোনো সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। আলা উদ্দিন বলেন, রমজানের আগে সবজির দাম আরো বাড়তে পারে। শবেবরাতের আগেই বেড়েছে সব গোশতের দাম। গরুর কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। অথচ শবেবরাতের আগেও এই গোশতের দাম ছিল ৫৬০ টাকা। শবেবরাতের আগে সেই যে মুরগির দাম বেড়েছে, এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। সোনালি ৩০০ টাকা আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা। দেশী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার ওপরে।

বাজারে পেঁয়াজ আর আলুর দাম অনেক দিন ধরেই একই রকম আছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি।

বাজারে ডিমের দামটা এখনো মানুষের নাগালের মধ্যে আছে। এক শ’ টাকায় ১৩-১৪ পিস মুরগির ডিম পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাঁসের ডিম আর দেশী মুরগির ডিমের কথা সাধারণ মানুষ চিন্তাও করতে পারেন না। ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে হাঁসের ডিমের ডজন। আর দেশী মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা। তাও আবার অনেকের অভিযোগ প্রকৃত দেশী মুরগির ডিম না দিয়ে অনেক সময় পাকিস্তানি কক মুরগির ছোট আকৃতির ডিম ধরিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।

আদা ও রসুনের দামও কম আছে। দু’টি পণ্যই ৬০-৭০ টাকায় কেজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমদানিকৃত রসুন ও আদার দাম বেশি। ১২০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত বড় কোয়ার রসুন।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/573379/