১ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:১১

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্ত

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শনাক্ত, মৃত্যু এবং শনাক্তের হার। টানা তিন দিন করোনা সংক্রমিত পাঁচ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনায় দেশে মৃত্যু ছাড়িয়েছে নয় হাজার। ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৫৮ জন। মঙ্গলবার ৫ হাজার ৪২ এবং এর আগের দিন ৫ হাজার ১৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। দেশে এ পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এক দিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাত মাসের মধ্যে করোনায় এক দিনে এটিই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু। এর আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট করোনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ৩০ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে করোনায় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৬ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২১৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩৯৯ জন হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২৪টি ল্যাবে নমুনা সগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০টি, জিন-এক্সপার্ট ৩১টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩টি। এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ৬৭১টি। আগের নমুনাসহ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬ হাজার ৯৩১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৭৬টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৩ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫২ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে নয়জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে তিনজন করে ছয়জন, সিলেট বিভাগে দুজন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৫১ জন, বাড়িতে একজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আটজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৭৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ চার হাজার ৮৬১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৩ হাজার ১৩৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৭২৩ জন।

এদিকে দেশে সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশে ৩০টি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা এবং চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, নরসিংদী, ব্রহ্মণবাড়িয়া, যশোর, রাজবাড়ী, ফেনী, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার এবং টাঙ্গাইল। এসব জেলায় সংক্রমণের হার ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/407294/