৩১ মার্চ ২০২১, বুধবার, ৭:০৬

সংক্রমণ গত বছরের চেয়েও ঊর্ধ্বমুখী

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। টানা দু'দিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজারের ওপরে ছিল। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৪২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ১৮১ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনার সংক্রমণের পর এখন পর্যন্ত এটিই এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক সংক্রমণ। এর আগে গত বছরের ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

সর্বশেষ সংক্রমণের মধ্য দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সংক্রমণের ৩৮৮তম দিনে গতকাল মঙ্গলবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৯৩৭ জনে পৌঁছাল। একই সঙ্গে গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে করোনায় মোট আট হাজার ৯৯৪ জনের প্রাণ গেল। এর বিপরীতে গতকাল পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ১৮০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ অতিক্রম করে। আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশে ছিল ২৭তম দেশ। চার লাখ সংক্রমণের সময় ছিল ১৮তম স্থানে এবং সংক্রমণ সাড়ে চার লাখের সময় ২৫তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। সাড়ে তিন লাখ সংক্রমণের সময় ১৫তম স্থানে।

আরেকটি চূড়ার দিকে এগোচ্ছে সংক্রমণ :গত বছরের জুন-জুলাই মাসে দেশে করোনার সর্বোচ্চে সংক্রমণ হয়েছিল। অর্থাৎ সংক্রমণ পিকে পৌঁছেছিল। কিন্তু গত দু'দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি গত বছরের জুন-জুলাই মাসকেও পেছনে ফেলেছে। এতে করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক বাড়ছে।

সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছেন। সেগুলো হলো- মাস্ক ব্যবহার না করা, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা, বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন, ট্যুরিজম স্পটগুলোতে বাড়তি ভিড় এবং যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারও উদ্বিগ্ন। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব স্বাক্ষরিত ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহ ওই নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে নতুন ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ তিনটি ধরনই আগের করোনাভাইরাসের তুলনায় শক্তিশালী। অর্থাৎ এগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। অনেকের আশঙ্কা বাংলাদেশেও এ তিনটি নতুন ধরনের যে কোনোটির সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, ওই তিনটির বাইরে বাংলাদেশেও নতুন ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

এ অবস্থায় দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরামর্শ দিয়েছে করোনা-১৯ মোকাবিলায় সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। চলমান সংক্রমণ পরিস্থিতি বিশ্নেষণ করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে ধারণা করছেন, সংক্রমণের আরেকটি চূড়ার (পিক) দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনা কোর কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন সমকালকে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ হয়েছে। আবার কোনো কোনো দেশে তৃতীয় দফায়ও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বাংলাদেশে এখন দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ চলছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুতই চূড়ার দিকে অর্থাৎ পিকে চলে যাচ্ছে।

সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত পিকে চলে যাওয়া পেছনে মানুষের অসতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণকে দায়ী করে ডা. শাহ মনির আরও বলেন, ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এরপর ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর মানুষের মধ্যে একটি সাহসী মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার ছেড়ে দেন। বিয়েসহ সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ধুম পড়ে যায়। অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষের মনোভাব ছিল, করোনাভাইরাস চলে গেছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মানুষের এমন বেপরোয়া চলাফেরার ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকে।

তিনি বলেন, এখন এটি আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। গত দু'দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি গত বছরের জুন-জুলাই মাসকে পেছনে ফেলেছে। সংক্রমণ আরও বাড়বে। তবে পরিস্থিতি কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। সংক্রমণ পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ একজন মারা যান। সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করে। সংক্রমণ চূড়ায় (পিক) উঠেছিল গত বছরের জুন-জুলাই মাসে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার রোগী শনাক্ত হতো।

মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর ধীরে ধীরে তা কমতে থাকে। দুই মাস সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর নভেম্বরের শুরুর দিকে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকে। তবে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আবার কমতে থাকে। ১৮ জানুয়ারির পর থেকে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু গত ৯ মার্চ তা বেড়ে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশে পৌঁছায়। গত চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

সংক্রমণের চিত্র
এক লাখ ছাড়ায় :সংক্রমণের ১০৩তম দিনে গত বছরের ১৮ জুন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে এবং মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ৩৩৪ জনে পৌঁছায়। সংক্রমণের ৮৭তম দিনে গত বছরের ২ জুন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪৫ জনে এবং মৃতের সংখ্যা ৭০৯ জনে পৌঁছায়। পরবর্তী ১৬ দিনে আক্রান্ত হন ৪৯ হাজার ৮৪৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৬৩৪ জন।

দুই লাখ ছাড়ায় :সংক্রমণের ১১৭তম দিনে গত বছরের ২ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জনে এবং মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৯২৬ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ১২ দিনে ৫০ হাজার ৯৮৫ জন আক্রান্ত এবং ৫৯২ জন মৃত্যুবরণ করেন। সংক্রমণের ১৩৩তম দিনে গত বছরের ১৮ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ এবং মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৫৮১ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ১৬ দিনে আক্রান্ত হন ৪৮ হাজার ৭৮৯ এবং মৃত্যুবরণ করেন ৬৫৫ জন।

তিন লাখ ছাড়ায় :সংক্রমণের ১৫৩ দিনে গত বছরের ৭ আগস্ট মোট আক্রান্তের দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০২ এবং মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩৩৩ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ২০ দিনে ৫০ হাজার ৪৩৬ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেন ৭৫২ জন। সংক্রমণের ১৭২তম দিনে গত বছরের ২৬ আগস্ট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ দুই হাজার ১৪৭ এবং মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ৮২ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ১৯ দিনে ৪৯ হাজার ৬৪৫ জন আক্রান্ত এবং ৭৪৯ জন মৃত্যুবরণ করেন।

চার লাখ ছাড়ায় :সংক্রমণের ১৯৮তম দিনে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৫০ হাজার ৬২১ এবং মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৯৭৯ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ২৬ দিনে মোট ৪৮ হাজার ৪৭৪ জন আক্রান্ত এবং ৮৯৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। সংক্রমণের ২৩৩তম দিনে গত বছরের ২৬ অক্টোবর আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ২৫১ এবং মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮১৮ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ৩৫ দিনে ৪৯ হাজার ৬৩০ জন আক্রান্ত এবং ৮৩৯ জন মৃত্যুবরণ করেন।

পাঁচ লাখ ছাড়ায় :সংক্রমণের ২৬২তম দিনে গত বছরের ২৪ নভেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ এবং মৃতের সংখ্যা ছয় হাজার ৪৪৮ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ২৯ দিনে ৫১ হাজার ৭৩৯ জন আক্রান্ত এবং ৬৩০ জন মৃত্যুবরণ করেন। সংক্রমণের ২৮৮তম দিনে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৭১৩ এবং মৃতের সংখ্যা সাত হাজার ২৮০ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ২৬ দিনে ৪৮ হাজার ৭২৩ জন আক্রান্ত এবং ৮৩০ মৃত্যুবরণ করেন।

ছয় লাখ ছাড়াল :সংক্রমণের ৩৬৫তম দিনে চলতি বছরের ৭ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ এবং মৃতের সংখ্যা আট হাজার ৪৬২ জনে পৌঁছায়। অর্থাৎ ৭৭ দিনে ৪৯ হাজার ৬১৭ জন আক্রান্ত এবং এক হাজার ১৮২ জন মৃত্যুবরণ করেন। সংক্রমণের ৩৮৮তম দিনে গতকাল ৩০ মার্চ আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ পাঁচ হাজার ৯৩৭ এবং মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৯৪ জনে পৌঁছাল। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৩ দিনে ৫৫ হাজার ৬০৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন এক হাজার ৫৩২ জন।

বিশ্নেষণে দেখা যায়, প্রথম সংক্রমণের পরবর্তী ৮৭ দিনে মাথায় আক্রান্ত ৫০ হাজার ছাড়ায় এবং পরবর্তী ২০১ দিনে আক্রান্ত সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। আক্রান্ত সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ ছাড়াতে সময় লাগে ২৬ দিন। প্রথম ৮৭ দিনে মৃত্যুবরণ করেন ৭০৯ জন এবং পরবর্তী ২০১ দিনে মৃত্যুবরণ করেন ছয় হাজার ৫৭১ জন। আক্রান্ত পাঁচ লাখ থেকে ছয় লাখ ছাড়াতে সময় লাগে ৯৯ দিন। এর মধ্যে প্রথম ৫০ হাজার আক্রান্ত হয় ৭৭ দিনে। কিন্তু পরবর্তী ৫০ হাজার দ্রুতগতিতে মাত্র ২২ দিনে আক্রান্ত হয়। এই সময়ে মৃত্যুবরণও করে দেড় হাজারের ওপরে মানুষ। শনাক্তের হারও প্রায় ১৯ শতাংশ ছুঁইছুঁই করছে।

জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের :করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব সমকালকে বলেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। কিন্তু কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেই। জনসাধারণের প্রতি কোনো কঠোর বার্তা দেওয়া হয়নি। জনগণকে ওই পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় জনগণ এটি মেনে চলবে না। সুতরাং সরকারের সংশ্নিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সমকালকে বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। যে কোনো শিথিলতা বিপদ ডেকে আনতে পারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বিশেষ করে মাস্কের ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করেতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সমকালকে বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর হবে। যে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সবাইকে তা মেনে চলতে হবে। সংশ্নিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা ওই ১৮ দফা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে। আপাতত দুই সপ্তাহ এই নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম চলবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

https://samakal.com/bangladesh/article/210357416/