৩১ মার্চ ২০২১, বুধবার, ৬:৪২

গরমে করোনার উচ্চ সংক্রমণ

১৮ দফা নির্দেশনা জারি; সিরামের বাকি টিকার খবর নেই

করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। একদিনের সংক্রমণ গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সামনের দিনগুলোতে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সরকারি ও বেসরকারি সব পর্যায় থেকে। গত সোমবার সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সোমবারের চেয়ে সামান্য কিছু কম ৫ হাজার ৪২ জন আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল করোনার কারণে মৃত্যুবরণ করেছে ৪৫ জন এবং আগের দিন সোমবারও ৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে। গত বছর করোনায় সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন। সোমবারের চেয়ে গতকাল শনাক্ত কম হলেও নমুনা পরীক্ষা সাপেক্ষে সোমবারের চেয়ে গতকাল শনাক্তের হার ছিল বেশি। গতকাল ২৬ হাজার ৬২০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ১৮.৯৪ শতাংশ এবং মঙ্গলবার সারা দেশে ২৮ হাজার ১৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে ১৮.৩৮ শতাংশ। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দেশব্যাপী আরো বেশি নমুনা পরীক্ষা করতে পারলে এমনিতেই আরো বেশি করোনা শনাক্ত হবে। কারণ করোনা পরীক্ষার মেশিন বাড়লেও সারা দেশে নুমনা সংগ্রহ এখনো সহজ হয়নি। সবাই চাইলেও নমুনা দিতে পারছে না এখনো। এ ছাড়া গরম বাড়ার সাথে সাথে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এখন এটা বলা যায়, বাংলাদেশে গরমে করোনা বৃদ্ধি পায়। সামনের দিনগুলোতে গরম আরো বাড়বে এবং ধরে নেয়া যায় এখনই নিয়ন্ত্রণে কঠোর না হলে সংক্রমণ আরো অনেক বাড়বে।

ইতোমধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার গত সোমবার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাগুলো না মানলে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা: মোজাহেরুল হক জানান, ‘বিপজ্জনক এ ভাইরাসটি থেকে বাঁচা এবং তা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। ভাইরাসটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে ফুসফুসের। এ ছাড়া ব্রেইন, হার্ট, কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি করে থাকে।’ তিনি বলছেন, ‘এমন কেউ কি আছেন যে তারা চান তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হোক? আবার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে সবাইকে নয় কাউকে কাউকে কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে সিটও পাওয়া যাচ্ছে না এখন। এই অবস্থায় কারো উচিত হবে না এই ভাইরাসটিকে নিজের শরীরে ডেকে নিয়ে আসা এবং হাসপাতালে অবস্থান করে হাজার হাজার টাকা খরচ করা। তা না চাইলে সবারই উচিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা।’

এ দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকার অবশিষ্ট চালান কবে আসবে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। গত সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ‘টিকার পরবর্তী চালান কবে আসবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন’ বলে জানান সাংবাদিকদের। যথাসময়ে টিকার পরবর্তী চালান না এলে অন্য পরিকল্পনা করার কথাও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। টিকার ব্যাপারে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশকে টিকা দিতে পারলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে এবং এতে দেশ থেকে করোনা বিদায় করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে মাত্র এক কোটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ টিকা টাকা দিয়ে কেনা আর অবশিষ্ট ৩২ লাখ ডোজ ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সারা দেশে গত সোমবার পর্যন্ত ৫৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৯ জনকে টিকা দিয়েছে। সে হিসাবে গতকাল পর্যন্ত সরকারের কাছে ৪৮ লাখ ৮০ হাজার ৩২১ ডোজ টিকা রয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টির জন্য অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিলেই টিকা গ্রহণকারী ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবেন। এই টিকা শতভাগ সুরক্ষা দেবে না। অবশ্য এ পর্যন্ত উদ্ভাবিত কোনো টিকাই গ্রহণকারীকে শতভাগ সুরক্ষা দিতে পারছে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।

হঠাৎ করোনা আগের রেকর্ড অতিক্রম করায় গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভিডিও কনফারেন্স করেন দেশবাসীকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য। এ সময় সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, প্রথম ডোজ দেয়ার পর আগামী ৮ এপ্রিল যাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার সময় হবে তাদের জন্য টিকা সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে যত মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের সবার জন্য এখন দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার মতো টিকা সরকারের হাতে নেই। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা শুরু করার পর আরো চালান যেন আসে আমরা সে জন্য কাজ করছি। আমরা আশাবাদী দ্বিতীয় ডোজের টিকা শুরু করার পর আরো টিকা এসে যাবে।
সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা : করোনা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/ রাজনৈতিক/ ধর্মীয়/ অন্যান্য) সীমিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় করোনার উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিয়ে/ জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ নির্দেশনায় আরো আছেÑ মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন করতে হবে। শপিংমলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং বন্ধ থাকবে। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা ও আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলাও হয়েছে নির্দেশনায়। করোনায় আক্রান্ত ও লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি/ বেসরকারি অফিস/ প্রতিষ্ঠান/ শিল্প কারখানা ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে চালাতে হবে। অন্তঃসত্ত¡া/ অসুস্থ/৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদন করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যেকোনো গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সর্বত্র বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের কথা বলা হয়েছে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনায়।

ফরিদপুরে সস্ত্রীক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদপুরের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনা বাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হলো। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাতে মারা যান শহরের খন্দকার হোটেলের মালিক ঝিলটুলী নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মিজানুর রহমান হালিম (৭২)। এর আগে সোমবার সকালে তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা (৭২) কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা: ছিদ্দিকুর রহমান জানান, মেহেরুননেসা ১০ দিন আগে এবং তার স্বামী মিজানুর রহমান হালিম ৬ দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন। তারা দু’জনেই ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোববার রাতে তাদের ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তারা মারা যান।

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌনে এক ঘণ্টার ব্যবধানে এক নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার তাদের মৃত্যু হয়।

মৃত ব্যক্তিরা হলেনÑ খুলনা জেলা সদরের দোলখোলা এলাকার মৃত অধির কুমার পালের ছেলে করোনাআক্রান্ত অসিত কুমার পাল (৬৫) ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নারী হলেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার আড়ংখোলা গ্রামের ইন্তাজ আলীর স্ত্রী শরীফা খাতুন (৬৪)।
এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ মার্চ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৪ জন। আর ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো অন্তত ১৫৪ জন।

দিনাজপুর সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে জগমোহন চন্দ্র রায় (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত জগমোহন রায় বোচাগঞ্জ উপজেলার মালীপাড়ার বাসিন্দা। দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দিনাজপুরে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের।

গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা জানান, গাজীপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছেন ৬৬ জন। এর আগে সোমবার এযাবৎকালের সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ৫০ জন। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো: খায়রুজ্জামান এ তথ্য জানান। সিভিল সার্জন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় গাজীপুরের ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী নতুন করে আরো ৬৬ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, টিকা নিয়েও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বী। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়ুয়া এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত রোববার নমুনা প্রদান করেন সিভিল সার্জন। সোমবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসলে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন তিনি। এর আগে গত ৭ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা টিকা নেন তিনি। এরপর ৫০ দিনের মাথায় করোনা আক্রান্ত হন সিভিল সার্জন।

উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান গত সোমবার ২৯ মার্চ কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে ৪৬৯ জনের নমুনা টেস্ট করে ৪১ জনের টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ পাওয়া গেছে। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা: শাহজাহান নাজির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সোমবার পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া নতুন ৪০ জন রোগীর মধ্যে ৩৯ জন কক্সবাজার জেলার রোগী। ১ জন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার রোগী।

বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার কারণে বগুড়া প্রেস ক্লাব আয়োজিত মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র, কুটির শিল্প পণ্যমেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া প্রেস ক্লাবের এক জরুরি সভায় থেকেই মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ১০ মার্চ থেকে সরকারি মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল খেলার মাঠে এ মেলা শুরু হয়।

করোনাক্রান্ত তাজউদ্দীন কন্যা এমপি রিমি হাসপাতালে
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা ও সাহিত্যিক সিমিন হোসেন রিমি এমপি এবং রিমির দুই ছেলে ও পুত্রবধূ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিমিন হোসেন রিমি রাজধানীর ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রিমির স্বামী মোস্তাক হোসাইন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ সিমিন হোসেন রিমি এমপি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। এ সময় তার শরীরে করোনা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না। পরদিন নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। তখন থেকেই তিনি বাসায় হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার সর্দি-জ্বর রয়েছে। সোমবার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কিছুটা কমে গেলে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। বর্তমানে তারা হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্ত্রীসহ ছেলেরা এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/572595/