২০ মার্চ ২০২১, শনিবার, ১০:২৬

বাড়ানোর পরও বাড়তি দামে ভোজ্য তেল

পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর দাবির মুখে আগের চেয়ে বাড়িয়ে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন দর ঘোষণা করে। কিন্তু বাজারে এর চেয়েও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে তেল। অবশ্য বাজারে নতুন নির্ধারিত দামের তেল আসেনি। আন্তর্জাতিক বাজারে দর বৃদ্ধির কারণে গত ফেব্রুয়ারিতে ভোজ্য তেলের দর নির্ধারণ করে সরকার। তখনও বাড়তি দরে বিক্রি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে বেড়ে গেছে গরুর মাংস, চিনি ও পাস্তুরিত তরল দুধের দাম।

সরকার নির্ধারিত দর অনুযায়ী, খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিনের সর্বোচ্চ দর ১১৭ টাকা।

কিন্তু বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২১ টাকায়। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দর সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা। অথচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। অবশ্য বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিনের নির্ধারিত দর ৬৬০ টাকায় বা এর কমেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। পাম সুপার তেলের লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকায়।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তথ্যেও সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বাজারে বেশি দর। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী গত তিনদিনে খোলা ভোজ্য তেল লিটারে ১-৩ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া খোলা পাম তেলের দাম লিটারে ২-৩ টাকা বেড়েছে।

কাওরান বাজারের পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী মানিক বলেন, কোম্পানিগুলো সরকারের নির্ধারিত দরে বিক্রি করলেও বাজারে দাম বাড়তি। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে দর বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার মৌলভীবাজারে বিক্রয় আদেশ অনেক বেশি দামে বেচাকেনা হচ্ছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পুরোপুরি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে রমজানে বাড়তি চাহিদার পণ্য ভোজ্য তেলের মতো চিনির দামও বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে তিন টাকা বেড়ে ৬৮-৭০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আরেক দফা বেড়েছে মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে সোনালী মুরগি এখন ৩৪০-৩৫০ টাকা হয়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের তুলনায় ৩০-৫০ টাকা বেশি। মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটেই বাড়তি দামে গরু কেনাবেচা হচ্ছে। এ কারণে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে।

তরল দুধের সুপরিচিত ব্র্যান্ড মিল্ক ভিটা লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়েছে তরল দুধের দাম। নতুন দাম লিটারপ্রতি ৭৫ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে প্যাকেট আটা কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে। এখন বিভিন্ন কোম্পানির আটা ৩৩-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের দামও বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারের মুদি দোকানে আগের চেয়ে প্রতি কেজি ২-৩ টাকা বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে দেখা যায়। বিভিন্ন দোকানে নাজিরশাইল চাল মানভেদে ৬৫-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৬২-৬৬ টাকা এবং বিআর২৮ চাল ৫২-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। দোকানিরা বলেন, মিল পর্যায়ে এখনো চালের দাম বেশি। যে কারণে খুচরায় বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।

https://mzamin.com/article.php?mzamin=266931&cat=2