১৮ মার্চ ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৪:২০

অসতর্কতায় ভয়াবহ হতে পারে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ

করোনা ভাইরাসের কারণে যারা আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেন, তারাও এখন আর মানছেন না। ভ্যাকসিন গ্রহণের কারণে তারা নিরাপদে আছেন এমনটাই ধারণা তাদের। ফলে তারা নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছেন, একইসঙ্গে অন্যদেরও আক্রান্ত করছেন। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার। দেশে করোনা পরিস্থিতির সকল সূচক- নতুন সংক্রমিত, মৃত্যু ও সার্বিক সংক্রমণ হার বাড়ছে, গত সোমবার বিগত তিন মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ কেস সংখ্যা রেকর্ড করা হয়। এদিকে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় দ্বিগুণ বেড়েছে করোনা রোগী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে কোভিড-১৯। অ্যান্টিবডি তৈরির পরও সংক্রমিত হচ্ছে কি না তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই বলে মত তাদের।

জানা গেছে, সব দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কমে আসার পর, জনসাধারণ কিছুটা উদ্বেগমুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে তাদের মধ্যে উদাসীনতা দেখা দেয়। ফলস্বরূপ আবারও সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও এটিই ঘটেছে। তবে এটিও সত্য যে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে সবার ঘরে থাকা সম্ভব নয়। তারপরও বাইরে যাওয়ার সময় সবাই স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার দৃশ্যপটে আরেকটি নতুন ব্যাপারও যুক্ত হয়েছে। যারা আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেন, তারাও এখন আর মানছেন না। ভ্যাকসিন গ্রহণের কারণে তারা নিরাপদে আছেন এমনটাই ধারণা তাদের। ফলে তারা নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছেন, একইসঙ্গে অন্যদেরও আক্রান্ত করছেন। সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হল বর্তমানে অনেকেই মাস্ক পরা ছাড়াই বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।

গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার মৃত্যু সংখ্যা ২৬ জন করে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে মারা গেছেন ১০১ জন। গত এক দিনে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৭১৯ জন। দেশে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট ৮ হাজার ৫৯৭ জনের মৃত্যু হল। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৭ জন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৩৫২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৯ জন হয়েছে। বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর গত ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মার্চ তা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৪০তম অবস্থানে।

এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। চলছে দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে মারা গেছেন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ। আর একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ লাখ ৭১ হাজার। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ হাজার ৫৪৫ জন এবং একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩২৭ জন। গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ কোটি ৭ লাখ ৬৬ হাজার ১৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৬ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার ৮৬ জন।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন, জনাকীর্ণ কক্ষ ও রেস্টুরেন্টে এসব অনুষ্ঠান হচ্ছে, গরমের দিন হওয়ায় ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার চালু করার প্রয়োজন পড়ে। বদ্ধ বাতাসে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এবং সহজেই একজন থেকে আরেকজনের সংক্রমণ হয়। আমরা এখনো জানি না ভাইরাসের নতুন কোনো ধরন এবারের সংক্রমণ হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী কিনা। আমাদের দেশেই ভাইরাসের নতুন কোনো ধরন তৈরি হয়েছে কিনা জিনোম সিকুয়েন্সিং এর মাধ্যমে তা জানার চেষ্টা করছি আমরা। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষে আমরা এব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য জানতে পারবো।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন ১ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের এসব রোগীদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তারা আইসোলেশনে আছেন কিনা, চিকিৎসা পাচ্ছেন কিনা এগুলো খেয়াল রাখতে হবে। এই কঠিন সময়ে আমাদেরই তাদেরকে সাহায্য করতে হবে। সবকিছু পুনরায় খুলে দেওয়ায় আমরা কেউ ঘরে থাকতে পারছি না, যতোক্ষণ পর্যন্ত কেউ গুরুতর অসুস্থ না হন। ফলে তারা প্যারাসিট্যামল খেয়েই কাজে কাজে যাচ্ছেন, এভাবেও সংক্রমণ বাড়ছে। আমাদের এসব মানুষকে সাহায্য করতে হবে, বিশেষত নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে খাদ্যের যোগান ও চাকুরি থেকে ছাটাই হবেন না এমন আশ্বাস দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আমরা একাজে ব্যর্থ হলে সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুরুতর অসুস্থরা যাতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও হাসপাতালে যাওয়ার সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য সচেতনতার প্রসার প্রয়োজন। লকডাউন হবে না, তবে জনসমাগম পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতির সকল সূচক- নতুন সংক্রমিত, মৃত্যু ও সার্বিক সংক্রমণ হার বাড়ছে, গত সোমবার বিগত তিন মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ কেস সংখ্যা রেকর্ড করা হয়। একইদিনে রেকর্ড হয় দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। আর ৮১ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার ধরা পড়েছে সোমবারেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্দ্ধগতিতে বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার। তারপরও লকডাউন চালু করতে নির্দেশ না দিয়ে রেস্তোরা, গণপরিবহন এবং পর্যটন স্থলের মতো জায়গায় ভিড় সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সঠিক জীবাণু সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশ মারাত্মক বিপর্যয়কর পরিণতির মুখে পড়বে। ইতোমধ্যেই, রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় প্রধান হাসপাতালগুলোকে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে সরকারি নির্দেশনা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধি অনুসরণে ঢিলেঢালা আচরণ করছেন অধিকাংশ নাগরিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গত সোমবার জানান, নতুন কেসের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালগুলোকে তৈরি রাখা হয়েছে। তবে বিপর্যয় এড়াতে জনসচেতনতা অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাস্ক না পড়া এবং জীবাণু সতর্কতা ব্যবস্থা মেনে না চলার প্রবণতাটি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।

এদিকে রাজধানীর হাসপাতালগুলোয় দ্বিগুণ বেড়েছে করোনা রোগী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে কোভিড-১৯। অ্যান্টিবডি তৈরির পরও সংক্রমিত হচ্ছে কি না তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই বলে মত তাদের।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাজমুল করিম মানিক জানান, আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে ৩০০-৩৫০ পরীক্ষা করে পজিটিভ আসতো ৩০ জন। এখন আসে ৪৫ জন।

সবশেষ ছয়দিনেই দেশে গড়ে ১ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফেব্রুয়ারিতে আড়াই শতাংশের নিচে নামা শনাক্তের হার এখন সাড়ে ৯ শতাংশ। হঠাৎই কেন বাড়লো সংক্রমণ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের মতো এ বছরও একই মৌসুমে শক্তিশালী হয়ে বিস্তার ঘটাচ্ছে করোনা। টিকা নেয়ার পরও সংক্রমণ ঘটছে কি না, তা নিয়েও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম জানান, যুক্তরাজ্যের করোনার যে নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছিলো; সেটা যাতে না আসে অনেক পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু জানুয়ারি মাসে করোনার নতুন ধরনে ছয়জন শনাক্ত হয়েছে। এর মানে এক হাজার জনের বেশি ছড়িয়ে পড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা ডা. বে-নজির আহমেদ নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি না মানাকেই প্রধানত দায়ী করেন। তিনি বলেন, সংক্রমণ কমার ফলে মানুষের মধ্যে এই ধারণা আসতে পারে যে সংক্রমণ আর হবে না। পর্যটন থেকে শুরু করে বিয়েশাদী বেড়েছে, অনেকগুলো ভোট হল, যেখানে বহু মানুষের সমাগম হয়েছে, যারা নিয়ম-কানুন মানেনি।

মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আহমেদুল কবীর জানান, টিকা আসার পর মানুষের মধ্যে ‘ভুল ধারণা’ তৈরি হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়াও হয়েছে। টিকা আসার আগে মানুষের মধ্যে যে ভয় ছিল, সংক্রমণ কমেই গিয়েছিল। টিকা আসার পর আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে আরেকটা বিপদ ডাকছি।

মহামারি প্রতিরোধে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে যাওয়া ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিন করা, রোগীদের আইসোলেশন করার ক্ষেত্রে শিথিলতা আছে। এর সঙ্গে বদ্ধ জায়গায় অনেক লোকের সমাগমও সংক্রমণ বাড়ার কারণ হতে পারে। তার ভাষ্য, গত বছর মে-জুন এই মাসগুলোয় সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে। এমন হতে পারে গ্রীষ্মপ্রধান দেশে এই ভাইরাসের প্রবণতা হয়ত গ্রীষ্মকালে বাড়ার। কেননা ভারতেও আমাদের মতো সংক্রমণ বাড়ছে। তবে আরও দুই মাস পর ভালোভাবে বোঝা যাবে, এই ভাইরাসের গ্রীষ্মকালে বাড়ার প্রবণতা আছে কি না।

কারণ যাই হোক না কেন, সংক্রমণ যে আবার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে, সেটাই আশঙ্কার বলে মনে করেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক। তিনি বলেন, সংক্রমণ বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সামনে বিপদের দিন আসছে বললে ভুল হবে। সংক্রমণ ঠেকাতে হলে শীতের সময় স্বাস্থ্যবিধি যেমন কঠোরভাবে মানা হয়েছিল, তেমন কঠোর হতে হবে।

https://dailysangram.com/post/446938