১৪ মার্চ ২০২১, রবিবার, ১:০৫

রংপুর বেরোবির ভিসি কলিমুল্লাহর সীমাহীন দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ

ভিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পযর্ন্ত মোট ১ হাজার ৩৫২ দিনের মধ্যে ১ হাজার ১১৫ দিনই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত * চাউলের কেজি ধরা হয়েছে ২৯০ টাকা
* একাই ১৬টি প্রশাসনিক পদে * একইসাথে বিভিন্ন বিভাগের ২৬টি কোর্স পাঠদানের দায়িত্বে -
মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, রংপুর অফিস : রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ’র ১১১টি অনিয়ম ও দুর্নীতির ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রের প্রথম খন্ড প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় বেরোবি শিক্ষকদের অধিকার সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়। অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডক্টর মতিউর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনে ভিসি অধ্যাপক ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ১১১টি অনিয়ম ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই বৃহৎ লিখিত দুর্নীতির তালিকা। তিনি বলেন, ভিসি নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ অসংখ্য দুর্নীতি করেছেন। আমরাও তার অনেক দুর্নীতি সম্পর্কে জানি। যেসব দুর্নীতির ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে, শুধু সেগুলো প্রকাশ করা হলো।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সচিব খাইরুল কবীর সুমন, সদস্য ডক্টর গাজী মাজহারুল, তরিকুল ইসলাম, ডক্টর তুহিন ওয়াদুদ, খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, আসাদুজ্জামান মন্ডল, নুরুজামান খান, ফিরোজুল ইসলাম, মাহবুবার রহমান বাবু, মাসুম খান, রেহমান সরকার, শফিউল ইসলাম, নুর আলম ও রশিদুল হক।

অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, আপনাদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসির দুর্র্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা লজ্জিত এজন্য যে, আপনাদের সামনে গবেষণাপত্র বা গবেষণার ফল প্রকাশ না করে আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর ভিসি প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার শ্বেতপত্র (প্রথম খণ্ড) প্রকাশ করছি। যাতে জনগণের টাকায় পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সঠিকভাবে চলে এবং একজন ভিসি স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতিপরায়ন না হয়ে প্রকৃত অভিভাবক হয়ে শিক্ষার দ্যুতি ছড়িয়ে দেয় দেশ-দেশান্তরে। আমরা জানি অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তার অনিয়ম-অসঙ্গতি-দুর্নীতি তুলে ধরে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করতে পারে গণমাধ্যম। আপনাদের সামনে শ্বেতপত্রে উল্লেখিত ১১১টি অভিযোগের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো তুলে ধরছি। অভিযোগের দালিলিক প্রমাণসহ সবকিছু শ্বেতপত্রে রয়েছে। তবে এসবের প্রাসঙ্গিক বিবরণীও উল্লেখ করছি যা শ্বেতপত্রে হুবহু পাওয়া যেতে নাও পারে।

দুর্নীতি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর চতুর্থ ভিসি প্রফেসর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ২০১৭ সালের ১৪ জুন যোগদান করার পর ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিত থেকে ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে ব্যাপকভাবে একাডেমিক, প্রশাসনিক, ও আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জালিয়াতি, ভর্তি বাণিজ্য, হয়রানি, নির্যাতন, নিপীড়ন আর স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভিসি এসব দুর্নীতি করেন সংঘবদ্ধভাবে। তবে তিনি এসবের মূল নায়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সংঘবদ্ধ দুর্নীতি-অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা করছেন ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে এ সংঘবদ্ধ দুর্নীতির চক্র তৈরি করেছেন তিনি। ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে দুর্নীতির সহযোগীদের নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা করে থাকেন, অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সকল কমিটি, তদন্ত কমিটি, সিন্ডিকেটসহ কেনাকাটা সবকিছু করে থাকেন। ভিসি তার দুর্নীতির সহযোগীদের বিভিন্নভাবে পদোন্নতি-পদ দিয়ে পুরস্কৃত করে আসছেন। এমনকি, অনিয়মের মাধ্যমে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণও দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন, পুরস্কৃত হন পদ-পদবি পেয়ে। নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসার আগেই অবৈধ প্রশিক্ষণে বাধ্য করেন ভিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সহকারী প্রভোস্টসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব দেন তাদের। সম্প্রতি ১৮জন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে রেখে সময় হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী ও জাতীয় পতাকার অবমাননার এজাহারভুক্ত আসামী আমিনুর রহমানকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছেন। কারণ তিনি ভিসির একান্ত সচিব। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম ও বেশ কিছু কর্মকর্তা রয়েছে এসব দুর্নীতির চক্রযানে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠ ও দক্ষ অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও একজন অধ্যাপক একইসাথে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, জনসংযোগ প্রশাসক, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক এবং ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সিন্ডিকেট সদস্যও। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ তদন্ত কমিটির প্রধান ওই অধ্যাপক। ভিসির নির্দেশিত কল্পিত তদন্ত রির্পোট দেন তিনি। তিনি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলে আগের ভিসির স্বাক্ষর জাল করে পূর্বের তারিখে নিয়োগ দেখিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে কর্মচারি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বর্তমান ভিসি তা জানা সত্ত্বেও জালিয়াতির ওই নিয়োগ কার্যকর করেছেন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের উপ-ভিসি ডক্টর আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং জানিপপের সদস্য ডক্টর সাবের হোসেন চৌধুরী, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ডক্টর শুচিতা শরমিন, এবং ভিসির ঘনিষ্টজন তানভীর আবির প্রশিক্ষণ ও মিটিংয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সদ্য নিযুক্ত ট্রেজারার প্রফেসর ডক্টর হাসিবুর রশিদও যুক্ত হয়েছেন দুর্নীতি ও অনিয়মের সিন্ডিকেশনে। আইন লঙ্ঘন করে ডক্টর হাসিবুর রশীদ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন এবং সদ্য অনুমোদনপ্রাপ্ত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদে নিয়োগ নিয়েছেন। অথচ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈতনিক আর্থিক কর্মকর্তা মাত্র। একাডেমিক পদ গ্রহণ করতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের নিকট থেকে এরকম অনৈতিক পদ-পদবি গ্রহণ কোনভাবেই কাম্য নয়। তিনি শিক্ষায়তনের মতো আদর্শিক জায়গায় অবস্থান করার নৈতিকতা হারিয়েছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে নিয়োগ দিয়েছেন, তিনি নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করেছেন।

সিন্ডিকেটের ভিসিসহ ১৬জন সদস্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ আটজনের মধ্যে সাতজনই ভিসির সকল অবৈধ কর্মকান্ডকে অনুমোদন দেন। আর বাকি আটজন সিন্ডিকেট সদস্য বহিরাগত হওয়ায় যাচাই-বাচাই ছাড়াই সবকিছু অনুমোদন দেন। সুতরাং সিন্ডিকেটে বৈধ-অবৈধ সবকিছুই ভিসির ইচ্ছানুযায়ী অনুমোদন পায়। নিয়োগ দুর্নীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগে ভিসির ব্যক্তিগত সংস্থা জানিপপ এবং কিছু কিছু অঞ্চলের প্রার্থীরা প্রাধান্য পেয়ে থাকেন। এছাড়া নিয়োগ বাণিজ্যেরও অভিযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এবং উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে ভিসি ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এবং তার মা। দু’জন মিলেই শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ভিসি নিজেই, ওই অনুষদের ডিন পদেও রয়েছেন ভিসি। ভিসি হিসেবে তিনি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি, অনুষদের ডিন হিসেবেও তিনি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য আর বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তিনিই সদস্য। অপরদিকে তার মা বিষয় ’বিশেষজ্ঞ’ সদস্য। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩৮তম প্লানিং কমিটির সভায় প্রভাষক পদে ৩ অক্টোবর ২০১৯ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অনুকূলে প্রার্থীতা বাছাই করা হয়। বাছাই রেজ্যুলেশনে ডক্টর কলিমউল্লাহ ডিন হিসেবে একটি এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে আরেকটি মোট দুটি স্বাক্ষর করেন। আরেকজন সদস্য স্বাক্ষর করেন। ৫ নভেম্বর ২০১৯ এর বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ওই বিভাগে প্রভাষক (অস্থায়ী) নিয়োগের জন্যও প্লানিং কমিটির রেজ্যুলেশনে ভিসি কলিমউল্লাহ একাইভাবে তিনটি স্বাক্ষরের মধ্যে একাই দুটি স্বাক্ষর করেন। প্রফেসর ডক্টর আবুল কাশেম মজুমদার (বিইউপি-এর বর্তমান উপ-ভিসি) কে অন্তত ১০টি নিয়োগ বোডের্র সদস্য করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিষয় সংশ্লিষ্টতা দেখা হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ডক্টর শুচিতা শারমিনকে করা হয়েছে ৪টি বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে।ভিসির একান্ত সচিব (পিএস) আমিনুর রহমানের ভায়রা-ভাই একেএম মাহমুদুল হককে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের এক বছর পার হতে না হতেই তাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পুন:নিয়োগ দিয়েছেন। দুইজন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের বিপরীতে দুইজনের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে একজনকে প্রথম এবং আরেজনকে দ্বিতীয় করা হয় এবং আমিনুর রহমানের ভায়রা-ভাইসহ দুইজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। মার্কেটিং বিভাগে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগ বোর্ডে একজন প্রার্থীর উপস্থিতিতে একজনকেই নিয়োগ দেয়া হয়। অর্থনীতি বিভাগে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে পছন্দের শিক্ষককে পদোন্নতি দিতে ভিসি কলিমউল্লাহ নিজেই প্লানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন। সিন্ডিকেট সভায় সেকশন অফিসার (গ্রেড-১), রিসার্চ অফিসারসহ বিজ্ঞাপিত সবকয়টি পদে অনুষ্ঠিত নিয়োগ বোর্ড বাতিল করলেও অতিগোপনে পরে রিসার্চ অফিসার পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা নিয়োগের অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে শুধু একজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে তাকেই প্রথম বানিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। শারিরীক শিক্ষা বিভাগের ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর পদে বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলীতে প্রার্থীর বয়স ৩০ বছর হলেও ৩৮ বছর বয়সী সোহেল রানাক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভিসি দপ্তরে সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) হিসেবে সুমাইয়া খানমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তির তিনটি শর্ত লঙ্ঘন করে। বিজ্ঞপ্তির ৪টি শর্ত ভঙ্গ করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল এর একাউন্টস অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছেন ভিসির ঘনিষ্ঠ একজন শিক্ষকের ছোটভাই নুরুজ্জামানকে। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত একেক সময় একেক রকমের করা হয়ে থাকে। ৫ম গ্রেডভুক্ত উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), উপ-রেজিস্ট্রার এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলীতে বয়স ৪০ বছর চাওয়া হলেও একই গ্রেডভুক্ত উপ-প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৫৮ বছর। এই উপ-প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন ভিসির ঘনিষ্ট একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ভিসি কলিমউল্লাহ’র লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে এবং একজন শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের আরেকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভাইভা বোর্ডে ভিসি এবং তার জানিপপের সদস্য শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষক ডক্টর সাবের হোসেন চৌধুরী নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে পছন্দের দুইজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ভিসি তাঁর ব্যাক্তিগত সহকারির (ভর্তি জালিয়াতির অপরাধে সিন্ডিকেট কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত) চার আত্মীয় যথাক্রমে (১) স্ত্রী নুর নাহার বেগমকে সেমিনার সহকারি পদে, (২) মামাতো ভাই গোলাপ মিয়া ও (৩) বন্ধুর ছোট ভাই হযরত আলীকে এমএলএসএস পদে এবং (৪) ফুফাতো ভাই কাওসার হোসেনকে সেমিনার সহকারি পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন।

আইন লঙ্ঘন করে পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) পদে নিয়োগ দিয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একজন অধ্যাপককে। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক পদেও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকতা লে: কর্নেল মনোয়ারুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার নিয়োগপত্রের শর্তে এলপিসি সংযোজনের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও তিনি জমা দেননি। অফিস না করেও বেতন উত্তোলন করেন নিয়মিত তিনি। আইন লঙ্ঘন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারসহ এমন উচ্চতর চারটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে কোন নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। ভিসি তা না মেনে বিভিন্ন নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছেন। আর্থিক দুর্নীতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ ক্রয় ক্ষেত্রেই সরকারি ক্রয়নীতি অনুসরণ না করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে। ভিসির দুর্নীতি সহযোগী শিক্ষক, কর্মকর্তারাও গত সাড়ে তিন বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে ভিসি কলিমউল্লাহর ব্যাপক দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৮ সালে যেই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা তা এখনো ৩৫ শতাংশ কাজের মধ্যেই রয়েছে। ১০ তলা ভবনের কেবল ৪ তলার ছাদ হয়েছে মাত্র। অথচ, বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকা হরিলুটের পরিকল্পনা করেছিলেন। এই প্রকল্পে ভিসিসহ কয়েকজন কর্মকর্তার নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহনপুলের সাথে সংযোগ সড়ক নামে ছোট একটি ইট বিছানো রাস্তা নির্মাণ দেখিয়ে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার দুর্নীতি রয়েছে। ইউজিসি কর্তৃক বরাদ্দকৃত ৩৫ লাখ টাকার কাজকে ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। বিষ্ময়কর বিষয় হলো রাস্তা নির্মাণের এই কাজ করেছে ‘মেসার্স সাহেল ফল ভান্ডার। লোকপ্রশাসন বিভাগের জার্নাল প্রকাশের নামে অন্তত ৬ লক্ষ টাকার হিসেব দিচ্ছেন না ভিসি।ডায়েরি/ক্যালেন্ডার মুদ্রণে অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। বর্তমান ভিসি তাঁর আমলে যত প্রকাশনা তার প্রায় সব কয়টি ঢাকার ‘সোক কম্পিউটার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মুদ্রণ করেন। বিল প্রদানে প্রক্রিয়ার প্রয়োজনে গোপনে একটি কমিটি করে এসব করে থাকেন। যে কোন বছরের ডায়েরি কিংবা ক্যালেন্ডার ছাপানোর খরচের চেয়ে বর্তমানে দ্বিগুণ/তিনগুণ বিল দিয়ে সোক কম্পিউটার থেকে ছাপানো হয়ে থাকে। ২০১৭ সালে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে বই কেনার নামে গঠিত কমিটির আহবায়ক ২৫ হাজার টাকার ভুয়া ভাউচার সমন্বয় করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বাণিজ্য এখন ওপেন-সিক্রেট। ই-টেন্ডারের নামে নিজেদের পছন্দের লোককে কাজ পাইয়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র। ভিসির পিএস আমিনুর রহমান টেকনিক্যাল লোক না হয়েও আইন লঙ্ঘন করে ই-টেন্ডারের এডমিন হয়েছেন। তিনি একাই প্রাই দুই শতাধিক কেনাকাটার কমিটিতে। ভিসি ক্যাম্পাসে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে আপ্যায়ন ব্যয় দেখানো হয়েছে অন্তত ২১ লক্ষ টাকা। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরেই আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে চাউলের কেজিই ধরা হয়েছে ২৯০ টাকা করে। এর আগে বা পরে সকল ভাউচারে চাউলের কেজি দেখানো হয়েছে ১১০টাকা। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করা হচ্ছে। প্রশিক্ষক সমন্বয়কসহ প্রশিক্ষকরা কেউই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নন। অর্থ ও হিসাব দপ্তর মতে, প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবের হোসেন চৌধুরীই গত তিন বছরে সম্মানী বাবদ নিয়েছেন প্রায় ২১ লক্ষ টাকা।

একাডেমিক দুর্নীতি: ভিসি কলিমউল্লাহ একাডেমিক দুর্নীতিও করেন যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ভিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে প্রায় তিন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও পরিচালকসহ একাই ১৬টি প্রশাসনিক পদে থেকে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করেছেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ২৬ (৫) ধারা লঙ্ঘন করে ছয়টি অনুষদের মধ্যে চারটি অনুষদের ডীন দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সমালোচনার মুখে তিনটি অনুষদের ডীন পদ ছেড়ে দিলেও যোগ্য অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। একাধিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদ দখল করে বিভাগের অর্থ তছরুপ করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে বিভাগীয় প্রধান পদ দখল করে অন্তত ১০ লাখ টাকার কোন হিসেব দিচ্ছেন না ভিসি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৯ (২) এর অধীনে প্রণীত সংবিধির ১১(৮) উপধারা লঙ্ঘন করে ৭টি বিভাগের বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন ভিসি। ভিসি কলিমউল্লাহ “সুপার সুপারভাইজার”। ডক্টর ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধীনে এমফিল এবং পিএইচডি কোর্সের অর্ধশতাধিক গবেষকের সুপারভাইজার ভিসি নিজেই। তিনি একাই একইসাথে বিভিন্ন বিভাগের ২৬টি কোর্স পাঠদানেরও দায়িত্বও নিয়েছিলেন। তিনি এসব কোর্স নেওয়ার নামে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। খাতা মূল্যায়ন করেন তার পিএ আবুল কালাম আজাদকে (কর্মচারি) দিয়ে। বিভিন্ন বিভাগের ২৬টি কোর্স নিলেও কোন কোন কোর্সে একটি ক্লাস নিয়ে কোর্স শেষ করেছেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৯ অনুযায়ী বিভাগের বাইরের কোনো শিক্ষককে বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির কোনো সুযোগ নেই। বরখাস্ত ঃ সতর্ক, আদালত অবমাননা,দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে ভিসি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দমন করার জন্য কোন তদন্ত ছাড়াই সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবৈধভবে শোকজ নোটিশ দেন, সর্তক করেন। ভিসি আইন লঙ্ঘন করে এ পযর্ন্ত ১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রেখেছেন। ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত থেকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাও তিনি অমান্য করেন। শিক্ষকদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সতর্ক করেন তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললে।

“দুর্নীতির আখড়া”: ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিস,আইন লঙ্ঘন করে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই ’আফরোজা গার্ডেন’ (২য় তলা), ২৫/১৩ ব্লক-বি, খিলজি রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় ২০১৭ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি লিয়াজোঁ অফিস চালু করেছেন ভিসি। জরুরি কার্যাদি সম্পন্ন করার নামে স্থাপিত ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিস এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল অফিসে পরিণত করেছেন। লিয়াজোঁ অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কার্যপ্রণালী সম্পন্ন করার নামে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, ভুয়া বিলে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। দুর্নীতির নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই লিয়াঁজো অফিস। সিন্ডিকেটসহ সকল সভা ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিসে সংগঠিত হয়। নিয়োগ ও আপগ্রেডেশন বোর্ড ঢাকায় হওয়ায় শত শত শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মমচারিকে সময় ও অর্থ খরচ করে রংপুর থেকে ঢাকায় যেতে হয়। সব ধরনের দুর্নীতির কেন্দ্র হচ্ছে ঢাকায় লিয়াজোঁ অফিস।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত মাত্র ২৩৭ দিন তা আবার এক বা দুই ঘন্টার জন্য! কলিমউল্লাহ’র উপস্থিতি-অনুপস্থিতির হিসাব করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ দেখেছে যে ১৪ জুন ২০১৭ ভিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পযর্ন্ত মোট ১৩৫২ দিনের মধ্যে ১১১৫ দিনই তিনি ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকেছেন। অর্থাৎ উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২৩৭ দিন। কখনোই তিনি পূর্ণদিন উপস্থিত থাকেন না, কখনো ক্যাম্পাসে থাকেন এক ঘন্টা বা দুই ঘন্টা। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ১লা জুন ২০১৭ ইস্যুকৃত তাঁর নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের ৪ নং শর্তে বলা হয়েছে: “তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।” কিন্তু প্রজ্ঞাপনের ওই নিয়োগ শর্ত অমান্য করে ভিসি ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত থাকছেন। তিনি মিথ্যাচাার করেন এই বলে যে তাকে ঢাকায় থাকার জন্য “প্রধানমন্ত্রীর শ্রুতি নির্দেশনা” আছে। প্রায়শঃই বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি সকল কাজ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনোই এমন নির্দেশনা দিবেন না। রেজিস্ট্রার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, আইন কর্মকর্তাসহ ভিসির আশীর্বাদপুষ্ট অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়মিতভাবেই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ কাজেও দুর্নীতি: ,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে-প্রাণে ধারণ করতে পারেন না ভিসি কলিমউল্লাহ যা তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে প্রমাণ মিলে। সম্প্রতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে দায়সারাভাবে অর্থ নয় ছয় করে ক্যাম্পাসের অখ্যাত স্থানে (অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড) বঙ্গবন্ধুর জন্য নিম্ন মানের ম্যুরাল স্থাপন রাজনীতির এ মহানায়কের প্রতি অবজ্ঞারই নিদর্শন। গত বছর ষাটের অধিক গবেষণায় আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হলেও এক শিক্ষককে বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণা বরাদ্দ দেননি তিনি। শেষে ভিসি কলিমউল্লাহ’র দুর্নীতির মহাচিত্রের সরকাররের নিকট আহ্বান জানিয়ে ভিসি কলিমউল্লাহকে দ্রুত অপসারণ করে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করার দাবি জানানো হয়। যাতে কোন ভিসি এমন অপকর্ম করতে না পারেন। শুধু তাই নয় কলিমউল্লাহ’র সংঘবদ্ধ দুর্নীতির সহযোগীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এই ভিসির আমলের সকল নিয়োগ, আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

https://dailysangram.com/post/446548