১৩ মার্চ ২০২১, শনিবার, ১:১৯

অস্থিতিশীল মুরগির বাজার পেঁয়াজের ঝাঁঝ বাড়ছেই

কয়েক সপ্তাহধরে অস্থিতিশীল মুরগির বাজার। প্রতিকেজি কক মুরগির দাম এখন ৩৫০ টাকায় ঠেকেছে। অথচ মাত্র মাসখানেক আগেও এর দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এদিকে বেড়েই যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। চলতি সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশী ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। এছাড়া বাজারে লেবুর দামও অস্বাভাবিক।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, মাসখানেক আগে দেশী মুরগির কেজি ছিল ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। কয়েক দফায় দাম বেড়ে চলতি সপ্তাহে দেশী মুরগির কেজি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা। পাকিস্তানী কক মুরগি মাসখানেক আগে প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে চলতি সপ্তাহে তা ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ কম। তাছাড়া এই সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। তাই মুরগির দাম বেড়েছে। তবে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির গোশতের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির গোশত ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজিতে। এদিকে পেঁয়াজের কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। তবে কিছুদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতিপিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমরার কেজি ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, প্রতিকেজি লতি ৬০ টাকা ও আলু ১৮ টাকা।
বাজারে প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। আর কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৬০ টাকা। পেঁপে প্রতিকেজি ২০ টাকা, খিরা ৩০ টাকা, শসা ৪০ টাকা। মটরশুঁটি প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা। লেবুরদাম বেড়ে প্রতিহালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর আমদানি করা রসুন প্রতিকেজি ১২০ টাকা ও দেশীরসুন (কাঁচা) প্রতিকেজি ৬০ টাকা ও আদা ৬০ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
প্রতিকেজি বি আর-২৮ চালবিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণাচাল ৪৮ টাকা, পোলাওয়েরচাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

পাঁচ টাকা দাম কমে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। হাঁসেরডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশী মুরগিরডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

মাছের বাজারে প্রতিকেজি রুইমাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুরমাছ ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি শিংমাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চিংড়ি প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফলিমাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়ামাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদামাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরামাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভারকাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশী কৈমাছ ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড়মাছ ৫০০, রিটামাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা (ছোট) ১২০ টাকা, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

https://dailysangram.com/post/446404