১০ মার্চ ২০২১, বুধবার, ৫:৫২

করোনা মহামারিতে নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে

মুহাম্মদ নূরে আলম : নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নানা তৎপরতার পরও নারীকে এখনও প্রতিকূল পরিবেশে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। বরং করোনা ভাইরাস মহামারির পরিবর্তিত বাস্তবতায় নারীর প্রতি আরও বেশি সহিংসতার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নারী নেত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনা মহামারির সময়ে নারীর প্রতি পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে। প্রতিনিয়তই এ ঘটনা বাড়ছে বলে অভিমত দিয়েছেন নারী উন্নয়ন কর্মী ও মানবাধিকার নেতারা। করোনা মহামারির এই সময়ে ঘরে বন্দি থাকাবস্থায় প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ থাকছেন না বলেও অভিমত দেন তারা। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে সুপারিশ তুলে ধরেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নারী নেত্রীরা। পাশাপাশি তারা বলেন, পারিবারিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমেই শুধু যে এই সমস্যার সমাধান হবে তা নয়, সম্মিলিতভাবে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার ২২১টি। নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) গৃহীত হয়। এই সনদে ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।

এদিকে করোনার মধ্যেও রাজধানী ঢাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে প্রায় ২০০ মামলা হয়েছে গত বছরের জুন পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ধর্ষণসংক্রান্ত, তারপর যৌতুক ও অপহরণের। সেবাদাতা আর অধিকারকর্মীরা বলছেন, হাসপাতাল বা থানায় যাওয়া কঠিন ছিল, গণমাধ্যমেরও মনোযোগ ছিল মহামারিতে। ঘটনা সম্ভবত আরও বেশি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন খাতায় রাজধানীর ৫০টি থানায় হওয়া মামলার মূল বিবরণ থাকে। এ প্রতিবেদক গত ২৬ মার্চ থেকে ৩ জুনের হিসাব খতিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের অন্তত ১৯৭টি মামলার হদিস পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে ধর্ষণের মামলা ৫৬টি এবং গণধর্ষণের ৮টি। ধর্ষণচেষ্টার মামলা আছে ১৪টি। যৌতুকসংক্রান্ত নির্যাতনে মামলার সংখ্যা ৫১। লকডাউনের মধ্যেও অপহরণের ৩৬টি মামলা হয়েছে। শ্লীলতাহানির মামলা ১৮টি। সাতটি মামলা হয়েছে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এই মামলাগুলো বাদে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরও সাতটি মামলা হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর ২০২০ সালে শিশুদের বিরুদ্ধে অনলাইনে যৌন শোষণের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি ও পরিস্থিতি যাচাই এবং প্রবণতা বিশ্লেষণ বিষয়ক এক গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিগত বছরগুলোতে দেশে শতকরা ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ মেয়ে শিশু অনলাইনে যৌন শোষন, হয়রানি এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অথচ কোভিড পরবর্তী জরিপ পরিচালনায় দেখা যায় এই হার বেড়েছে প্রায় চারগুণ। জরিপের প্রাপ্ত ফল থেকে জানা যায়, ৩০ শতাংশ শিশু জানিয়েছেন, করােনাকালে তারা কোনো না কোনোভাবে ইন্টারনেটে নিপীড়ন বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়া ১২ শতাংশ শিশু এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। নিপীড়িত শিশুদের ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হচ্ছে কন্যা শিশু এবং ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ ছেলে শিশু।

বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-এর তথ্যমতে, গত বছরের এপ্রিল মাসে লকডাউন চলাকালে দেশের ২৭টি জেলায় ৪ হাজার ২৪৯ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ১ হাজার ৬৭২ জন নারীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা প্রথম। ৮৪৮ জন নারী তার স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত এবং এর বাইরেও ধর্ষণ, নারী হত্যা, যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা তো রয়েছেই। এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে ৩১ শতাংশ। করোনাকালে নারী নির্যাতন শুধু দরিদ্র নয়; বরং উন্নত দেশগুলোকেও প্রভাবিত করছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের (লিগ্যাল এইড উপপরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটি) প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে সারাদেশে নির্যাতিত হয়েছে ৩৫১ জন নারী ও কন্যাশিশু। অক্টোবরে যে সংখ্যা ছিল ৪৩৬। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে নির্যাতনের শিকার হয় ৩৪০ জন নারী ও শিশু। এসব তথ্যই জানিয়ে দিচ্ছে, করোনা মহামারির মধ্যেও নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সবমিলিয়ে গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে মোট তিন হাজার ৬২ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে অক্টোবরে সর্বোচ্চ ৪৩৬টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতদের অর্ধেকেরও বেশি (২২৫ জন) শিশু।

করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারির কারণে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই ৬ মাসে ১৬ হাজারেরও বেশি নারী প্রথমবারের মতো পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) এক ফোন জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। দেশের ৫৯ জেলায় ১০ লাখ নারীর অংশগ্রহণে এ জরিপটিতে দেখা গেছে, গত এপ্রিল থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার নারী, পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪০% অর্থাৎ ১৬ হাজার নারী প্রথমবারের মতো নির্যাতিত হয়েছেন।

সংস্থাটি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউন চলাকালে নারীর ওপর সহিংসতার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। গত মার্চ থেকে শুরু করে জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলাকালে প্রথম দুইমাস অর্থাৎ মার্চ ও এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে পারিবারিক সহিংসতা ৩১% বেড়েছে। জরিপটিতে উঠে এসেছে, লকডাউন শুরুর প্রথম মাসে ৪ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২০ জন নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, একজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে লকডাউন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এ অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। বিশেষ করে পারিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনের চেয়েও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা অনেকাংশে বেড়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত যেসব নারীরা পারিবারিক নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন, তাদের ভেতর ৪৭% অর্থাৎ ১৫,৫৭৭ জন মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। এরপর প্রায় ৩০% নারী রয়েছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ডা. ফৌজিয়া মোসলেম গণমাধ্যমকে বলেন, মহামারি চলাকালে নারীর প্রতি সহিংসতা ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা প্রচুর বেড়ে গেছে, যা খালি চোখে বোঝা যায় না। নিজ ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ঘরের সবচেয়ে দুর্বল নারীর ওপর নেমে আসছে নির্যাতন খড়গ জানিয়ে তিনি বলেন, এতবছর ধরে নারীদের নিয়ে কাজ করছি, অথচ ঘরে নারী আদৌ নিরাপদ কিনা, এ বছরই এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন সবচেয়ে বেশি হতে হচ্ছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) শিশু অধিকার ইউনিটের সমন্বয়ক ওম্বিকা রায় বলেন, দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ পাশ হয়েছে ঠিকই কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই আইনে অনলাইনে শিশুদের দ্বারা শিশু নির্যাতন বিষয়টিকে চিহ্নিত করে আলাদা কোনাে বিধান রাখা হয়নি। ফলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। যদিও বেশি বয়সি শিশুরা কম বয়সি শিশুদের চেয়ে অধিক মাত্রায় অনলাইনে নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। তবে সার্বিকভাবে সব শিশুই ক্ষতিকর কনটেন্ট, যৌন হয়রানি এবং নিপীড়নের আশঙ্কায় রয়েছে।

নির্যাতনের মামলাগুলোর ঠিকমত বিচার না হওয়ার কারণেই নারীরা বেশি সহিংসতার শিকার হচ্ছে বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষক ফারজানা রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতন ঘরের মধ্যে হচ্ছে। আপনি তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন, আবার একসাথে ঘরেই থাকবেন; সেটা তো সম্ভব না। সেই ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে মামলা খুব কম হয়। আবার বাধ্য হয়েই মামলাগুলো তুলে নেয় অনেকেই। একজন পুরুষ যখন ধর্ষণ করে, সে যদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার কাছাকাছি কোন ব্যক্তি হয়; তাহলে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। অপরাধীর যখন শাস্তি হবে না তখন এটা তাদের জন্য প্রণোদনা।

সরকারি পরিসংখ্যান: নির্যাতনের শিকার হয়ে নারী ও শিশুদের সেবা গ্রহণের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছরই দেশে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে। নির্যাতনের শিকার নারীদের সহায়তায় সরকারের জাতীয় হেল্পলাইন ‘১০৯’ এ চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত নয় লাখ তিন হাজার ৮৩০ জন নারী ও শিশু সহায়তা নিয়েছেন। ২০১৮ সালে ছয় লাখ ৫০ হাজার এবং ২০১৯ সালে ১৮ লাখ ১১ হাজার নারী ও শিশু চিকিৎসা সেবা, কাউন্সেলিং, পুলিশের সহযোগিতা, আইনী ও অন্যান্য সহযোগিতা নিয়েছেন। আর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলে জুলাই পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার ৪২ হাজার ৮৪৩ জন নারী ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮৪২ জন যৌন নির্যাতন ও ২৮ হাজার ৪৯৪ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্ধযুগে সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২০১৯ সালে। গত ২০১৯ সালে দেশে এক হাজার ৩৭০টি ধর্ষণ, ২৩৭টি গণধর্ষণসহ চার হাজার ৬২২টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ৭১১টি নির্যাতনের তথ্য পেয়েছে মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে গত মাসে ১৭১টি ধর্ষণ, ৪৪টি গণধর্ষণসহ সবচেয়ে বেশি ৪৩৬টি নির্যাতনের ঘটনা এসেছে।

মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতন বেড়ে গেলেও করোনাভাইরাসের কারণে তথ্য প্রবাহে বিঘ্ন ঘটায় প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না। পত্রিকায় যে তথ্যগুলো পাচ্ছি, সে তথ্যগুলোই আমরা দিচ্ছি। কিন্তু গণমাধ্যমে সব তথ্য তো উঠে আসছে না। বিশেষ করে লকডাউনে খুব কম রিপোর্ট হয়েছে। তবে আমরা যারা এসব নিয়ে কাজ করছি, তারা দেখছি ধর্ষণসহ অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

তবে নির্যাতনের যেসব ঘটনা সামনে আসছে, পরিস্থিতি এর চেয়েও নাজুক বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন খন্দকার ফারজানা রহমান। নারী নির্যাতন বন্ধে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা দরকার মনে করেন ফারজানা রহমান। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুলগুলোতে সেক্স এডুকেশন সম্পর্কে কোনো শিক্ষা দেওয়া হয় না। আমাদের বাবা-মায়েদেরও সেই মানসিকতা নাই যে, এই শিক্ষাটা দিবে। বাইরের দেশগুলোতে এই বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমের অংশ, অথচ আমাদের দেশে তা নেই। এই কারণে ছেলেমেয়েরা অল্প বয়সে পর্নোগ্রাফিতে ঝুঁকে পড়ে। নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানির বিষয়গুলো পুরুষদের মধ্যে চলে আসে। যথাযথ শিক্ষাটা খুব জরুরি।

নারীর প্রতি সংহিসতা কমাতে সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ধাক্কা দিতে হবে বলে মনে করেন মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলী। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনাগুলো যারা ঘটাচ্ছে, তারা এক ধরণের ক্ষমতা বলয়ের মধ্যে আছে। এ নিয়ে এতো প্রতিবাদ, লেখালেখি হচ্ছে; তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন, সহিংসতার ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের নারীরা বাইরে নিরাপদ না, ঘরে নিরাপদ না। তারা আজ কোথাও নিরাপদ না। এর পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। সে জায়গা থেকে নির্যাতন প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশেষ করে যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের এমপি থেকে শুরু করে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সমানভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

https://dailysangram.com/post/446107