১ মার্চ ২০২১, সোমবার, ১:৪০

সীমান্তগ্রামে জীবন বিপন্ন

বিএসএফের হাতে নিহতদের পরিবারগুলো আর্থিক দুর্দশায় কাঁটাতারের পাশের গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিশেষ প্রকল্পের প্রস্তাব ‘রক্তের সম্পর্ক’ বন্ধু দুই দেশের বর্ডার পরিচিত পেয়েছে

দুপুরে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে এগিয়ে চলছে বাইক। পথের দু’ধারে গাছগাছালি। মোটরসাইকেলের আওয়াজ শুনে একদল ন্যাংটো ছেলেমেয়ে ছুটে এসে রাস্তায় উঁবুর হয়ে নাক দিয়ে ধোঁয়ার গন্ধ নিচ্ছেন। নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্তের কাঁটাপুকুর গ্রামে পথ ধরে এগিয়ে চলছে বাইক। গন্তব্য হাপানিয়া সীমান্ত। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও এই সীমান্তে বেড়া নেই। দূরে চোখে পড়ল বিএসএফের জোয়ানরা বন্দুক হাতে টহল দিচ্ছেন। সীমান্তের দিকে আগুন্তকদের যেতে দেখেই এক কৃষক চিৎকার করে বললেন, ‘ওদিকে যাবেন না, বিএসএফ গুলি করবে, গুলি করবে....’।

দেশের উত্তর-পশ্চিমের সীমান্ত গ্রাম কাটাপুকুর অজপাড়াগাঁও; মোবাইলে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের নেটওয়ার্ক ভালো। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যুৎ নেই, কৃষি ছাড়া অন্য কাজকর্ম নেই। প্রান্তিক মানুষ বছরের বেশিরভাগ সময় বেকার থাকেন। ফলে সংসারে নিত্য অভাব। নতুন কাউকে দেখলেই লোকজন ছুটে আসেন কিছু পাওয়ার আশায়। হয়তো সরকার বা এনজিও থেকে এসেছে সাহায্য করতে!

চোখ যেদিকে যায় শুধু ফাঁকা মাঠ। ধানকাটা শেষ হয়েছে। এখন তিন সন্তান নিয়ে নিত্য উপোস করেন সুমাইয়া বেগম। ৩০ বছর বয়সেই বুড়িয়ে গেছেন সুমাইয়া। ছেলেমেয়েদের মুখে দু’বেলা ভাত তুলে দিতে পারেন না। পরের বাড়িতে কাজ করে যা পান তা দিয়ে এতোগুলো পেট ভরে না। নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্তের কাঁটাপুকুর গ্রামের সুমাইয়া কতদিন আগে পেটভরে ভাত খেয়েছেন মনে করতে পারলেন না। শুধু বললেন, ‘সংসারে যার কর্মক্ষম পুরুষ নেই; সে পরিবারের দুঃখ কেউ বুঝবে না’।

সুমাইয়ার স্বামী কামাল হোসেনকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী (বিএসএফ) ধানক্ষেত থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। ক্ষেতমজুর কামালকে জমি থেকে ধরে নিয়ে ভারতের হরিপুর থানার আড়াইগজি ক্যাম্পে নেয়া হয়। সেখানে গরু চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনদিন পর লাশ ফেরত দেয়। পাশের গ্রাম দীঘিরপাড়ের মফিজুল ইসলামকেও বিএসএফ পিটিয়ে মেরেছে। সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম পুরুষ হত্যা করায় দুই পরিবারের সদস্যদের ‘উপোস’ হয়ে গেছে নিত্যসঙ্গী।

কয়েক মাস আগে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও জেলার ১৫ থেকে ২০টি সীমান্ত গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সীমান্তের গ্রামের মানুষ ২৪ ঘণ্টাই বিএসএফের আতঙ্কে থাকেন। দুই দেশের সীমান্ত যেন ‘চলমান যুদ্ধক্ষেত্রে’। বিএসএফ তাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। অথচ এক যুগ আগেও তারা বিএসএফকে থোরাই কেয়ার করতেন।

বছরের পর বছর ধরে বিএসএফ সীমান্তে হত্যকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মানবাধিকার ও আইনের শাসন যেন সীমান্ত গ্রামগুলোতে উপেক্ষিত। তথাকথিত ‘গরু চোর অপবাদে’ হত্যার শিকার পরিবারগুলো সংসারের কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পড়ছেন নিদারুণ কষ্টে। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি লালমনির হাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারা ইউনিয়নের আমঝোল গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ও শাহজাহানের ছেলে সরুজ মিয়াকে হত্যা করে বিএসএফ। এর কয়েকদিন পর একই জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাশে বামনদল সীমান্তে মো. সাঈদকে হত্যা করা হয়। বিএসএফ পাটগ্রাম উপজেলার ঝালাঙ্গী সীমান্তে শ্রীরামপুরের দুলাল হোসেনের ছেলে আবুল কালামকে হত্যা করে। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর পাখিউড়া সীমান্তে আড়াইমারী গ্রামের মুসা আলীর ছেলে ছবিল উদ্দিন, একই সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ছোট চড়–ইভাতি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম, ২০ নভেম্বর কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খাটিয়ামারী সীমান্তে হাসিবুর রহমানকে হত্যা করে বিএসএফ।

এসব হত্যাকান্ড গরু চোরাচালানের অভিযোগে করা হয়। অথচ সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, এদের দু’একজন গরুর দালাল হলেও অধিকাংশ নিহতরা গ্রামের নিরীহ মানুষ। মাছ ধরে-কৃষিকাজ এবং ছোটখাটো ব্যবসা করে তারা সংসার চালাতেন। সীমান্তে বিএসএফের হাতে হত্যার শিকার এসব নাগরিকের প্রত্যেকের পরিবার সংসারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে এখন চরম আর্থিক কষ্টে জীবনযাপন করছেন।

পেশাগত কারণেই কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ-ভারত সীমারেখা তথা ফেনির চম্পকনগর সীমান্ত, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি, অনন্তপুর, বড়ইবাড়ি, দিনাজপুরের হিলি, লালমনিরহাটের বুড়িমারি, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা, রাজশাহীর চরমামার দিয়াসহ নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কয়েকটি সীমান্ত গ্রাম ঘুরেছি।
সরেজমিন ঘুরে সীমান্ত গ্রামগুলোর মানুষের যাপিত জীবন, কর্মকান্ড, সমাজজীবন, নিরাপত্তা, জীবিকা নির্বাহ জানার চেষ্টা করেছি। অনেকগুলো সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয় গ্রামগুলোর মানুষ বন্ধুত্বের মতো বসবাস করেন। পাশাপাশি জমিতে চাষাবাদ করেন। এমনকি কুড়িগ্রাম জেলার ভ‚রুঙ্গামারীর সীমান্ত গ্রাম মায়ারডাঙ্গিতে বাংলাদেশের একটি মসজিদে দুই দেশের মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার একাধিক গ্রামের মানুষ সীমান্তের ওপারের মসজিদে আজান শুনে ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেন। দুই দেশের মানুষে মানুষের মধ্যে এমনই সৌহাদ্য-সম্প্রীতি। কিন্তু প্রতিটি সীমান্তে বিএসএফ মারমুখি। তারা সব সময় যেন যুদ্ধাবস্থায় থাকেন। বিএসএফ মানেই বাংলাদেশের সীমান্ত গ্রামের মানুষের কাছে মৃত্যুদূত। যখন-তখন ছেলে-বুড়ো, খেতমজুর, শ্রমিক যাকে পান, তাকেই ধরে নিয়ে হত্যা করেন।

বাংলাদেশিদের যেভাবে বিএসএফ হত্যাযজ্ঞ চালায় তা ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান ও চীন সীমান্তেও দেখা যায় না। এই দুই দেশ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে। সেখানে বিএসএফের এমন হত্যাকান্ড করার সাহস দেখায় না। এমনকি ছোট্ট দেশ নেপালের সীমান্তে বিএসএফ অঘটন ঘটালে পাল্টা আক্রমণে পড়েন। এ জন্যই এসব দেশের সীমান্তে ভারতের সীমান্ত রক্ষীরা কার্যত ভেজা বেড়ালের মতোই টহল দেন।

বিশ্বের প্রাণঘাতী সীমান্ত হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল ফিলিস্তিনিদের গাজা ভূখন্ডের সঙ্গে ইসরাইলের সীমান্ত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর মেক্সিকোর সীমান্ত। বছরের পর বছর ইসরাইলি বাহিনীর হাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হত্যার খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হতো। আমেরিকা মেক্সিকো সীমান্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় সেখানে প্রাণহানী হতো। ওই সব দেশে এখন সীমান্ত হত্যা কমে এলেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা বেড়েছে। দুই দেশের বর্ডার ‘প্রাণঘাতী সীমান্ত’ পরিচিতি পাচ্ছে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রায় ৫০টি সীমান্ত সম্মেলনে হত্যাকান্ড বন্ধের অঙ্গীকার করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৫০তম সীমান্ত সম্মেলনে ‘সীমান্ত হত্যা’ ঠেকাতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের অঙ্গীকার করে বিএসএফ। কিন্তু কথা রাখেনি। সীমান্তে প্রতিটি হত্যাকান্ডে বিএসএফ দাবি করে গরু চোরাচালান ঠেকাতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অথচ ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গরু পাচারে সরাসরি জড়িত বিএসএফ। যখন বিএসএফ গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তখন সীমান্তে গরু চোরাচালানি ঠেকানোর অজুহাতে বাংলাদেশের সীমান্ত গ্রামগুলোর মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়া হয়। সীমান্তের লাখ লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত মৃত্যু আতঙ্কে বসবাস করছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪০৯৬ কিলোমিটার (২৫৪৬ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানা। এই সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্যাতন-হত্যা করতে ওৎপেতে থাকে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে বন্ধু দুই দেশের সীমান্তে বিএসএফের গুলীতে বিগত ১০ বছরে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কারো কারো হিসেবে এ হত্যার সংখ্যা আরো বেশি। ভারত যেন সীমান্ত এলাকাকে ‘দক্ষিণ এশিয়ার হত্যার ক্ষেত্রে’ পরিণত করেছে। প্রতি মাসে নানা অজুহাতে বাংলাদেশের সীমান্ত গ্রামগুলোর নিরস্ত্র বাসিন্দাদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করছে। অতপর খেতমজুর, মুটে-কুলি ও নিম্নআয়ের মানুষকে ‘গরু চোর’ অপবাদ দিচ্ছে। অথচ প্রতিবছর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের বৈঠকে ‘সীমান্ত হত্যা জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দেয়া হয়।

মানবাধিকার সংগঠন আসকের তথ্যমতে, সীমান্তে ২০২০ সালে ৪৫ জনকে হত্যা করে বিএসএফ। ২০১৯ সালে বিএসএফের হাতে প্রাণ হারায় ৪৩ বাংলাদেশি। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৪ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সালে সীমান্তে নিহত হন ৬৬ জন। ২০১০ সালে ৫৫, ২০১১ সালে ২৪, ২০১২ সালে ২৪, ২০১৩ সালে ১৮, ২০১৪ সালে ২৪, ২০১৫ সালে ৩৮, ২০১৬ সালে ২৫, ২০১৭ সালে ১৭ ও ২০১৮ সালে তিনজন। যদিও সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৯ সালের সীমান্ত হত্যার পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি।

বিএসএফ বছরের পর বছর ‘গরু পাচারকারী’ অভিযোগে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করলেও ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই) উল্টো তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটির অনুসন্ধানে সীমান্তে গরু পাচারে বিএসএফ জড়িতের তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২০ সালে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে সিবিআইয়ের গোপন তদন্তে।

সিবিআই বলছে, বিএসএফ এবং ভারতের শুল্ক (কাস্টমস) বিভাগের অনেক অফিসার সরাসরি সীমান্তে গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। তারা পাহারা দেয়ার নামে অভিনব কায়দায় এই গরু পাচার করে। বিএসএফ চোরাই পথের গরু সীমান্তে ধরে। খাতায় কলমে দেখায় মাসে কতজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে এবং কত সংখ্যক গরু উদ্ধার হয়েছে। বিএসএফ এটা নিয়মিত কাজ। অতপর শুরু হয় খেলা।

পশ্চিমবঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদসহ বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ বাজেয়াপ্ত গরুকে খাতায় কলমে বাছুর দেখায়। খাতায় বাছুর অথচ বাস্তবে পূর্ণ বয়স্ক গরু বাজারে তোলা হয়। সে গরু ‘বাছুর’ হিসেবে নিলাম হয়। খুব কম টাকায় তা বিক্রি করা হয়।

পাচারকারীরা সেই গরু কিনে নেয়। নিলাম এমনভাবে করা হয়, যাতে পাচারে বাজেয়াপ্ত গরু ফের পাচারকারীর হাতে যায়। প্রতিটি নিলামে বিএসএফের অভিযুক্ত অফিসারদের দেওয়া হয় গরু পিছু ২ হাজার টাকা। শুল্ক বিভাগের অফিসারদের দেওয়া হয় ৫০০ টাকা। পাচারকারীরা ফের সেই গরু সীমান্ত পার করে দেয়। দ্বিতীয়বার তাদের গরু আর ধরা হয় না। এসব কিছু হয় পরিকল্পিত।

সীমান্তে বিএসএফের হত্যা এবং সীমান্ত গ্রামগুলোর মানুষের যাপিত জীবন নিয়ে কথা হয় দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন জেলার সুধীজনের সঙ্গে। তাদের অভিমত, সীমান্ত গ্রামগুলোতে বসবাসকারীরা পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী। তাদের জন্য সরকারের পৃথক সহায়তা প্রকল্প গড়ে তোলা উচিত। সেটার মাধ্যমে ওই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি এবং সহায়তা করা যেতে পারে। এমন প্রকল্প করা হলে সীমান্তের গ্রামগুলোর মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।

https://www.dailyinqilab.com/article/361713