২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৯:২৯

এক যুগে উদ্ধার ১৫ হাজার কোটি টাকার দ্রব্য

লাগামহীন মাদকের বিস্তার

৫ সংস্থার ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮২ মামলায় ১০ লাখ ১০ হাজার ৭১৮ জন আসামি * মাদক কেনাবেচা ও সেবনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হচ্ছে ভয়ংক অপরাধ * উদ্ধার হয় সামান্য, বেশিরভাগই ধরাছোঁয়ার বাইরে - অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী

মাদকের থাবায় নাস্তানাবুদ একটি প্রজন্ম। শহর থেকে গ্রামাঞ্চল-সর্বত্রই নেশা এখন হাতের নাগালে। এক যুগে এর বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন সংস্থা অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। তবে এই পরিমাণ দেশে ছড়িয়ে পড়া মোটের তুলনায় কোনোভাবেই ২০-২৫ শতাংশের বেশি নয় বলে মনে করছেন এ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো।


তারা বলছেন, বর্তমানে সারা দেশে সেবনকারীরা প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি টাকার নেশা গ্রহণ করছে। বছরের হিসাবে এর পেছনে খরচ হয় আনুমানিক ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এ ব্যবসায় জড়িত ২০০ গডফাদার ও বিক্রির নেটওয়ার্কে কাজ করে ১ লাখ ৬৫ হাজার জন। প্রতিবছরই বাড়ছে এই সংখ্যা।

মাদকদ্রব্য লেনদেনের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে বিদেশে। নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিস্তারের এই সর্বনাশা চিত্র যেভাবে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতি করছে, সেভাবে একটি প্রজন্মের চিন্তার জগতে বন্ধ্যত্ব সৃষ্টি করছে। দীর্ঘ মেয়াদে এর ফল ভয়াবহ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পাঁচটি সংস্থার ১২ বছরের (২০০৯-২০২০) উদ্ধারকৃত মাদকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে যুগান্তর। সংস্থাগুলো হলো-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এ পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ২৫ ধরনের উল্লেখযোগ্য মাদকের মধ্যে এই পাঁচ সংস্থা সবচেয়ে বেশি উদ্ধার করে ৯ ধরনের মাদক। এগুলো হলো-ইয়াবা, হেরোইন, কোকেন, আফিম, গাঁজা, ফেনসিডিল, বিদেশি মদ, বিয়ার ও ইঞ্জেকটিং ড্রাগ।

১২ বছরে কেবল এই নয়টি মাদক যে পরিমাণে উদ্ধার হয়েছে, প্রচলিত দাম অনুযায়ী টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ১৪ হাজার ৩১৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ১৩০ টাকা। পাঁচ সংস্থার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এক যুগে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮২টি মামলা হয়।

সর্বোচ্চ মামলা হয় ২০১৯ সালে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৮টি এবং সর্বনিম্ন হয় ২০০৯ সালে ২৭ হাজার ৪৪১টি। মোট মামলায় আসামি করা হয় ১০ লাখ ১০ হাজার ৭১৮ জনকে। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৪৭ জন আসামি হন এবং ২০০৯ সালে সর্বনিম্ন ৩৪ হাজার ৩১৫ জন আসামি হন।

কথা হয় মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের উপদেষ্টা সদস্য অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মাদক উদ্ধারের চিত্র দেখলেই বিস্তারের একটা ধারণা পাওয়া যায়। যেগুলো উদ্ধার হচ্ছে সেগুলো তো কেবল যা তাদের চোখে পড়ছে। সব তো আর চোখে পড়ছে না। ঘরে ঘরে এখন ইয়াবা। যেটা ধরা পড়ে, সেটা খুবই সামান্য। বেশির ভাগই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এখন মাদক ব্যবসায় জড়িত ২০০ গডফাদার ও ১ লাখ ৬৫ হাজার বিক্রির নেটওয়ার্ক। এদের মাধ্যমে মাদক খাতে বছরে লেনদেন হয় ৬০ হাজার কোটি টাকা। আর বেশকিছু সংস্থার তথ্যানুযায়ী অবৈধ মাদক আমদানিতে প্রতিবছর বিদেশে পাচার হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

গত ১২ বছরে এই পাঁচ সংস্থা ইয়াবা উদ্ধার করে ২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার ১৯১ পিস। সর্বোচ্চ উদ্ধার হয় ২০১৮ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৮টি এবং সর্বনিম্ন উদ্ধার হয় ২০০৯ সালে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮৭ পিস। হেরোইন উদ্ধার হয় ২ হাজার ৫৪৫ কেজি। সর্বোচ্চ উদ্ধার হয় ২০১৮ সালে ৪৫১.৫ কেজি ও সর্বনিম্ন ২০১৪ সালে ৭৮.৩ কেজি। কোকেন উদ্ধার হয় ৪৫.৬৯ কেজি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১১.৬২ কেজি ও ২০১১ সালে সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ৪৭ কেজি। ২০০৯ সালে আফিম উদ্ধারের ঘটনা না থাকলেও ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৯১.২২ কেজি উদ্ধার হয়েছে। এক যুগে মোট আফিম উদ্ধার হয়েছে ২১৭.৩৯ কেজি। গাঁজা উদ্ধার হয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯২ কেজি। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ৬৯ হাজার ৯৮৯ কেজি এবং ২০১৯ সালে সর্বনিম্ন ৩২ হাজার ৬৫৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়।

এই সময়ে ফেনসিডিল উদ্ধার হয় ১ কোটি ৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৮ বোতল। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ এবং ২০১৬ সালে সর্বনিম্ন ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫২০ বোতল উদ্ধার হয়। এর বাইরে ২২ হাজার ৪৩০ লিটারেরও বেশ ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার হয় ২১ লাখ ২৬ হাজার ১৯৭টি। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮৯ এবং ২০১০ সালে সর্বনিম্ন ১৬ হাজার ৫২৭টি উদ্ধার হয়। এর বাইরে উদ্ধার হয় ৯ হাজার ৮৭ লিটার বিদেশি মদ। এই সময়ে ইঞ্জেকটিং ড্রাগ (অ্যাম্পুল) উদ্ধার হয় ১৪ লাখ ৩১ হাজার ১১টি।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে মাদকের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে ইয়াবা ৪০ হাজার গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৮ পিস হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। এরপর আর তা লাখের নিচে নামেনি।

একইভাবে এসব মামলায় আসামির তালিকাও ২০১৭ সাল থেকে এক লাখের উপরে গিয়েছে। তালিকা ক্রমেই বড় হচ্ছে। যদিও এই হিসাবকে সাফল্য হিসাবে দেখছে উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের বিস্তার আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির কারণে ধরাও পড়ছে বেশি।

জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার যুগান্তরকে বলেন, প্রধান দুই মাদকের একটি ইয়াবা আসছে মিয়ানমার থেকে আর ফেনসিডিল আসছে ভারত থেকে। আমরা সব মাদকের উৎস বন্ধে কাজ করছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ডিজি পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। এবার তারাও কিছুটা নমনীয়। তবে তারা যে ইয়াবা বানায়, সেটি স্বীকার করছে না। কিন্তু আসছে তো তাদের বর্ডার দিয়েই। আমরা সাতদিনের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, সেবনকারীরা অর্থ জোগাড়ে একসময়ে মাদক ব্যবসা করছে। এভাবে ক্রমেই এর চাহিদা বাড়ছে ও বিস্তার হচ্ছে। একজন মাদকাসক্ত দুই বছরে আরও পাঁচজন তৈরি করছে।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, মাদকসেবীর সংখ্যা এখন ২ কোটি হবে। এর মধ্যে দেড় কোটি নিয়মিত। ৫০ লাখের মতো অনিয়মিত। দেশে সেবনকারীরা গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ কোটি টাকার মাদক সেবন করে। মাদকের মাধ্যমে শুধু টাকা পাচার হচ্ছে তা নয়। মাদক হচ্ছে অপরাধের জনক। ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, রাহাজানিসহ যত ধরনের অপরাধ হয়-সবকিছুর মূলেই এই মাদক।

মাদক উদ্ধারকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় গড়ে প্রতি পিস ইয়াবা বিক্রি হয় ৩০০-৪০০ টাকা। হেরোইন প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৫-২০ লাখে, আসল কোকেন প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৩৫ কোটিতে। কিন্তু দেশে এটি সেভাবে পাওয়া যায় না। যেই কোকেন পাওয়া যায়, সেটার কেজি বিক্রি হয় ১৫-২০ কোটিতে। আফিমের কেজি ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা, গাঁজার কেজি ১২-১৫ হাজার টাকা, ফেনসিডিল ১০০ মিলিলিটারের বোতল বিক্রি হয় আড়াই হাজারে এবং লিটার বিক্রি হয় ২৫ হাজার টাকায়। দেশি মদ ১০০০-১২০০ টাকা লিটার। বিদেশি মদের বোতল বিক্রি হয় ৪ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। তবে ৬-১০ হাজার টাকার বোতলের বেশি পাওয়া যায়। এটি মূলত ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। লিটারের হিসাবও এমনই। ইঞ্জেকটিং ড্রাগের অ্যাম্পুল মেলে ৭০-১০০ টাকায়। তবে সবকটির দামই স্থানভেদে পরিবর্তন হয়। কখনো কখনো এর দাম দ্বিগুণ-তিনগুণও হতে পারে। আবার মূল সিন্ডিকেট থেকে সরাসরি নিতে পারলে আরও কমেও পাওয়া যায়।

প্রতি পিস ৩৫০ টাকা ধরলে এক যুগে উদ্ধারকৃত ইয়াবার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৮০৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা। হেরোইন গড়ে ১৭ লাখ টাকা কেজি ধরলে এর আর্থিক মূল্য হয় ৪৩২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কেজি ১৭ কোটি টাকা ধরলেও উদ্ধারকৃত কোকেনের আর্থিক মূল্য ৭৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৮৫ হাজার টাকা কেজি ধরলে উদ্ধারকৃত আফিমের দাম ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৫০ টাকা।

গাঁজার কেজি ১৩ হাজার টাকা ধরলে এর মূল্য দাঁড়ায় ৭১০ কোটি ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ফেনসিডিলের বোতলের দাম আড়াই হাজার ধরলে উদ্ধার হয়েছে ২৭৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকার। প্রতি লিটার ফেনসিডিল ২৫ হাজার টাকা হলে উদ্ধারকৃত দ্রব্যের আর্থিক মূল্য ৫৬ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদেশি মদের বোতল গড়ে ৮ হাজার টাকা করে ধরলে ১৭০০ কোটি ৯৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে এক যুগে।

এর বাইরে লিটারের হিসাবে উদ্ধার হয়েছে ৭ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার বিদেশি মদ। উদ্ধার হওয়া ইঞ্জেকটিং ড্রাগের অ্যাম্পুল ৮০ টাকা করে হলেও এর দাম ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৮০ টাকা। মোট হিসাবে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৩১৩ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ১৩০ টাকা।

মাদকের অর্থের জোগানের বিষয়ে গবেষণা চালায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের অ্যাডিকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড কেয়ার (আমিক)। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই অভিভাবকের অর্থে মাদক কেনে। ৫৬ দশমিক এক শতাংশ ব্যয় করে নিজের অর্থ। পরিবারের সম্পদ বিক্রি করে ২০ দশমিক ৭ শতাংশ। অন্যের টাকা চুরি করে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মাদক কেনে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ ব্যক্তি। প্রতিবেদনের বিষয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, এক ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকেও মাদকের অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। অর্থের জোগানে ভয়ংকর অপরাধেও জড়িয়ে পড়ে মাদকসেবীরা।

জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, আমাদের সমাজে মাদকের চাহিদা আছে। আর চাহিদা থাকলে জোগান বৃদ্ধি পায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চলালেও চাহিদার কারণে এর সরবরাহও বাজারে বাড়ছে। মাদক উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সাফল্য, সেটা গর্ব করার মতো। তারপরও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন এখনো সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান চলমান আছে। যেসব মাদক আসছে, এর বড় অংশই ধরা পড়ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার যুগান্তরকে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ একটা মাল্টি অর্গানাইজেশনাল টাস্ক। বিভিন্নভাবে মাদক আসছে। এটা নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। আরও মনোযোগী হয়ে কঠোর অ্যাকশনে গেলে সম্ভব। মাদকের প্রভাবে অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে। একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এটা সমাজের জন্য বিষফোড়া। আগের তুলনায় গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল সবই বেশি ধরা পড়ছে। মাদক রুখতে সবার সহযোগিতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই।

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/396906