২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার, ১২:২৫

টিকা দেয়ার কতদিন পর পূর্ণ সুরক্ষা মিলবে? ২১ দিন? নাকি দ্বিতীয় ডোজের ১৫ দিন পর?

মানুষ এখন আগ্রহভরে টিকা নিচ্ছেন। প্রথমে দ্বিধা দ্বন্দ্ব এবং আড়ষ্টতা ছিল। সেটা কেটে গেছে। বাংলাদেশের কোনো বিরোধী দল টিকার বিরুদ্ধে কোনো ক্যাম্পেইন তো দূরের কথা, কোনো উক্তিই করে নাই। টিকা নিয়ে বিরোধী দল কোনো রাজনীতি করে নাই। বরং সরকারি দল, বিশেষ করে দুই চারজন মুখচেনা মন্ত্রীই এই সংকীর্ণ পলিটিক্স করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বিরোধী দল টিকা না নেয়ার জন্য জনগণকে উস্কানি দিচ্ছেন। টিকা নেয়ার ব্যাপারে ভীতি ছড়াচ্ছেন। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। টিকা নিয়ে প্রথম দিকে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল। সেটার কারণ দেশজ ছিল না। এ্যাস্ট্রাজেনেকার যখন তৃতীয় ট্রায়াল চলছিল তখন এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ থার্ড ট্রায়াল সময়িকভাবে বন্ধ রাখেন। এটি করা হয়েছিল অক্সফোর্ডের টিকার সাইড্ এফেক্ট ভালভাবে পরীক্ষা করার জন্য। ট্রায়াল রান শেষে যখন ড্রাই রান হয় তখনও সাময়িক বিরতি দেয়া হয়। সেটাও ঐ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভালভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও যাচাই করার জন্য।

লন্ডনের খবর হোক, আর আমেরিকার খবর হোক, দিনের খবর এখন দিনেই পাওয়া যায়। আমাদের এই ছোট দেশে ৩০/৩৪ টি টেলিভিশন চ্যানেল, প্রাইভেট রেডিও চ্যানেল, মুদ্রিত সংবাদপত্র, অনলাইন সংবাদপত্র, বার্তা সংস্থাসহ সংবাদ প্রদানের অনেক রাস্তা খুলে গেছে। এসব সোর্স থেকে প্রতিনিয়ত খবর আসছে। বরং বলা যায় যে সাইড্ এফেক্ট সম্পর্কে বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলই অনেক কম কথা বলেছেন। এরপর ইংল্যান্ডে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ মানুষের ওপর এ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রয়োগ এবং আমেরিকায় সাধারণ মানুষের ওপর ফাইজার বায়োএনেেটকের প্রয়োগ শুরু হয় তখন দেখা যায় যে তেমন গুরুতর কোনো সাইড এফেক্ট নাই। তখনই বাংলাদেশের মানুষের ভয় এবং দ্বিধা কাটতে শুরু করে।

দ্বিধা দ্বন্দ্বের আরেকটি কারণ ছিল। সেটি হলো, সরকার অক্সফোর্ডের এই টিকাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে নাই। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ তো বটেই, এমনকি যাদেরকে আমরা শিক্ষিত বলি, তাদের অনেকেও এই এ্যাস্ট্রাজেনেকা আর কোভিশিল্ডের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। সোজা সরলভাবে তাদের মনে প্রশ্ন ওঠে, ইংল্যান্ডের টিকা ইন্ডিয়া হয়ে আসবে কেন? অক্সফোর্ডের টিকা ইন্ডিয়ার সেরাম ইনস্টিটিউট বানাবে কেন? সরকার যদি তখনই পরিষ্কার করে বলত যে এ্যাস্ট্রাজেনেকার পেটেন্ট নিয়ে সেরাম এবং এ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মূলা এবং উপকরণ দিয়েই কোভিশিল্ড বানানো হচ্ছে তাহলে শুরুতেই সব বিভ্রান্তির অবসান ঘটতো।

এরমধ্যে আবার ঢুকে পড়লো বেক্সিমকো। সাধারণ মানুষ তো সোজা সাপ্টা এমন ধারণা করেছিলেন যে বিলাত থেকে প্লেন বোঝাই হয়ে টিকা ঢাকা আসবে। অতঃপর বাংলাদেশ সরকার সেই ওষুধ বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে সরবরাহ করবে। বিষয়টি যে এত সহজ নয়, সেটি বুঝিয়ে বলার দরকার ছিল। কারণ এখানে সমস্যা ছিল কোটি কোটি ডোজ ওষুধ উৎপাদন করা, সেগুলো পরিবহণ করা, অতঃপর গুদামজাত করা ইত্যাদি। এসব সমস্যা সমাধানের জন্যই মাঝপথে এসেছে সেরাম এবং বেক্সিমকো। এটি নিয়ে ক্রেডিট নেয়ার কিছুই নাই। অন্য সরকার হলেও বাস্তবতার আলোকেই সমস্যা মোকাবেলা করতো।

॥ দুই ॥
টিকা দেয়া নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে বিএনপির কোনো কোনো নেতা নাকি লুকিয়ে লুকিয়ে টিকা নিচ্ছেন। লুকিয়ে লুকিয়ে টিকা নিতে হবে কেন? টিকা কি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি? জনগণের টাকা দিয়ে সরকার এই টিকা ক্রয় করেছেন। জনগণের টাকায় ক্রয় করা হয়েছে বলেই জনগণকে বিনামূল্যে সেই টিকা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষই এই টিকার হকদার। এখানে লুকোছোপার কিছু নাই। শুধুমাত্র গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মহিলা এবং ক্যানসারসহ গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা এই টিকা নিতে পারবেন না। এছাড়া ১৮ বছরের নীচে যারা, তাদেরকে দেয়া হবে না। কারণ তাদের ওপর এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়নি। তাই আপাতত তাদের দেয়া হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে দেয়া হবে কিনা সেটা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। তাই লুকিয়ে লুকিয়ে দেয়ার কথা ওঠে কেন?

কিন্তু প্রশ্ন সেটা নয়। প্রশ্ন অন্যত্র। টিকা নেয়ার আগে এবং পরে মানুষের মনে হাজারটা প্রশ্ন। টিকা দেয়ার পরে কি আর করোনা হবে না? একজন মানুষ টিকা নিল। নেয়ার কয়দিন পর থেকে সেটি কাজ করবে? প্রথম ডোজ নেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে দুই মাস পর। (আগে অবশ্য বলা হয়েছিল এক মাস পর)। তাহলে প্রথম ডোজ নেয়ার পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত এই টিকার কার্যকারিতার হার কত শতাংশ? আরও একটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, যার উত্তর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সেটা হলো, একজন করোনা রোগীর চিকিৎসা কি? একজন করোনা রোগীকে এই টিকা বা ইনজেকশন, অর্থাৎ এ্যাস্ট্রাজেনেকা ইনজেকশন দিলে সেকি ভাল হয়ে উঠবে? টাইফয়েড্ হলে এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারিয়ে তোলা যায়। টিবি বা যক্ষা একটি মরণঘাতী রোগ। এক সময় বলা হতো, ‘যার হয়েছে যক্ষা, তার নাই রক্ষা’। সেই যক্ষা আজ আর কোনো মরণঘাতী রোগ নয়। শুরুতে রোগ নির্ণয় করতে পারলে এই রোগে কেউ আর মরে না। এমনি হাজারটা রোগের হাজারটা ওষুধ রয়েছে। কিন্তু করোনার ওষুধ কোনটি? এটি কি ফাইজার বায়োএনটেক? নাকি এমআরএনএ-১২৭৩? (এটিই আমেরিকার ‘মর্ডানা’ করোনা ভ্যাকসিনের নাম)। নাকি জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন? (এই ভ্যাকসিনটির নাম এখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেননি), নাকি চীনের সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম? নাকি রাশিয়ার স্পুটনিক-৫? নাকি অক্সফোর্ডের এ্যাস্ট্রাজেনেকা? কেউই বিয়ষটি স্পষ্ট করেনি।

॥ তিন ॥
ওপরে করোনা ভাইরাসের যে ৮ টি টিকার নাম করলাম তারমধ্যে সর্বশেষ নাম এসেছে হল্যান্ড মার্কিন যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জ্যানসেন কোম্পানীর জনসন এন্ড জনসনের টিকা। বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকাসমূহে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জনসনের টিকা সম্পর্কে কিছুটা তথ্য পাওয়া যায়। ঐ তথ্যে বলা হয়েছে যে, এই টিকা ফাইজার বা মর্ডানার মতো হিমাঙ্কের অনেক নীচের তাপমাত্রায় ফ্রিজারে রাখার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ রেফ্রিজারেটরে এটি সংরক্ষণ করা সম্ভব। এটি এক ডোজের টিকা। পূর্ণ তথা ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার জন্য অন্যান্য টিকা যেখানে দুইটি ডোজ দিতে হয় সেখানে জনসনের টিকা দুইটি ডোজ দিতে হয় না, একটি ডোজেই পূর্ণ কার্যকরিতা (৯০ শতাংশ) পাওয়া যায়। খুব ক্ষতিকর করোনা ভাইরাসকেও এটি ঠেকাতে সক্ষম। খুব খারাপ ধরনের স্ট্রেইনকেও এটি মোকাবেলা করতে সক্ষম। উল্লেখ্য যে করোনা ভাইরাসের ক্ষণে ক্ষণে রূপ পরিবর্তনকে নতুন রূপ বা স্ট্রেইন বা ভ্যারিয়েন্ট বলা হয়। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে থার্ড ট্রায়াল রান করে এসব ফলাফল পাওয়া গেছে। মার্কিন ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাড্মিনিস্ট্রেশনও (এফডিও) নাকি এসব তথ্য সমর্থন করেছে। এই টিকার গুরুতর কোনো সাইড্ এফেক্ট পাওয়া যায়নি। টিকা নেয়ার ফলে কাউকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়নি।

ফ্রাঙ্কলি বলতে কি, বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ খবর পেতে হলে একাধিক সংবাদপত্র পড়তে হয়। জনসন এ্যান্ড জনসনের টিকা সম্পর্কে ওপরে যা বললাম, সেটি ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি পত্রিকার। অন্য পত্রিকায় একই খবরে আরো তথ্য দেয়া হয়েছে। ঐসব তথ্যে বলা হয়েছে, “জনসন এ্যান্ড জনসনের কোম্পানীর মালিক জ্যানসেন বলেছে, তারা যেসব তথ্য উপাত্ত পেয়েছে, সে অনুযায়ী গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রেও এ টিকা উচ্চ মাত্রায় কার্যকর। আমেরিকা, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় চালানো ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনার তীব্র সংক্রমণে এটি ‘উচ্চমাত্রায় একই রকম’ কার্যকর।” খবরে আরো বলা হয়েছে, “মধ্যম মাত্রার অসুস্থতাতেও এটি কার্যকর।”

ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এই টিকা মৃত্যু প্রতিরোধে শতকরা ৭২ ভাগ কার্যকরি। প্রায় ৬ লাখ মানুষের ওপর চালানো পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, এই টিকা করোনা সংক্রমিত রোগীর মারাত্মক অসুস্থতা ঠেকাতে সক্ষম। ইসরাইলে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় দেখা গেছে, দুই ডোজ টিকা করোনা থেকে ৯২ শতাংশ এবং এক ডোজ টিকা ৬২ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রতিরোধে এই টিকার ৭২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। প্রথম ডোজ গ্রহণের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিরোধ গড়ে ওঠে, যা সাধারণত বিরল।

॥ চার ॥
আমেরিকার ফাইজার বায়োএনটেক এবং জনসন সম্পর্কে যে ফলাফলের কথা বলা হলো সেটি এ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্পর্কে প্রযোজ্য বলে মনে হয় না। অক্সফোর্ডের এই এ্যাস্ট্রাজেনেকাই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে ‘কোভিশিল্ড’ নামে উৎপাদিত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ইতিমধ্যেই ৩৩ লাখ মানুষ এই টিকা দিয়েছেন। এরমধ্যে তিনটি দুঃসংবাদ পাওয়া গেছে।

প্রথমটি হলো, টিকা নেয়ার ১২ দিন পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো: মহসিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেনে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: সেলিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘সচিব স্যারসহ অফিসের সবাই ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন। পরে সচিব স্যারের ১৩ তারিখ থেকে ঠান্ডা, জ্বর ও কাশির উপসর্গ দেখা দেয়। ১৯ তারিখ তিনি করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ আসে। তিনি এখন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

টিকা নেয়ার পর করোনা থেকে সুরক্ষা না পাওয়া নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেছেন, “সচিবের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি এখনও তাদের জানা নাই। তবে টিকা নেয়ার পরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবার ক্ষেত্রে পুরাপুরি দূর হয় না। তিনি বলেন, টিকা নিলে সংক্রমণ কমে যাবে। কমার জন্যই টিকা নেয়া। তবে সংক্রমণ হতে পারে। টিকা শতকরা শতভাগই কার্যকর হবে এমন কথা তো কোনো টিকা তৈরির প্রতিষ্ঠান বলেনি। যারা টিকা নিচ্ছেন তাদের একটি অংশও আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া টিকার এক ডোজেও পুরাপুরি কাজ হবে না। দুই ডোজ নিতে হবে। উই ডোজ নেয়ার পরই বোঝা যাবে যে টিকা কতখানি কার্যকর।”
দ্বিতীয় কেসটি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ হোসেনের। ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি টিকা নেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি করোনা পজিটিভ হন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজি মোহাম্মদ রশিদ-উন-নবী বলেন, যেদিন সাজ্জাদ হোসেন টিকা নেন, সেদিন থেকে তাঁর জ্বর ছিল। সম্ভবত তাঁর শরীরে হয়তো আগেই ভাইরাস ঢুকে পড়েছিল।

তৃতীয় কেসটি চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম কিবরিয়ার। তিনি টিকা নেয়ার ৬ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হন।

টিকা আবিষ্কারের আগে সারা দুনিয়াজুড়ে প্রত্যাশা ছিল যে টিকা নিলেই সেই ব্যক্তি সুরক্ষিত হয়ে গেলেন। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, টিকা নেয়ার ২১ দিন পর রোগ প্রতিরোধ শক্তি সৃষ্টি হওয়া শুরু হবে। তার পরেও রিস্ক থাকবে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরবর্তী ১৫ দিন পর হয়তো ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা আশা করা যেতে পারে।

দেখা যাচ্ছে, একেক সময় একেক কথা বলা হচ্ছে। লাস্ট ওয়ার্ড বা শেষ কথা কি, কে জানে।

asifarsalan15@gmail.com

 

https://dailysangram.com/post/445159