ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ফেব্রুয়ারির মধ্যে খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে তাঁরা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেন। ছবি : শেখ হাসান
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:১২

বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৪ মে, হল ১৭ মে

তিন মাস অপেক্ষায় নারাজ শিক্ষার্থীরা

প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামী ২৪ মে। এর আগে ১৭ মে হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং হলে থাকা শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ পর্যন্ত সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। হল খোলার দাবিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গতকাল সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারেননি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আরো তিন মাস অপেক্ষা করতে রাজি নন। চলতি মাসেই তাঁরা হলে উঠতে চান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা এখনো দাবিতে অনড় রয়েছেন এবং কয়েক দিন ধরে চলা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হলেই অবস্থান করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমে শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না মেনে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। তবে পরে সেই আলটিমেটাম স্থগিত করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁরা আজ মঙ্গলবারের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আশ্বাসে আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও হল খোলার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে থেকে শুরু হবে। এর আগে আগামী ১৭ মে থেকে হল খুলে দেওয়া হবে। হল খোলার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। তবে যদি কোনো শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন না নেওয়ার ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ থাকে তা বিবেচনা করা হবে। আর এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ। হলগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ করবে।’

বর্তমানে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। এ ছাড়া অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৭টি। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট ২২০টি আবাসিক হল আছে। এর মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থী প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার, যাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে। করোনার কারণে বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়া কোনো পরীক্ষার্থী যেন এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানান ডা. দীপু মনি।

জানা যায়, ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৯ মার্চ হওয়ার কথা। এ ছাড়া ৪৩তম বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম চলছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই বিসিএসের আবেদন চলবে। ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। হল খোলার দাবির পেছনে অন্যতম কারণ বিসিএস পরীক্ষা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা হলে আছেন, তাঁদের অবিলম্বে হল ত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া কেউ যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেন, তবে এর দায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রহণ করবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত নয়। কারণ যাঁরা ভর্তি পরীক্ষা দেবেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। তার পরও প্রয়োজন মনে করলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তার আগে করোনা মোকাবেলা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে স্কুল-কলেজে আবাসিক ব্যবস্থা নেই। তাই তাদের ব্যাপারে আমরা ভিন্ন চিন্তা করতে পারছি।’

দীপু মনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারের যে সাফল্য রয়েছে, তা আমরা নষ্ট করতে পারি না। টিকা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হলে ফিরিয়ে আনাটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ একজন আক্রান্ত হলে গোটা হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশের করোনার নিয়ন্ত্রণের যে সাফল্য, তা নষ্ট করে দিতে পারি না।’

মন্ত্রী জানান, ‘দেশে এখন মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩০ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে অন্তত এক ডোজ, সম্ভব হলে দুই ডোজই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন এবং নিজেদের সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে রবিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দিলেও সকালে কোনো শিক্ষার্থীই সেই নির্দেশনা মানেননি। গতকাল বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন অন্তত ৩০ জন ছাত্রী। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিজ নিজ হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে দিনভর হলত্যাগের অনুরোধ জানান। এতেও গতকাল রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করে হলেই অবস্থান করছিলেন।

আন্দোলনরত স্নাতকের শিক্ষার্থী সজীব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের একটি সংঘর্ষ হয়েছে, তাই আমরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে হলে থাকতে চাইছি। তবে শিক্ষামন্ত্রী যা বলেছেন সেটা সারা বাংলাদেশের সার্বিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগরের পরিস্থিতি ভিন্ন। এটাকে আমলে নিতে হবে। আমাদের হল ছাড়া গতি নেই এবং এখনই খুলে দেওয়া প্রয়োজন।’

গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে হলত্যাগের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে হল খোলা রাখা, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেরুয়ার সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা, তদন্ত কমিটি গঠন, অজ্ঞাত মামলা তুলে নিয়ে চিহ্নিত ব্যক্তিদের নামে মামলা করা অন্যতম।

শিক্ষার্থী সামিয়া হাসান বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা হল থেকে বের হব না। স্থানীয় চিহ্নিত ব্যক্তিরা হামলা করলেও প্রশাসন কেন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ, সে কারণে আমরা আর হল ত্যাগ করছি না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে হল খুলতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। পরে বিকেল ৪টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে ভিসিকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ৫টার দিকে ভিসির কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আব্দুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছি তা প্রত্যাহার করেছি। ভিসি স্যার বলেছেন, মঙ্গলবার (আজ) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা রয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। তাই আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব। এরপর আমাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মঙ্গলবার (আজ) সকাল সাড়ে ১০টায় একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং রয়েছে। সেই মিটিংয়ে আমরা সরকারি, জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তগুলো সমন্বিত করে একটি সিদ্ধান্তে আসব। মহামারির সময়ে কোনো বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। বরং সমন্বিত সিদ্ধান্তের দিকে আমাদের এগোতে হবে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে বুধবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে মেসে থাকতে হচ্ছে। আর করোনার কারণে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও অনেকটাই নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলে মেসে থাকাও সম্ভব হয়ে উঠছে না। ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে তাঁদের। তাই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেয়ে বুধবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন তাঁরা।

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক লুত্ফর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অযৌক্তিক নয়। আর আমরা যে এ বিষয়ে ভাবছি না তা-ও নয়। আমাদের ভিসি মহোদয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে মিটিংও হবে। সেখানে আমরা হল খুলে দেওয়ার বিষয়ে জোর বিবেচনার অনুরোধ জানাব।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : হল খুলে দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং আবাসিক হলগুলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ ছাড়া হল খোলার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘হল খোলার ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। মঙ্গলবার ডিনদের নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা)

https://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2021/02/23/1007639