২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:০৮

বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড়করণে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি গেলেও অনুদানে করুণ দশা

বর্তমান সরকারের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎস হতে স¤পদ সরবরাহের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিনিয়োগ চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈদেশিক সাহায্য অপরিহার্য। সরকারের কার্যপ্রণালী বিধির আওতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বৈদেশিক সহায়তা অনুসন্ধান ও সংগ্রহের ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে থাকে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার পথ-পরিক্রমায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভে সক্ষম হয়েছে; যা অর্থনৈতিক নীতি ও কৌশলের ধারারাহিক সাফল্যের প্রতিফলন। ২০২০ অর্থ-বছরে বিবেচনায় বিনিয়োগ চাহিদা পূরণে বৈদেশিক সহায়তার আহরণ ও কার্যকর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য বলছে, বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড়করণে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি গেলেও অনুদানের অর্থছাড়ে করুণ দশা।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বিদ্যুৎ, পরিবহন, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহ সামাজিত খাতে বিনিয়োগ চাহিদা পূরণের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে। তবে তথ্য বিশ্লেষণে বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড়ে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থানে গেলেও অনুদানের অর্থ ছাড়করণে করুণদশা ফুটে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক সাহায্যের ছাড়করণ মন্ত্রণালয় কর্মদক্ষতার উপর নির্ভরশীল।
জানা গেছে, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পগুলোর প্রকল্প সাহায্য বরাদ্দ প্রাক্কলন বা কত বিদেশি বরাদ্দ লাগবে তা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই বরাদ্দ প্রাক্কলন নির্ধারণ শুরু হবে এবং শেষ হবে ৪ মার্চ। ইতোমধ্যে কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এডিপির বরাদ্দ চাহিদা না পাঠিয়ে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে ইআরডি।

সম্প্রতি ইআরডি জারি করা এক নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, সমাজ কল্যাণ, মহিলা বিষয়ক ও যুব উন্নয়ন এবং গণসংযোগ খাতগুলোর সঙ্গে ২৪ ফেব্রুয়ারি; কৃষি, শিক্ষা ও ধর্ম এবং পানি সম্পদ খাতগুলোর সঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারি; পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান, ভৌত, পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি খাতগুলোর সঙ্গে ২৮ ফেব্রুয়ারি; জন প্রশাসন, শিল্প, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতগুলোর সঙ্গে ১ মার্চ; স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ, যোগাযোগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান খাতগুলোর সঙ্গে ৩ মার্চ এবং পরিবহন, তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতগুলোর সঙ্গে ৪ মার্চ বৈঠক করবে ইআরডি। সভায় ২০২০-২১ অর্থ-বছরের এডিপি বরাদ্দের জুলাই-জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ব্যয় বা বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে প্রকল্পভিত্তিক প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে।

সভার নথিতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি পালন করে সভা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সভায় উপস্থিতি সীমিত আকারে রাখার জন্য নির্ধারিত সংযুক্ত সময়সূচি অনুযায়ী সভায় প্রকল্প পরিচালক (একজন) এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মকর্তা/প্রতিনিধিসহ (একজন) সর্বোচ্চ দুইজন উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সভায় পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ নির্ধারিত সময়ে কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি উপস্থিত না হলে পরবর্তীতে কোনো আপত্তি বিবেচনা করা সম্ভব হবে না।
সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের বাজেটে মোট সরকারি বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা জিডিপি'র ৮.২০% নির্ধারণ করা হয়েছিল। জিডিপি'র ১.৯৬% নীট বৈদেশিক সাহায্য হতে সরকারের বাজেট ঘাটতি অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল।

২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার পথ-পরিক্রমায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভে সক্ষম হয়েছে; যা অর্থনৈতিক নীতি ও কৌশলের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রতিফলন। ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার জন্য সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী জিডিপি হার ৬.৫% হতে বৃদ্ধি করে ক্রমান্বয়ে ২০২০ অর্থ-বছরে ৮% এ পৌঁছাতে হবে (২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রতি অর্থ-বছরে গড়ে ৭.৪%)। সেজন্য বিনিয়োগও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে ২০২০ অর্থ-বছরে জিডিপি’র ৩৪.৪% হওয়া আবশ্যক, যা ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ছিল ৩১.৬% অধিকন্ত, ২০২০ অর্থ-বছরে বিবেচনায় বিনিয়োগ চাহিদা পূরণে বৈদেশিক সহায়তার আহরণ ও কার্যকর ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। অর্থিৈতক স¤পর্ক বিভাগ বিদ্যুৎ, পরিবহন, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সামাজিত খাতে বিনিয়োগ চাহিদা পুরণের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ করতে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে।

২০১৪-১৫ হতে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত পাঁচ অর্থ-বছরে বৈদেশিক সহায়তার ছাড়করণের (Disbursement) পরিমাণ ২৩.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা গড়ে প্রতি অর্থ-বছরে ৪.৬২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে বৈদেশিক সহায়তার ছাড়করণের পরিমাণ ছিল ৬.২০ বিলিয়ন যা স্বাধীনতা পরবর্তীকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মোট ছাড়কৃত বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে অনুদান ২৫৬.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ঋণ ৫৯৫৪.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১ বিলিয়ন বা ১০০০ মিলিয়ন)। মোট ছাড়কৃত অর্থের মধ্যে ঋণ ও অনুদানের হার প্রায় ৯৫% ও ৫%। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ছাড়কৃত বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে ৩৪০৪.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বহুপাক্ষিক (Multilateral; like World Bank, Asian Development Bank) এবং ২৮০৬.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্বিপাক্ষিক (Bilateral; like Japan, France, Germany etc.) উৎস হতে পাওয়া গেছে। এ অর্থ-বছরে বহুপাক্ষিক উৎসের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করেছে যার পরিমাণ ১৯৭০.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দ্বিপাক্ষিক উৎসের মধ্য হতে জাপান সর্বোচ্চ ১১৯৫.৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের ছাড়কৃত বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে খাদ্য সাহায্য ও প্রকল্প সাহায্য এর পরিমাণ যথাক্রমে ৫.৭১ ও ৬২০৫.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে ২৫০.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈদেশিক সাহায্যের ছাড়করণ সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত বিধায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মদক্ষতার উপর ছাড়করণ বহুলাংশে নির্ভরশীল।

জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ ছিল ৬০,০০০.০০ কোটি টাকা (৭১৪৩.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং খাদ্য সহায়তা বাবদ বরাদ্দ ছিল ২৫২.০০ কোটি টাকা (৩০.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকল্প সাহায্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় এ অর্থ-বছওে সংশোধিত এডিপি-তে প্রকল্প সাহায্যেও বরাদ্দ ৫১,০০০.০০ কোটি টাকা (৬০৭১.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং খাদ্য সহায়তা বাবদ বরাদ্দ ২৫২.০০ কোটি টাকা (৩০.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নির্ধারণ করা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের সংশোধিত এডিপি-তে প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ ছিল ৫২,০৫০.০০ কোটি টাকা (৬২৭১.০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে সংশোধিত এডিপি- তে প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ হ্রাস পায় ২.০২ শতাংশ। উলে¬খ্য, স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ সকল অর্থ-বছরে সংশোধিত এডিপি-তে প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দ এডিপি'র তুলনায় হ্রাস পায়।

২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের সংশোধিত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের মোট সংখ্যা ছিল ৩৬৫ টি। যার মধ্যে কারিগরি সহায়তা (Technical Assistance) প্রকল্প ১৫৪ টি এবং বিনিয়োগ (Investment) প্রকল্প ২১১ টি। এ অর্থ-বছরে বিনিয়োগ প্রকল্পে ৪৯০১৩.৯৩ কোটি টাকা এবং কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১৬৯৮.৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ২৮৭.৪৬ কোটি টাকা বিশেষ প্রয়োজনে বরাদ্দের জন্য থোক হিসাবে রাখা হয়েছিল। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের বৈদেশিক সাহায্যের কমিটমেন্ট-এর লক্ষ্যমাত্রা ৬,০০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছিল। বৈদেশিক সাহায্যের ডিসবার্সমেন্ট-এর লক্ষ্যমাত্রা ৮৪৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাক্কলন করা হয়। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-তে মোট ৩০৬ টি (কারিগরি ১১৬+বিনিয়োগ ১৯০) বৈদেশিক সহায়তা প্রকল্পের অনুকুলে প্রকল্প সাহায্য বাবদ মোট ৭১,৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য ১৫,৭২৫ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত আয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব বোর্ড ছাড়াও কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশের সমান। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা বেশি। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতের সহায়তা ধরা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় দুইলাখ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ঘাটতির চেয়ে ৩৬ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের দুই তৃতীয়াংশই ধরা হয়েছে অনুন্নয়ন ব্যয় বা সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতায়। যার পরিমাণ ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় খরচ হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিশোধে ব্যয় হবে ৫৮ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণের সুদে ৫ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। ঋণ পরিশোধেও ব্যয় বাড়বে ৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।

https://dailysangram.com/post/444702