১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৬

ভোজ্য তেলের বেঁধে দেয়া দাম নিয়ে নানা প্রশ্ন

দাম নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার ১১৫ টাকা, বোতলজাত ১৩৫ এবং পাম সুপার তেল প্রতিলিটার ১০৪ টাকায় বিক্রি হবে। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সমপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ কম- এমন অজুহাতে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। চলতি মাসে দাম বেড়ে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসে। এক মাসের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। আর বছর ব্যবধানে এ বৃদ্ধির হার ১২.২০ শতাংশ। ৮৮ টাকা লিটার দরের সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।

গতকালের সভায় জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের বাজার অস্থিতিশীল থাকায় দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় ভোজ্য তেলের মূল্যসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সভায় বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্য তেল বিক্রি নিশ্চিত করা হবে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় কমিটি ভোজ্য তেলের মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩, পরিবেশক মূল্য ১২৭ এবং খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। প্রতি লিটার পাম সুপার (খোলা) তেলের মিলগেট মূল্য ৯৫, পরিবেশক মূল্য ৯৮ এবং খুচরা বিক্রয়মূল্য ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দাম ঘোষণার পর শক্ত হাতে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দাম কমে গেলে বিবেচনা করা হবে, বেড়ে গেলেও বিবেচনা করা হবে। আমরা যে তেল ব্যবহার করি তার ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে গত ছয় মাসে ৬৫ শতাংশ তেলের দাম বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিপিং কস্টও বেড়েছে, জাহাজের তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত মজুত সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কোনো অবস্থাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট না হয়। এ জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

https://mzamin.com/article.php?mzamin=263159