১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭

দেশপ্রেমের চশমা

উপাচার্যরা কেন দুর্নীতি করেন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো দেশ ও জাতির উন্নয়নের ফ্যাক্টরি। জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা ও গবেষণার মধ্য দিয়ে এসব ফ্যাক্টরি থেকেই উৎপাদিত হয় সুযোগ্য নাগরিক। নির্মিত হয় আলোকিত মানুষ। এখান থেকেই শিক্ষা ও ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়ার পর সবাই বিভিন্ন পদে নিয়োজিত হয়ে দেশসেবা করেন।

সরকারের বিভিন্ন ক্যাডারের আমলা, বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক-যারা যে পেশায়ই যান না কেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া শিখে তারপর বিভিন্ন পেশায় যোগ দেন। কাজেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি ও পরিবেশ তাদের ওপর প্রভাব রাখে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় হলো সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা অর্জন করেন অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দেড়শর কাছাকাছি। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও এর সার্বিক মান বাড়েনি।

সেদিকে নজর না দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে উপরে জাঁকজমকপূর্ণ কিন্তু ভেতরে অন্তঃসারশূন্য বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। আর এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমান্বয়ে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একটি দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই শিক্ষার উন্নয়ন হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণায় কতটা অবদান রাখছেন, সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি নিয়ে বের হয়ে কর্মসংস্থানের বাজারে কতটা সফলতা পাচ্ছেন, তাও হিসাব করতে হয়।

বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক মানের যেসব সূচক প্রকাশিত হয়, সেখানে নিজ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান বিবেচনায় নিতে হয়। এসব বিষয় বিবেচনা করলে অনুধাবন করতে অসুবিধা হয় না, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্য দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে।

এ পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে দলীয় বিবেচনায় এবং অনেক ক্ষেত্রে লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া। শিক্ষক যদি শিক্ষকের মতো না হন, তাহলে তিনি কীভাবে মানুষ গড়ার কারিগরের ভূমিকা পালন করবেন? কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের পড়াবেন? কীভাবে গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবেন?

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক নেতৃত্ব দেন উপাচার্য। উপাচার্যকে হতে হয় একাডেমিক আইকন এবং প্রশাসনিকভাবে দক্ষ ও যোগ্য। কিন্তু এ দিকটিতে নজর না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে তদবিরের ওপর ভিত্তি করে দলীয় উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ায় অধিকাংশ উপাচার্য নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে একাডেমিকভাবে এগিয়ে নিতে পারেন না। প্রশাসনিক ও একাডেমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে খুব কমসংখ্যক উপাচার্যই নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

দলীয় স্বার্থে ভূমিকা পালন করতে গিয়ে অধিকাংশ উপাচার্য শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটিতে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। এ অবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি পেশাদারি প্রতিষ্ঠা করা না যায়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল জায়গা থেকে (জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা, জ্ঞান বিতরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি) অনেকটাই বিচ্যুত হয়ে পড়বে-এটাই স্বাভাবিক।

অনেক উপাচার্যের বিরুদ্ধেই দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। আর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উপাচার্যের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্ত করার জন্য গঠিত হচ্ছে তদন্ত কমিটি। এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে মারাত্মক দুর্নীতির সত্যতা প্রমাণিত হলেও কোনো উপাচার্যের আজ পর্যন্ত শাস্তি হয়নি।

এর অন্যতম কারণ হলো, সরকারের গ্রিন সিগন্যাল না নিয়ে মাননীয় আচার্য কাউকে উপাচার্য নিয়োগ করেন না। কাজেই উপাচার্যরা যদি দুর্নীতির দায়ে জেলে যান, তাহলে তো প্রশ্ন উঠবেই, সরকার এমন দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দিল কেন?

এ কারণে সরকার নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার চিন্তা করে উপাচার্যদের দুর্নীতি পাহাড়সম হলেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেন। আর এর ফলে নবাগত উপাচার্য আরও অধিক দুর্নীতি করতে উৎসাহিত হন। কারণ, নবাগত উপাচার্য মনে করেন, তার আগের উপাচার্য অনেক দুর্নীতি করেও পার পেয়েছেন, কাজেই তিনিও অত্যন্ত সাবধানে দুর্নীতি করে যাবেন। আর যদি ধরা পড়েন, সেক্ষেত্রে তাকেও অপসারিত করা হলে বিভাগে যোগ দিয়ে আবারও শিক্ষকতায় নিয়োজিত হবেন। এ কারণে উপাচার্যদের দুর্নীতি কমে না।

২০১০ সালের দিকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশে বেশ কয়েকজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হলে ওইসব উপাচার্যের দুর্নীতির সত্যতা প্রমাণিত হয়। কিন্তু সরকার তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেন।

একই অবস্থা হয়েছিল চারদলীয় জোট সরকারের আমলে (২০০১-০৬)। তখন আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং তাদের দুর্নীতির সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাদের অপসারণ করা হয়।

আবার বর্তমান সরকারের আমলে উপাচার্য হিসাবে দুর্নীতির তকমাধারী শিক্ষককে পরবর্তী সময়ে বড় পদে নিয়োগ দেওয়ারও নজির আছে। তখন যদি দুর্নীতিবাজ উপাচার্যদের শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে নিযুক্ত উপাচার্যরা আবারও দুর্নীতি করতে ভয় পেতেন।

বস্তুত বিভিন্ন শাসনামলে দুর্নীতিবাজ উপাচার্যদের বিরুদ্ধে সরকার ও ইউজিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে তাদের শুধু অপসারণ করায় উপাচার্যদের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে; গঠিত হচ্ছে তদন্ত কমিটি।

সম্প্রতি ইউজিসি ২১ জন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে ১৩ জন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। বাকি ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। শেষোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে : খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে আমি মনে করি, এ রকম হাজারও তদন্ত করা হলেও উপাচার্যদের দুর্নীতি কমানো যাবে না।

সরকারের যদি প্রকৃতই উপাচার্যদের দুর্নীতি রোধের ইচ্ছা থাকে, তাহলে সর্বপ্রথম উপাচার্য নিয়োগের সময় সতর্ক হতে হবে। দলীয় পরিচয়ের দিকে লক্ষ না রেখে প্রকৃত শিক্ষাপ্রেমী, সৎ, সাহসী ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। দলীয় পরিচয়ধারী তদবিরবাজ শিক্ষককে কখনোই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা যাবে না। দেশে অনেক যোগ্য শিক্ষক আছেন, যারা কখনো তদবির করে উপাচার্য হতে চাইবেন না। এমন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন শিক্ষকদের সরকার অনুরোধ করে উপাচার্য পদে নিযুক্ত করতে পারেন। যদি দেশে তেমন ব্যক্তি পাওয়া না যায়, তাহলে বিদেশি শিক্ষাঙ্গনে যেসব বাংলাদেশি একাডেমিক সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন, তাদেরও অনুরোধ করে দেশের শিক্ষার সেবায় উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত করা যেতে পারে। আমাদের মনে হয় না, সুযোগ্য উপাচার্য হওয়ার মতো শিক্ষাবিদের কোনো অভাব আছে। কয়েক বছর আগেও প্রায় প্রতিটি সরকারদলীয় সভায় দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বসে থাকতে দেখা যেত। এমন উপাচার্যরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় আইকন হিসাবে বিবেচিত হবেন? উপাচার্য হওয়ার জন্য ছাত্রসংগঠনের নেতাদের দিয়ে তদবির করানোর ঘটনাও জানা যায়। এমন ব্যক্তিত্ব উপাচার্য হলে ওই ছাত্রসংগঠনের অন্যায় আবদার কি তিনি উপেক্ষা করতে পারবেন?

ইউজিসিকে উপাচার্যদের দুর্নীতি তদন্ত করতে দিয়ে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। কারণ, পুরো বিষয়টি সরকারের হাতে। সরকার চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। সেজন্য সরকারের প্রতি নতজানু ও আনুগত্য পোষণকারী কাউকে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে না এলে ইউজিসির তদন্তে কোনো কাজ হবে না। ইউজিসি তদন্ত করে অনেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক, এমনকি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনাও উদ্ঘাটন করেছে। কিন্তু কোনো উপাচার্যের কি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে? না, হয়নি। এসব দেখে মনে হয়, আমাদের আইনে দুর্নীতির জন্য যেসব শাস্তির বিধান আছে, তা উপাচার্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। উপাচার্যরা মনে হয় আইনের ঊর্ধ্বে! সরকার চাইলে উপাচার্যদের সম্মান বাঁচাতে তাদের অপরাধের বিচারের জন্য সংসদে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে। সে আইনে কী থাকবে সেটা সরকারকেই চিন্তা করে বের করতে হবে। হয়তো এমন থাকতে পারে, কোনো উপাচার্যের দুর্নীতি উদ্ঘাটিত হলে সরকার তাকে সতর্ক করে দেবেন। তাতেও কাজ না হলে দ্বিতীয়বার আবারও সতর্ক করবেন। তারপরও তিনি দুর্নীতি করলে তার কাছে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দাবি করবেন। তারপরও তিনি দুর্নীতি করে যেতে থাকলে তার বিরুদ্ধে ইউজিসিকে দিয়ে তদন্ত করাবেন। এমন তদন্তে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হলে উপাচার্যের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া। এমন অব্যাহতি প্রদানই তার সর্বোচ্চ শাস্তি।

উপাচার্যদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখে দেশের বড় অপরাধীরা হয়তো আফসোস করছে-হায় আমরা কেন লেখাপড়া করলাম না। উপাচার্য হতে পারলে তো আর র‌্যাব, পুলিশ, গ্রেফতার, রিমান্ডের ঝামেলা থাকত না। সহজে অন্যায় করতে পারতাম!

বর্তমানে সরকার দুর্নীতির প্রতি ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ অনুসরণ করছে। এই নীতি মনে হয় না দেশের প্রায় শ-দেড়েক উপাচার্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কাজেই নিশ্চিত করেই বলা যায়, ইউজিসি যতই তদন্ত করুক না কেন, উপাচার্যদের দুর্নীতি কমবে না। এ কথা সরকারও জানে। তবুও লোকদেখানোর জন্য তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে যারা উপাচার্য পদে দায়িত্বরত আছেন এবং যারা আগামীতে উপাচার্য হবেন, তাদের সবাই এ বিষয়ে অবহিত যে, তাদের অন্যায় ধরা পড়লে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে পদ ছেড়ে দেওয়া। কাজেই কেন তারা দুর্নীতি করবেন না? কেন সরকারের তোষামোদি করে উপাচার্য হতে চাইবেন না?

সরকারের এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে-প্রকৃত পেশাদার ও যোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়ার। এক্ষেত্রে কোনো সম্মানিত শিক্ষক, তা তিনি যত যোগ্যই হোন না কেন, যদি উপাচার্য হওয়ার জন্য নিজে বা অন্য কাউকে দিয়ে তদবির করান, তাহলে তাকে কিছুতেই উপাচার্যের মতো পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এমন একটি নীতি গ্রহণ করতে পারলে উপাচার্য পদে যোগ্য ব্যক্তিদের আবির্ভাব ঘটবে। তবে সরকার ‘জি হুজুর’ এবং দলীয় সভায় যোগদানকারী উপাচার্য চাইলে কখনো এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া উপাচার্যদের বেশিরভাগই অন্যায় ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

https://www.jugantor.com/todays-paper/window/394308/