রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার প্রাইম গাইডলাইন মডেল স্কুলের ভেতর এভাবেই ফাঁকা পড়ে আছে ছবি: মোশতাক আহমেদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১০:০১

করোনার প্রভাব

টিকে থাকার অন্য রকম সংগ্রামে কিন্ডারগার্টেনগুলো

করোনাকালে গত বছরের জুলাইয়ে স্কুল বিক্রির নোটিশ দিয়ে আলোচিত হয়েছিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং সোসাইটির ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুল। তবে এরপর এক ব্যক্তির আর্থিক সহায়তায় স্কুলটি এখনো টিকে আছে।

সেখানে নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মাত্র ৪০ জন। কিন্তু মোহাম্মদপুরের আদাবর বাজারের কাছে অবস্থিত পপুলার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটির সংকট আরও গভীর হয়েছে। গত বছর এই স্কুলে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, প্রধান শিক্ষক আমিনা বেগম খরচ বাঁচাতে বাসা ছেড়ে স্কুলের কক্ষে উঠেছিলেন। পাশাপাশি মৌসুমি ফলের দোকান দিয়েছিলেন।

কিন্ডারগার্টেনগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু এ দেশের শিশুরাই কিন্তু এগুলোতে পড়াশোনা করে। বইও দেওয়া হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে সরকারের উচিত এই স্কুলগুলোকে সহায়তা করা।
এস এম হাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক

প্রায় সাত মাস পর ৬ ফেব্রুয়ারি আবারও আদাবরে গিয়ে দেখা গেল, বন্ধ স্কুলের তিনটি কক্ষকে বাসা তো বানিয়েছেনই, তার ওপর স্কুলের আরেকটি কক্ষে নারীদের কিছু পোশাক তুলেছেন, যা অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করছেন আমিনা বেগম। পাশাপাশি সহকর্মীদের নিয়ে ফলের দোকানটি এখন স্থায়ী করেছেন। তিনি বললেন, বাড়িভাড়া বাকি পড়েছে। কিন্তু নিজের হাতে গড়া স্কুলটি একেবারে বন্ধ করতে চান না তিনি। এ জন্য নানা কষ্টে স্কুলটিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কারণ, বাড়িটি একবার ছেড়ে দিলে একই এলাকায় স্কুলের জন্য নতুন করে বাড়িভাড়া নিয়ে স্কুল চালু করা কঠিন হবে।

আমিনা বেগম আরও বললেন, এ মাসের শুরুতে স্কুল খুলতে পারে, এমন আশায় খোলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আশপাশের কিছু শিক্ষার্থীকে ভর্তিও করেছেন। কিন্তু আগের মতো আর শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না। নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৬০ জনের মতো। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে এখন কাগজপত্রে ১৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আছে; যা করোনার আগে ছিল ২৩৫ জন। তবে ক্লাস না হওয়ায় টিউশন ফি পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় স্কুলটি টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে জয়ী হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বেশি চিন্তায় আছেন। এ জন্য সরকারের সহায়তা চান তিনি।

মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভেতর একটি কক্ষে অনলাইন পোশাক বিক্রির দোকান খুলেছেন প্রধান শিক্ষক

মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভেতর একটি কক্ষে অনলাইন পোশাক বিক্রির দোকান খুলেছেন প্রধান শিক্ষক ছবি: মোশতাক আহমেদ
শুধু এই স্কুলটিই নয়, সারা দেশের প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে, এর মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ছুটিতে দেশের এক হাজারের মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে স্কুল খোলার জন্য ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার খবরে অনেকগুলো স্কুল আবারও ঘর ভাড়া করে এবং শিক্ষক ঠিক করে চালুর প্রস্তুতি নিয়েছে।

দেশে বাংলা ও ইংরেজি দুই মাধ্যমের কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে মূলত প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা করা হলেও অনেক স্কুলে মাধ্যমিক স্তরও আছে। দেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল কতগুলো আছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব সরকারের হাতে নেই।

কিন্তু করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলায় আবারও এই স্কুলগুলো নতুন করে সংকটে পড়েছে। কিন্ডারগার্টেনগুলোর উদ্যোক্তারা চাচ্ছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হোক। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, তাঁরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করেই খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তার আগে সব শিক্ষককে করোনার টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিকের সব শিক্ষককে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দেশে বাংলা ও ইংরেজি দুই মাধ্যমের কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে মূলত প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা করা হলেও অনেক স্কুলে মাধ্যমিক স্তরও আছে। দেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল কতগুলো আছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব সরকারের হাতে নেই।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) হিসাবে সরকারি, কিন্ডারগার্টেন, এনজিওর স্কুলসহ প্রাথমিক স্কুল ১ লাখ ২৯ হাজারের মতো। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক স্কুল আছে ৬৭ হাজারের মতো। প্রাথমিক স্তরে মোট শিক্ষার্থী প্রায় পৌনে দুই কোটি।

তবে কিন্ডারগার্টেনগুলোর সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে ৪০ হাজারের মতো। একেকটি স্কুলে গড়ে ১০০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত শিক্ষার্থী পড়ে। শিক্ষার্থী প্রায় ৫০ লাখ। অবশ্য এসব শিক্ষার্থীদের একটি অংশ একই সঙ্গে মূলধারার স্কুলেও পড়ে, আবার অধিক যত্নের জন্য কিন্ডারগার্টেনে পড়ে। মোট শিক্ষক আছেন প্রায় ১০ লাখ।

করোনারভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি আছে। দীর্ঘ এই বন্ধের কারণে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্টেনগুলোর বিরাটসংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা সংকটে পড়েছেন।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম ইকবাল বাহার প্রথম আলোকে বলেন, কিন্ডারগার্টেনগুলোর প্রায় ৯৯ ভাগ ভাড়াবাড়িতে চলে। স্কুলগুলোর আয়ের উৎস টিউশন ফি। বন্ধের কারণে গত বছরের মার্চ থেকে টিউশন ফি আদায় করা যাচ্ছে না। এ কারণে বাড়িভাড়া ও শিক্ষকদের বেতন দিতে গিয়ে সংকটে পড়ে এক হাজারের মতো স্কুল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষকদের অনেকেই জীবিকার তাগিদে নানা পেশায় যুক্ত হয়েছেন। স্কুল খোলার সংকেতে বন্ধ হওয়া স্কুলের অনেকেই আবারও বাড়িভাড়া নিয়ে স্কুলগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু খুলতে দেরি হওয়ায় সংকট বাড়ছে।

স্কুল ছেড়ে অন্য চাকরি, আবার স্কুল রক্ষার লড়াই
সংকটের ধরনটি বোঝা গেল মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় অবস্থিত প্রাইম গাইডলাইন মডেল স্কুলে গিয়ে। ৬ ফেব্রুয়ারি স্কুলটিতে গিয়ে পাওয়া গেল শিক্ষক বীথি আখতারকে। তিনি জানালেন, এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আখতার। তিন বছর ধরে তিনি এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। করোনার কারণে স্কুল বন্ধের পর তাঁরও বেতন বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে গ্রামের বাড়ি চলে যান। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক স্কুলের কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দিয়ে দেন। ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলতে পারে, এমন খবরে প্রধান শিক্ষকের ফোন পেয়ে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন। কিন্তু সরকার এখনো স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে স্কুলটির সঙ্গে তিনিও সংকটে পড়েছেন।

করোনার আগে স্কুলটিতে শিক্ষার্থী ছিল ২২৫ জনের মতো। শিক্ষক ছয়জন। এবার শিক্ষার্থী পাওয়াই কষ্টসাধ্য বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা।

জানা গেছে, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক স্কুলটি ছেড়ে দিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেন। কিন্তু স্কুল খোলার সংকেতে ঘরগুলো আবার ভাড়া নেন। প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আখতার মুঠোফোনে বললেন, নিজের গড়া স্কুলটি কোনোমতেই ছাড়তে চাইছেন না। এ জন্য আশা নিয়ে বেসরকারি সংস্থার চাকরিটি ছেড়ে আবার স্কুলটি চালুর উদ্যোগ নেন। কিন্তু কবে খুলবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। ফলে বেশ সমস্যায় পড়েছেন তিনি।

এই বাড়ির মালিকের হয়ে দেখভাল করেন আসমা আক্তার নামের এক নারী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মোট নয়টি কক্ষ নিয়ে স্কুলটি চলছিল। মোট ভাড়া ছিল প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সম্প্রতি চারটি ছেড়ে দিয়েছিলেন শাহানাজ আখতার। সেগুলো অন্যদের ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এরপরেও শাহনাজ আখতারের মাসে ভাড়া ছিল প্রায় ১৯ হাজার। কিন্তু তিন মাসের ভাড়া বাকি পড়েছে। এর মধ্যে আবার চলতি মাস থেকে ছেড়ে দেওয়া কক্ষগুলোও নেন শাহনাজ আখতার।

স্কুলের জায়গা ভাড়া
রাজধানীর মাটিকাটা এলাকার ইন্সপায়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজটি নিজস্ব ভবনে চলছিল। মোট ছয়তলাবিশিষ্ট এই ভবনের চারটি তলায় স্কুলটি চলত। পঞ্চম ও ষষ্ঠতলা আগে থেকেই ভাড়া দেওয়া। অধ্যক্ষ নাজমুন নাহার প্রথম আলোকে বললেন, করোনার বন্ধের কারণে অপেক্ষা করতে করতে গত সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল ভবনের তিনতলা ও চারতলাও ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এখন নিচতলা ও দোতলা নিয়ে আবার স্কুল চালুর প্রস্তুতি নিয়েছেন। করোনার আগে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী ও ১৬ জন শিক্ষক ছিলেন। এখন সেই পরিমাণ শিক্ষার্থী পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি নিজস্ব ভবনে থাকায় হয়তো টিকে থাকতে পেরেছি, কিন্তু অন্য অনেকের সমস্যাটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।’

সরকারি সহায়তার দাবি

কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির বলেছেন, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

করোনোর কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকেরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেলেও কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী তাঁদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তদুপরি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ভাড়া বাড়িতে হওয়ায় বাড়িভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করতেই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা পরিচালকদের নাজুক অবস্থা। এ জন্য আর্থিক চাপ সইতে না পেরে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে এবং মানসিক চাপে পড়েছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতি শিক্ষককে ১০ হাজার করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি করেছেন।


মান ও নিয়ম না মানার অভিযোগ
দেশের কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর অনেকের বিরুদ্ধেই মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার নিয়মকানুন না মানারও অভিযোগ আছে। এসব স্কুলের নিবন্ধনের জন্য আলাদা বিধিমালা আছে। নির্ধারিত নিয়ম মেনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের মাধ্যমে নিবন্ধিত হতে হয়। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের নিয়মিত স্কুলকে নিবন্ধন নিতে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শিক্ষা বোর্ডগুলোর মাধ্যমে। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ২০১১ সালে কিন্ডারগার্টেনের নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর দীর্ঘ প্রক্রিয়া পেরিয়ে এ পর্যন্ত ৩৩০টি স্কুল নিবন্ধিত হয়েছে। আরও ১৪ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। কিন্ডারগার্টেনগুলোর একেক স্কুলের পড়াশোনার মান ও বেতনেও কোনো সামঞ্জস্য নেই। দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও সরকারি নজরও কম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেনগুলোর অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু এ দেশের শিশুরাই কিন্তু এগুলোতে পড়াশোনা করে। বইও দেওয়া হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে সরকারের উচিত এই স্কুলগুলোকে সহায়তা করা। একই সঙ্গে স্কুলগুলোকেও নিয়মকানুনের আওতায় আনতে হবে।’

https://bit.ly/2LZYW1h