১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১১:৪৩

টিকা কার্ড শুধু বাংলায় কেন?

কোভিড-১৯ টিকার আবেদনের নীতিমালা শিথিল করেছে সরকার। বয়সের সীমা ৫৫ থেকে ৪০-এর ঘরে নিয়ে আসায় ক্রমেই বাড়ছে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা। সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করলে সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে একটি টিকাদান কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে। এই কার্ডে টিকার ডোজের তথ্য ও একটি অঙ্গীকারনামা যুক্ত আছে। প্রথম ডোজ কবে গ্রহণ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী ডোজ কবে গ্রহণ করতে হবে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য কার্ডটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কার্ডটি শুধুমাত্র বাংলায় ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এতে করে যারা দেশের বাইরে এই কার্ডটি প্রদর্শন করবেন তারা এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণের পর যে সনদ দেয়া হবে তা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই সরবরাহ করার দাবি জানিয়েছেন তারা। ইউকেভিত্তিক একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, তাকে প্রায়শই দেশের বাইরে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিতে হয়। তিনি ধারণা করছেন, বহির্বিশ্বে ভ্রমণের জন্য এই ভ্যাকসিন কার্ড কিংবা সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। যে কারণে তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করছেন। কিন্তু সুরক্ষা ওয়েবসাইটে বাংলায় কার্ড সরবরাহ করায় হতাশ তিনি।

টিকা কার্ডে একটি সম্মতিপত্রও যুক্ত করা হয়েছে। প্রথম ডোজ গ্রহণের সময় এই সম্পতিপত্র স্বাক্ষর করে টিকাদান কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। সম্মতিপত্রে বেশ কয়েকটি সংবেদনশীল বিষয়ে সম্মতি প্রদান করতে হয়। এর মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কী হতে পারে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যবহারকারীদের মতে, দেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকরা সবাই বাংলায় পারদর্শী নয়। সম্মতিপত্রটি ইংরেজিতেও ডাউনলোডের সুবিধা থাকলে তা অধিকতর গ্রহণযোগ্য হতো।

সুরক্ষা ওয়েবসাইটটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই হচ্ছে। কিন্তু টিকা কার্ড ডাউনলোডের সময় শুধু বাংলাতেই ডাউনলোড হচ্ছে। আর ভ্যাকসিন সনদ ডাউনলোডের অপশন এখনো চালু হয়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. মো. শামসুল হকের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

https://mzamin.com/article.php?mzamin=262234