৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার, ১১:০২

করোনায় অর্জিত হয়নি সরকারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

করোনাকালীন সময়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রপ্তানি খাতে ধাক্কা লেগেছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কোনোটিই অর্জিত হয়নি। পাশাপাশি শুধু একক মাস হিসেবে জানুয়ারিতেও রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। জানুয়ারি মাসে রপ্তানি আয় প্রায় ৫ শতাংশ পিছিয়ে আছে। রপ্তানিকারকরা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে অচলাবস্থা বিরাজ করায় পণ্যের ক্রয় আদেশ কমে গেছে। রফতানি আয়ে ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত থাকায় রপ্তানিকারকদের আশঙ্কাই সত্যি হলো।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পণ্য রফতানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের সপ্তম মাস জানুয়ারিতে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। এ মাসে ৩৪৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছিল ৩৬১ কোটি ডলারের পণ্য। গত জানুয়ারির তুলনায় রফতানি কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দুই হাজার ২৬৭ কোটি ডলার বা এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম।

এদিকে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে অচলাবস্থা বিরাজ করায় পণ্যের ক্রয় আদেশ কমে গেছে বলে রপ্তানিকারকরা বলে আসছিলেন। টানা রফতানি আয় কমে যাওয়ায় রপ্তানিকারকদের সেই কথাই সত্য প্রমাণিত হলো। জানুয়ারিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসেও রপ্তানি আয়ে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ওই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৩১ কোটি ডলার আয় হয়েছিল, যা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ কম এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ কম। রপ্তানি আয়ে ধারাবাহিক ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে অর্থবছরের সার্বিক রপ্তানির উপরেও। ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৩৪৭ কোটি ডলার, অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ২৬৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ পিছিয়ে রপ্তানি আয়। আগের বছর একই সময়ের তুলনায় পিছিয়ে আছে এক দশমিক ০৯ শতাংশ; ওই সময়ে আয় হয়েছিল ২ হাজার ২৯১ কোটি ডলার।

ইপিবির গত ডিসেম্বর পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে সার্বিক রপ্তানি কমেছে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে যে খারাপ পরিস্থিতি ছিল; জানুয়ারি মাসে এসে সেই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই গেছে।

রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়া। পোশাকখাতে নিট পণ্য ভালো অবস্থান (৪.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি) ধরে রাখলেও উভেন খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ শতাংশ ঋণাত্মক ও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি মাস শেষে এক হাজার ৮৪০ কোটি ডলারের পোশাকপণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল এক হাজার ৯০৬ কোটি ডলার। এরমধ্যে নিটপণ্য রয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার আর উভেন পণ্য ৮৪০ কোটি ডলার। আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ পিছিয়ে আছে উভেন পণ্য।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য, প্রকৌশল পণ্য, হস্তশিল্প, রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। অন্যদিকে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি কমেছে। বড় এই খাতগুলোর প্রভাবে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

টাকার অঙ্কে কম হলেও এই সাত মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে হোম টেক্সটাইল খাত। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে হোম টেক্সটাইল খাতে। ৫৪৯ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও রপ্তানি হয়েছে ৬৩৮ মিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের মোট রপ্তানির কাছাকাছি। ওই বছর রপ্তানি হয়েছিল ৭৫৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। একইভাবে পাট ও পাটজাত পণ্যেও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৭৬ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। তবে মহামারির ধাক্কায় বরাবরের মতোই সুখবর নেই রপ্তানির অন্যতম অংশীদার চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে। জানুয়ারি মাস শেষে প্রায় ছয় শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। জানুয়ারি শেষে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য। জানুয়ারি মাসে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮ কোটি ডলার সমমূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
রপ্তানি কমে যাওয়া প্রসঙ্গে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বলছেন, জানুয়ারি মাসের পরিসংখ্যানসহ চলতি অর্থবছরে টানা চতুর্থ মাস পোশাক খাত ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে। জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে তিন দশমিক ৪৪ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মধ্যে পড়েছে পোশাক খাত। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটছে বাংলাদেশে রপ্তানি খাতে, বিশেষ করে পোশাক খাতে। রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ হিসাবে তারা বলছেন, আমাদের রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে মহামারী প্রকটভাবে বেড়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোতে কড়া লকডাউন দেওয়া হয়েছে। তবে টিকা এসে যাওয়ায় শীত কাটিয়ে ওঠার পর বছরের মাঝামাঝিতে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশাবাদী খাত সংশ্লিষ্টরা।

এর আগগে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ৯৬৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয় এক হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছিল ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর গত অর্থবছরে একই সময় রপ্তানি আয় হয়েছিল এক হাজার ৯৩০ কোটি ২১ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কম হয় শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। এছাড়া একক মাস ডিসেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ইপিবির সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। এই সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১,৬২১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ১,৫৫৪ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ৪ দশমিক শূন্য ১২ শতাংশ। সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমে। দেশে উৎপাদিত পণ্য (সিমেন্ট, লবণ ইত্যাদি) খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১,৮৮৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১,৮৪২ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত বছর একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে। ইপিবি সূত্র বলছে, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশ যাতে রপ্তানি খাত থেকে বেশি আয় করে এজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এজন্য প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে কয়েকটি খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ায় আয় কমেছে। তবে সামনের দিকে আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্র জানায়, টেকনাফ স্থলবন্দরে গত জানুয়ারি মাসে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ টাকার রাজস্ব অর্জিত হয়নি। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত জানুয়ারি মাসে ১৬১টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৬ টাকার রাজস্ব অর্জিত হয়নি।

এদিকে চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য কেমন, তা জানা যায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত বছরের জুনের তথ্যে। পরিসংখ্যান বলছে, ভারত থেকে ২০১৯ সালে ৭ হাজার ৬৪৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই একই বছরে চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ভারতের চেয়ে চীন থেকে প্রায় দ্বিগুণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। একইসাথে বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে ভারতে পণ্য রফতানি হয়েছে ৯৩০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের। আর চীনে পণ্য রফতানি হয়েছে ৭৪৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের। সে হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ১২ হাজার ৮৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

তবে এখন পর্যন্ত চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এসেছে (স্টক বিনিয়োগ) ২ হাজার ৯০৭ মিলিয়ন ডলার। আর ভারত থেকে আসা স্টক বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ৬০২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ভারতের চেয়ে চীন প্রায় পাঁচগুণ বেশি বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশে। ২০১৯ সালে চীন থেকে বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ এসেছে এক হাজার ৪০৮ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯ সালে ভারত থেকে নতুন বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ১৫০ মিলিয়ন ডলার। নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও চীনের ধারে-কাছেও নেই ভারত। এছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে চীনের বাজারে আরও ৫ হাজার ১৬১ পণ্যের ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ এ সুবিধা পাবে। আর এটি বলবৎ থাকবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অবশ্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে এপিটির আওতায় ৩ হাজার ৯৫টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছিল। ওই সুবিধার বাইরে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হলো। এতে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় চীনের বাজারে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় এসেছে। সিপিডি বলছে, চীনের প্রচুর নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছেন। একইভাবে ভারতের নাগরিকরাও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। চীনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করছেন।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, পাকিস্তানের সাথেও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান আছে। এদেশ থেকে চা, ফার্মাসিটিকেল পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য, স্যু, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য পাকিস্তানে রফতানি হয়। এ রফতানি আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সেগুলো দুর করা গেলে বাণিজ্য আরও বাড়বে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করার বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানো যায়। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী- এর সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ পাকিস্তানে ৫০ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৫৪৩ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্য জটিলতা দূর হলে পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আরও বাড়বে।

https://dailysangram.com/post/442958