২৬ মার্চ ২০১৭, রবিবার, ৭:২১

স্বাস্থ্যনীতি পাসে ব্যর্থ হওয়ার পর ট্রাম্পের লক্ষ্য কর ব্যবস্থা

নতুন স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য কর ব্যবস্থার সংস্কার করা। গত শুক্রবার ট্রাম্প ও তার অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন জানিয়েছেন, তারা নতুন কর পরিকল্পনায় কংগ্রেসের সমর্থন প্রত্যাশা করছেন।
শুক্রবার ‘ওবামাকেয়ার’ বাতিল করে নতুন স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণের জন্য কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু পাস হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায় প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কর ছাড় ও কর ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে খুব শিগগিরই শক্তিশালী অবস্থান নিতে যাচ্ছি। এটাই হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।’
কংগ্রেসে স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে হোঁচট খাওয়ার পরও ট্রাম্প কর ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, এখন আমরা কর ব্যবস্থার সংস্কার করতে যাচ্ছি।’
এর আগে ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী মুচিন জানান, কর ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাব কংগ্রেসে পাস করতে খুব বেশি কষ্টকর হবে না। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যনীতি এক জটিল বিষয়। তুলনামূলকভাবে কর ব্যবস্থার সংস্কার একটি সহজ প্রক্রিয়া।’
শুক্রবার সকালে অ্যাক্সিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুচিন বলেন, তারা গত দুই মাস ধরে কর ব্যবস্থার সংস্কারে কাজ করছেন। আর শিগগিরই তা প্রস্তাব আকারে কংগ্রেসে উত্থাপন করা হবে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য আগামী আগস্টের মধ্যে প্রস্তাব পাস করে নেয়া। তবে তা সম্ভব না হলে বছরের শেষের দিকে তা উত্থাপন করা হতে পারে বলেও জানান মুচিন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেন, ‘কর ব্যবস্থার সংস্কারে প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তবে তা আগস্টের মধ্যে সম্ভব হওয়াটা ‘উচ্চাভিলাষী’ চিন্তা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নতুন কর ব্যবস্থায় ২০ শতাংশ আমদানি কর ধার্য করার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দু’টো দিকই রয়েছে বলে জানান মুচিন। কর্পোরেট খাতে বর্তমানে ধার্য করা ৩৫ শতাংশ থেকে অনেক কম কর দিতে হবে নতুন কর ব্যবস্থায়। তবে এ বিষয়ে মুচিন বিস্তারিত কিছু জানাননি। পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ট্রাম্পের খরচ বাড়ানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে মুচিন বলেন, প্রেসিডেন্ট ফেডারেল অর্থে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলার খরচ করে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চান। এর ফলে আগামী দশকে প্রায় ১ লাখ কোটি ডলারের লাভ হবে।
মুচিন দাবি করেন, মধ্য আয়ের মার্কিনিদের কথা মাথায় রেখে কর ব্যবস্থার সংস্কার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য মধ্য আয়ের জনগণকে কর ছাড় দেওয়া। উচ্চ আয়ের মানুষেরা এর আওতায় পড়বেন না।’
কর ব্যবস্থার সংস্কারের ফলে ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী আর্থিক প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ৩ থেকে ৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন মুচিন। ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে মুচিন বলেন, ‘ট্রাম্প অবশ্যই শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চান। কিন্তু তিনি পুরো চুক্তিটি খতিয়ে দেখতে চান।’ এজন্য নাফটা ও টিপিপি থেকে সরে আসলেও ওইসব অর্থনৈতিক জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ট্রাম্প আলোচনা করছেন বলেও জানান মুচিন।

http://www.dailysangram.com/post/277168-