২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ১১:৩১

করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে জনমনে সন্দেহ সংশয়

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : দেশে পৌঁছেছে বহুল প্রতীক্ষিত করোনার টিকা। ভারত থেকে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা গত বৃহস্পতিার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার এই ভ্যাকসিন কারা প্রথমে পাবেন তাও একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগামী ছয়-সাত দিনের মধ্যে টিকার একটি ট্রায়াল রান করার চিন্তাভাবনা আছে। চূড়ান্ত দিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি’। তবে এই টিকা নিয়ে বিশেষজ্ঞসহ রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে সন্দেহ-সংশয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতিবিদরা বলছেন, আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এই টিকা নিবেন। তারপর সেটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, ভিআইপিরা আগে নেবে না, সাধারণ মানুষরা আগে নেবে। এতে মানুষের মনে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিকাটা আগে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় যারা আছেন সেখান থেকে শুরু করলে মানুষের মধ্যে আস্থা আসবে। আপনারা আগে টিকা নিলে জনগণ ভরসা পাবে। এই টিকা নিতে সাহস পাবে গোটা দেশবাসী। জনগণ উপলব্ধি করবে, আপনারা দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। জনগণকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসেন।

বিশেষজ্ঞদের কেউকেউ বলছেন, টিকাটি প্রয়োগে আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে। আবার কেউকেউ বলছেন, করোনার এই ভ্যকাসিন নিয়ে এত চিন্তিত হবার কিছু নেই। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে টিকা নিয়ে একটি অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কোনো গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, টিকা মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। যারা মানুষের জীবন নিয়ে ষড়যন্ত্র, রাজনীতি করে তারা সঠিক লোক নয়। আমরা করোনা মোকাবিলায় আছি, জীবন রক্ষায় আছি। এই মোকাবিলায় টিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এজন্য কেউ যাতে জাতিকে বিভ্রান্ত না করে সেজন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ২০ লাখ টিকা দিয়েছে ভারত। এরপর বাণিজ্যিক চুক্তি অনুযায়ী এ মাসের শেষে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আরও টিকা আসবে। প্রতিদিন দুই লাখ ডোজ হিসেবে প্রথম মাসে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম মাসে যারা টিকা পাবেন তারা দ্বিতীয় ডোজ পাবেন তৃতীয় মাসে। অন্যদিকে দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন চতুর্থ মাসে।

ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, তেজগাঁওয়ের ইপিআইয়ের সংরক্ষণাগারে টিকা সংরক্ষণ করা হবে। আমাদের ৫০ লাখ ভ্যাকসিন রাখার সক্ষমতা আছে। ইতোমধ্যে দুটি ফ্রিজার খালি করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্রিজারে ২০ লাখ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। টিকার নিরাপত্তা রক্ষায় ইপিআই সংরক্ষণাগার ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সম্মতি দেবেন সেদিন নাগরিক সমাজের ২০ থেকে ২৫ জনকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সামরিক সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ থাকবেন। এরপর রাজধানীর চারটি হাসপাতালে শুরু হবে টিকার ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। ঢাকার চারটি হাসপাতাল- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে প্রাথমিকভাবে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে দেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল না হওয়ায় গণটিকাদান শুরু করার আগে এই সংক্ষিপ্ত পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। তারপর এদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। যদি কোনো সমস্যা লক্ষ করা না যায় তাহলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকোটল অনুযায়ী এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। এরপর আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল মনে করেন, টিকা প্রয়োগে ১৫ দিন অপেক্ষা করা উচিত বাংলাদেশের। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আমি মনে করি ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে এর ফলাফল কী আসে সেটি দেখার জন্য ১৫ দিন অপেক্ষা করা দরকার। দেশের মানুষও ভারতের ফলটা দেখতে পারে। প্রতিবেশী দেশটিতে এ টিকার প্রভাব ভালো হলে বাংলাদেশের মানুষের দুশ্চিন্তা চলে যাবে বলে তিনি মনে করেন। বিজন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ তো একই রকম। সুতরাং সেখানে যে ফল আসবে সেটা বাংলাদেশেও আশা করা যায়। অন্ততপক্ষে আরও ১৫ দিন দেখা উচিত। ভারতে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর যদি যদি প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে এর মধ্যেই হয়ে যাবে। তখন মানুষের প্রশ্ন কম থাকবে। বিখ্যাত এ অণুজীববিজ্ঞানী বলেন, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আসা মানেই তো দেওয়া না। টিকা আসার পর সেটআপ করতেও তো সময় লাগবে। কাকে টিকা দেবে তাদের নির্বাচন করা, যারা টিকা দেবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এসব করতে সপ্তাহ দুই সময় লেগে যাবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি বোঝা যাবে। সার্সভাইরাসের কিট উদ্ভাবক ও করোনাভাইরাস শনাক্তের ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিট উদ্ভাবক মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা যদি ভারতের টিকা দেওয়ার ফলাফলটা ভালো করে লক্ষ্য করেন বা তথ্য আদানপ্রদান করেন, তাহলে তারা ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন।

সরকার দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করতে যাচ্ছে। মানুষের মনে যাতে এই টিকার বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয় সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তথ্য দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি পাশের দেশ ভারতে টিকা নেয়ার পর প্রায় সাড়ে চার শ’ মানুষের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সরকার বলছে, ন্যায্যতা ও অগ্রাধিকারভিত্তিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার বলছে, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন একটা নিরাপদ ভ্যাকসিন। তবে ভ্যাকসিন নেয়ার পরে কারো কারো ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ভ্যাকসিন প্রয়োগের জায়গায় ফুলে যাওয়া, সামান্য জ্বর হওয়া, বমি বমি ভাব, মাথা ও শরীর ব্যাথা। এ লক্ষণগুলো দুই একদিন থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেয়ার পর যে কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র/স্বাস্থ্যকর্মী/চিকিৎসকের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলনের ৩য় জাতীয় যুব কনভেনশনে বলেন, ভ্যাকসিনের নামে ভারত আমাদেরকে কী উপহার দিয়েছে তা ভাববার বিষয়। ভ্যাকসিন যারা এনেছেন আগে তাদের শরীরে প্রয়োগ করতে হবে।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে অযথা ভয় বা আবেগ তাড়িত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ইমোশনাল হয়ে কোনো কাজ হয় না। ইমোশনাল হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, এখন যে ভ্যাকসিন জনগণকে দেওয়া হচ্ছে সেগুলোকে বলা হয় ‘ফার্স্ট জেনারেশন’ ভ্যাকসিন। বৈজ্ঞানিকদের ভাষায় একে ভ্যাকসিনের ফোর্থ ট্রায়ালও বলা হয়।হাজার হাজার মানুষকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আবার বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। সাধারণত ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিন নেওয়া হয় না। এখন আমাদের হাতে সময় কম থাকায় ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। তাড়াতাড়ি আমাদেরকে নিতে হবে। এজন্যই ফার্স্ট জেনারেশন ভ্যাকসিনই আমরা নিচ্ছি, সারা পৃথিবীর লোকই নিচ্ছে।রূপান্তরিত করোনাভাইরাসেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা থাকবে। তবে এই কার্যকারিতা ছয় মাসের বেশি থাকবে না। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল বলেন, এই টিকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, ইন্ডিয়াতে এত লোক দিতে রাজি না। এই যে নরওয়েতে ২৩ জন বৃদ্ধ লোক মারা গেছে। এমনটা হলো ফাইজারের ভ্যাকসিনে। তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার। আবার ইউকেতে বৃদ্ধ মানুষদের দেওয়া হয়েছে, একজনও মরেনি। তাহলে এসব নিয়ে অ্যানালাইসিস করতে হবে। তিনি বলেন, ভয় পাওয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিন না নেওয়ার বিষয়টি হচ্ছে সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার। আমরা মনোযোগী হব বায়োলজিক্যাল ব্যাপারে, ফিজিক্যাল ব্যাপারে। সত্যিকারই আমাদের ক্ষতি হয় কি না, সেটা দেখব। অনেক কিছু আমাদেরকে কনসিডার করতে হবে। ইমোশনাল হলে চলবে না।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভ্যাকসিনের বিষয়টি সোজা-সরলভাবে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই। ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভ্যাকসিন বিষয়ে জনগণের আস্থা ফেরাতে আমি প্রস্তাব করছি এই ভ্যাকসিন প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে নেবেন। তাহলে জনগণের আস্থা বাড়বে। উনি যেহেতু আমাদের নেত্রী, তাই ওনাকে দিয়েই আমাদের ভ্যাকসিনের যাত্রা শুরু হোক। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, তালিকায় তার নাম আসলে তিনি টিকা নিবেন সবার আগে।

সূত্র মতে, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে নানারকম বক্তব্য মিডিয়াতে প্রচারিত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন নিয়ে একটা অনাগ্রহ তৈরী হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আগে টিকা নেয়ার আহবান জানিয়েছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানাব, পৃথিবীর দেশে দেশে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যেভাবে টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে মানুষকে আস্থা ও ভরসা দিচ্ছেন, আশ্বস্ত করছেন আপনারাও সেই পথ অনুসরণ করুন। তাদের মতো আপনারাও সাহসী পদক্ষেপ নিন। টিকা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা কাটাতে সহায়ক হবে। অনাগ্রহতা কাটিয়ে দেশবাসীকে টিকায় আগ্রহী করে তুলবে। রিজভী বলেন, প্রথম টিকাটি প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণ করার দৃশ্য সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। আর যদি প্রথম ডোজ টিকা না নেন, জনগণ নিশ্চিত হবে আপনাদের সবকিছুই ভন্ডামি ও ছলচাতুরি। জনগণকে কোনো দেশের পরীক্ষাগারের গিনিপিগ বানাবেন-এটা তো জনগণ মেনে নেবে না। গরীব মানুষ আম জনতাকে আগে ভ্যাকসিন (টিকা) দিয়ে দেখবেন ওরা মরে না বাঁচে। আপনাদের বিশ্বাসের অগ্নিপরীক্ষা হবে এখন।
রিজভী বলেন, ভারত সরকারের সৌজন্যে বাংলাদেশে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে- এ নিয়ে জনমনে রয়েছে গভীর সন্দেহ-সংশয়। এই কারণে নিশিরাতের সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের নানারকম বক্তব্য-মন্তব্য। তিনি বলেন, ভারতে টিকা গ্রহরে চারদিনে মারা গেছে তিনজন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ছয়‘শ লোক। এনডিপিঠির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিতর্কিত কোভ্যাক্সিন টিকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকদের বড় অংশ। তারা বলেছেন, কোভ্যাক্সিন নিয়ে আমরা সন্দিহান ও সংশায়িত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা ধরনের খবর প্রকাশিত হওয়ায় এ নিয়ে ঘোরতর রহস্য তৈরি হয়েছে।

https://dailysangram.com/post/441543