২৩ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ২:৪২

বাজার দর

পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুরগি-চিনি ও ময়দার দাম

ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল আবার খুচরা বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এর সাথে দাম বাড়তে শুরু করেছে মুরগি, চিনি ও ময়দার। তবে সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। তখন লিটারপতি বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১০৫ টাকা দরে। বর্তমানে সে তেল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাসাবো বাজারের খুচরা তেল বিক্রেতা রুবেল হোসেন জানান, ভোজ্যতেলের বাজার অনেক দিন ধরেই অস্থিতিশীল। বাজারে ভালো মানের খোলা সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা। যেখানে বোতলের গায়ে সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য লেখা রয়েছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ৫ লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ৬৩০ টাকা, যা বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। এ বিক্রেতা জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের বোতলের সরবরাহ প্রায় নেই। এ কারণে এখন খোলা সয়াবিন তেলের দাম বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে বেশি।

ভোজ্যতেলের ক্রমাগত দর বৃদ্ধির সাথে এবার চিনি ও ময়দার দামও বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের চেয়ে চিনির দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা এবং ময়দার দাম অন্তত ২ টাকা বেড়েছে। মুদিদোকানি রাসেল মিয়া বলেন, বাজারে প্যাকেট চিনির দাম প্রতি কেজি ৭০ টাকা, খোলা চিনির দামও ৭০ টাকা। তিনি বলেন, এক মাস আগেও পাইকারি বাজার থেকে ২৭৫০ টাকায় ৫০ কেজির বস্তা কিনেছি। তখন খোলা চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা। এখন চিনির বস্তা ৩১৫০ টাকা থেকে ৩২০০ টাকা হয়েছে। কেন এরকম হলো সেটাই বুঝছি না। সরবরাহে ঘাটতির কারণে ময়দার দামও ধীরে ধীরে বাড়ছে। দোকানিরা বলেন, ময়দার মিলগুলোতে ট্রাক ১৫-১৬ দিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে। এর প্রভাবে বাজারে সঙ্কট শুরু না হলেও প্রতি বস্তা ময়দার দাম ১০০-১৫০ টাকা বেড়ে ১৬০০ টাকায় উঠেছে।

বাজারে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। ফকিরাপুল বাজারের মুরগি বিক্রেতা শরিফ হোসেন বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম আরো বাড়তে পারে। পোলট্রি ফার্মে মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে।

এ দিকে বাজারে দেশী পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ২৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেও বাজারে বিক্রি নেই। সেজন্য দোকানিরাও সেই পেঁয়াজ রাখছেন না। গতকাল কাওরান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে ঘুরে কোথাও ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যায়নি। বাজারে সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/557763