৬ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার, ১১:০২

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যে অপেক্ষার শেষ নেই

মুহাম্মদ নূরে আলম : প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। উগ্র বৌদ্ধবাদকে ব্যবহার করে সেখানকার সেনাবাহিনী ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্থাপন করেছে সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসের চিহ্ন। ছড়িয়েছে বিদ্বেষ। ১৯৮২-তে প্রণীত নাগরিকত্ব আইনে পরিচয়হীনতার কাল শুরু হয় রোহিঙ্গাদের। এরপর কখনও মলিন হয়ে যাওয়া কোনও নিবন্ধনপত্র, কখনও নীলচে সবুজ রঙের রশিদ, কখনও ভোটার স্বীকৃতির হোয়াইট কার্ড, কখনও আবার ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড কিংবা এনভিসি নামের রঙ-বেরঙের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষকে। ধাপে ধাপে মলিন হয়েছে তাদের পরিচয়। ক্রমশ তাদের রূপান্তরিত করা হয়েছে রাষ্ট্রহীন বেনাগরিকে।

এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারে ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালের সেনা অভিযান ও রাখাইন প্রদেশে গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই ঘটনার ৪ বছর পূর্তি হলো। এই বিশাল নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতি হয়নি। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা ঠিক হয়েছিল। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রস্তুত ছিল কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি বলে ঘোষণা দেয়ায় প্রথমবারের মত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়। এর প্রায় এক বছর পর ২২ আগস্ট ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বারের মত প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুতি নেয়। মিয়ানমার ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এই উদ্যোগও সফলতার মুখ দেখেনি। এ সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আতংক ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করেনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরের স্থানান্তর ছাড়া দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকেও দেখা যায়নি। বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকবার আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, রোহিঙ্গাদের আশঙ্কা তাদের মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হতে হবে। আর সেকারণে তারা দেশে ফিরতে রাজি হয়নি। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার উপযোগী নয়। রোহিঙ্গা সমস্যার মূল সমাধান অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কোন প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি। প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর উপর মনোযোগ দেয়া উচিত।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে থাকার আশ^াস দিয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লু, ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্কসহ স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতরাও । গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ মিয়ানমার সরকার এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন দলের ১০৪ জন ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরিয়ান। এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত মিয়ানমারের উপর চাপ দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

রোহিঙ্গা সংকটে গত ৪ বছরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের মনোযোগের পুরোটা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা এবং রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার জবাবদিহি নিশ্চিত করা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী প্রধানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে দেশটির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই বন্ধ করেনি। সেই অর্থে মিয়ানমারকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নেয়নি। এমনকি সম্প্রতি মানবাধিকার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংলাপে রোহিঙ্গা শব্দটি উল্লেখ করা হয়নি।

কূটনীতিকেরা বলছেন, প্রকাশ্য বক্তৃতা-বিবৃতিতে চাপের কথা বললেও মিয়ানমারকে কার্যত চটাতে চায় না ইইউ। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আয়োজনে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় দাতাদের বৈঠকে প্রত্যাবাসনের বিষয়টিও অলোচনা গুরুত্ব পাবে, এমন আশাবাদ তৈরি হয়েছিল। তবে ওই আলোচনায় শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় নতুন তহবিলের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) মিয়ানমার কর্তৃক জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন ও সংশ্লিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গণহত্যা প্রতিরোধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বতীকালীন পদক্ষেপ ঘোষণা করে। তবে কিছুই মানেনি মিয়ানমার। দেশের ভেতরে সংঘটিত গুরুতর অপরাধ তদন্তের জন্য জাতিসংঘকেও অনুমতি দেয়নি তারা। নিজেরাও সামরিক নৃশংসতার বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য কোনও তদন্ত চালায়নি। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর গণহত্যার অপরাধ, প্রতিরোধ ও সাজা বিষয়ক সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে গাম্বিয়া ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) আদালতের রেজিস্ট্রারের কাছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানায়। ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৩৪টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ২৮টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্মতিপত্রে সই করেছে বাংলাদেশ। এই সম্মতিপত্র অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারকে কতখানি কার্যকর ভূমিকা সেনাবাহিনী রাখতে দেবে, তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার বলছে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে শিগগির। বাংলাদেশ তার নিজের অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে এসে মিয়ানমারের সঙ্গে ১৯৯২ সালের চুক্তির আলোকে যে সমঝোতা করেছে, সেটা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে দেখা হবে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক কিনা। যাচাই-বাছাই করবে মিয়ানমার-বাংলাদেশ, যৌথভাবে। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিলে সিদ্ধান্ত নেবে এককভাবে মিয়ানমার। আমরা জানি বাংলাদেশে এবার আসা রোহিঙ্গাদের মাত্র ১৪ হাজারের মতো মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দাবি করার মতো কাগজপত্র দেখাতে পারবে। যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারবে না, অর্থাৎ তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবে মিয়ানমার।

১৯৯২ সালের এপ্রিলের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয় এবং আলোচনা শেষে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ একটি যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে ১৯৯২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ২০০৫ সালের মিয়ানমার আর ২০১৭ সালের মিয়ানমারের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এরই মধ্যে সুকৌশলে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের আরও প্রান্তিক করে ফেলা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যে নিজেদের মিয়ানমারের স্থায়ী বা অস্থায়ী বাসিন্দা বলে প্রমাণ করবে, তার কাগজপত্র রীতিমতো গায়েব করে ফেলা হয়েছে। ফলে মিয়ানমার অনেক হিসাব-নিকাশ করেই ১৯৭৮ সালের ফর্মুলা না এনে, ১৯৯২ সালের ফর্মুলার কথা বলছে। যদি ১৯৯২ সালের ফর্মুলা দিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের একটা কাঠামো দাঁড় করানো হয়, তাহলে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারবে।

কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়াসহ চীনের সঙ্গে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈরথ, মিয়ানমার ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সঙ্গে ওই বৈঠকের যোগসূত্রকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের ট্রাম্প প্রশাসন এই বার্তা হয়তো দিতে চাইছে, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের নেতৃত্বে থেকে চীনকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মিয়ানমারকে এই বার্তা হয়তো যুক্তরাষ্ট্র দিতে চাচ্ছে, তাদের ওপর চাপ বাড়ানো হবে। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশেষ করে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় ওই আলোচনার কোনো ভূমিকা নেই।

রোহিঙ্গা সংকটের সঙ্গে ভূরাজনীতির সম্পৃক্ততার বিষয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে। সমস্যাটি নিয়ে ক্ষমতাধর দেশের কাছ থেকে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। আর সেই উৎসাহ রোহিঙ্গাদের নিয়ে যতটা, তার চেয়ে বেশি বড় শক্তিধর দেশগুলোর রাজনৈতিক ক্ষমতা নিয়ে। শেষ পর্যন্ত যদি এটি ঘটে যায়, তবে সমস্যা সমাধানের চেয়ে এটি সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করবে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের মূল কারণ অনুসন্ধান করতেও ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার। তাদের জন্য নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটি। আব্দুল হামিদ নামে এক রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেন, আমরা হাজার হাজার মানুষকে হত্যার শিকার হতে দেখেছি। তুলাতলি নদীতে মৃতদেহ ভাসছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হয়নি। যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সঙ্গে কথা বলেছে তারা সবাই স্বতস্ফূর্তভাবেই নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তাদের শর্ত, নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে, চলাফেলার স্বাধীনতা দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনও নৃশংসতা হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

রোহিঙ্গাহীন রাখাইন নির্মাণের সেই স্বপ্ন বাস্তবের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এশিয়ান টাইমস-এ লেখা নিবন্ধে দ্য রিচার্ডসন সেন্টার ফর গ্লোবাল এনগেজমেন্ট-এর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও প্রকল্প পরিচালক স্টিভ রস বলছেন, দীর্ঘদিন পরও রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব ব্যর্থ। অদূর ভবিষ্যতে তাদের জন্য নিরাপত্তা সুরক্ষা, মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার কোনও আভাস নেই। এমন অবস্থায় নিজ দেশে গণহত্যার শিকার হওয়া, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে গাদাগাদি করে থাকা কিংবা সাগরপথে ঝুঁকি নিয়ে উন্নত দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করা ছাড়া তাদের অন্য কোনও উপায় নেই।

https://dailysangram.com/post/439703