১ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ১১:৪৭

মেজর সিনহা ও সিলেটে রায়হান হত্যায় দেশজুড়ে তোলপাড়

নাছির উদ্দিন শোয়েব: বিদায়ী বছরে (২০২০ সাল) টেকনাফে পুলিশের চেকপোস্টে গুলীতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার রেষ না কাটতেই সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে যুবক রায়হান আহমদ হত্যার ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড দু’টিতে অনেকটা ইমেজ সঙ্কটে পরে পুলিশ। করোনা মহামারির শুরুতে লকডাউনে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছাকাছি গিয়ে যে প্রশংসা কুড়িয়ে ছিল এ দু’টি ঘটনায় তা কিছুটা ম্লান হয়ে যায়। বিশেষ করে মেজর (অব.) সিনহা হত্যাণ্ডের ঘটনা সামাল দিতে সেনা প্রধান এবং পুলিশ প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন। গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) লিয়াকতসহ ১৪ জনকে। এ মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে রায়হান হত্যামামলার প্রধান আসামী এএসআই আকবরসহ সব আসামীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’টি মামলারই তদন্ত কাজ শেষ পর্যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিনহা হত্যাকাণ্ড: গত ৩ জুলাই ঢাকা থেকে কক্সবাজার যান মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। উদ্দেশ্য, ‘জাস্ট গো’ নামে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ট্রাভেল ভিডিও নির্মাণ। সঙ্গে ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যাণ্ড মিডিয়া বিভাগের তিনজনসহ মোট চারজন। ওঠেন মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি ঝরনা এলাকার নীলিমা রিসোর্টে। প্রায় এক মাস তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে শুটিং সম্পন্ন করেন। ৩১ জুলাই বিকেলে সঙ্গী সিফাতকে নিয়ে মেজর (অব.) সিনহা কক্সবাজার থেকে টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ে যান। এ সময় সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার পরনে ছিল সামরিক পোশাক (কম্ব্যাট টি-শার্ট, কম্ব্যাট ট্রাউজার ও ডেজার্ট বুট)। সন্ধ্যা ও রাত্রিকালীন শুটিং শেষ করে তারা রাত সাড়ে আটটার দিকে পাহাড় থেকে নেমে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন লোক ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দেন। পাহাড় থেকে নেমে মেজর (অব.) সিনহা সিফাতকে নিয়ে নিজস্ব প্রাইভেট কারে ওঠেন। রাত ৯টার দিকে তারা পৌঁছান শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে। পুলিশের সংকেত পেয়ে মেজর (অব.) সিনহা গাড়ি থামান এবং নিজের পরিচয় দিলে প্রথমে তাদের চলে যাওয়ার সংকেত দেওয়া হয়। পরে পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাদের পুনরায় থামান এবং তাদের দিকে পিস্তল তাক করে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। সিফাত হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির পেছনের দিকে গিয়ে দাঁড়ান। মেজর (অব.) সিনহা গাড়ি থেকে হাত উঁচু করে নামার পরপরই পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত তাকে তিনটি গুলী করেন। রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আনা হয় একটি মিনিট্রাক। ট্রাকে ওঠানোর সময়ও মেজর সিনহা জীবিত ছিলেন এবং নড়াচড়া করছিলেন। এরপর সিনহাকে নিয়ে ট্রাকটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর। তখন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিনহাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে প্রথমে তিনটি মামলা করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামী করা হয়। অভিযুক্ত ওসিহ পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামী লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন ) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেফতারকৃত ১৪ আসামীকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে ১২ জন আসামী আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। টেকনাফ থানা থেকে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বরখাস্ত কনস্টেবল রুবেল শর্মা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এছাড়া মামলার প্রধান আসামী লিয়াকত আলীর দায়ের করা মামলাটির আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে খারিজ করে দেন আদালত। পরে আদালত সিনহা হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পলাতক আসামী পুলিশ সদস্য সাগর দেবের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।

গোপন তথ্য জেনে যাওয়ায় হত্যা: মামলার তদন্ত সংস্তা র‌্যাব জানায়, টেকনাফে প্রদীপ সিণ্ডিকেটের ইয়াবা বাণিজ্য, ক্রসফায়ারে হত্যা, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নির্যাত করাসহ অবৈধ কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস হওয়ায় সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে সিনহা ও তার সঙ্গীদের তিনদিনের মধ্যে টেকনাফ ছাড়ার -মকিও দিয়ে ছিলেন প্রদীপ। চাঞ্চল্যকর এ মামলা তদন্তে লোমহর্ষক তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। ১৩০ দিনের তদন্ত শেষে গত ১৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে র‌্যাব। চার্জশিটে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। রাষ্ট্রপক্ষের প্রত্যাশা আসামীদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হবেন। চার্জশিটে কক্সবাজার জেলার তখনকার পুলিশ সুপারের (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসাইনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। এদিকে সিনহা হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে প্রধান আসামী ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীর করা রিভিশন মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শিপ্রা ও সিফাতের মাদক মামলারও সত্যতা পায়নি তদন্ত কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, ‘হত্যাকা- তদন্তের ভার র‌্যাব পাওয়ার চার মাস ১০ দিন পর তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন। ৮৩ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ পৃষ্ঠার এই চার্জশিটে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেছেন তিনি।

চার্জশিটে কী আছে?

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যা- মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ অভিযোগ পত্রের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ঘটনায় সব মিলিয়ে মোটি ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।

আদালতের নির্দেশনায় সব গুলো মামলার তদন্ত করে র‌্যাব। এর মধ্যে একটি মামলা টেকনাফ থানায় মাদক সংক্রান্ত যা শহীদুল ইসলাম সিফাতকে আসামী করা হয়, পুলিশ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মেজর সিনহা এবং সিফাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আরেকটি মামলা রামু থানায় শিপ্রা দেবনাথকে আসামী করে দায়ের করা হয়। এই মামলা তিনটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেয়া হয়েছে। সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবং মামলার স্বপক্ষে কোন সাক্ষী প্রমাণ না থাকায় তাদের দায়মুক্তি দেয়ার জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। চার নম্বর মামলাটি সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন টেকনাফ আদালতে দায়ের করেন যা র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই হত্যাকা-ের মামলা র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম তদন্ত করেন। চার মাস ১০ দিন সময় নিয়ে এই মামলার তদন্ত করে এরইমধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন। বিভিন্ন ধরণের আলামত ও ডিজিটাল কন্টেন্ট আমলে এনে হত্যাকা-ের মামলায় অভিযোগপত্র প্রদান করেছে।

দু’টি কারণে হত্যাকাণ্ড: লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষী, আলামত, জবানবন্দি নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাস। তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিষয়গুলোকে ধামাচাপা ও ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করেছেন। র‌্যাব জানায় মূলত দুটি কারণে ওসি প্রদীপ এ ঘটনা ঘটান। একটি হলো, ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়। অপরটি, সিনহা এ তথ্য যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানাতে পারেন। হুমকির পরেও যখন মেজর সিনহা রাশেদ তাদের ইউটিউব চ্যানেলের কাজ ও ইয়াবা অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন, তখন ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও ওসি প্রদীপসহ অন্যরা পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটান। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার পূর্ব থেকেই ওসি প্রদীপ সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন কক্সবাজার জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন। এই ঘটনা ঘটার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করা, সিনহা রাশেদকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করাসহ বেশ কিছু কারণে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অপেশাদারি আচরণ করেছেন বলে মনে করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চার্জশিটে একটি সিদ্ধান্ত উপস্থাপনা করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা। র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন ঘটনার দিন রাতে নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালায় টেকনাফ থানা পুলিশ। সেখান থেকে সিফাতের ল্যাপটপ জব্দ করে হার্ডডিস্ক থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট করে ফেলে পুলিশ। এছাড়াও টেকনাফ থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও গায়েব করে বলে জানায় র‌্যাব।

পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে হত্যা: গত ১১ অক্টোবর সিলেটে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে বন্দরবাজার এলাকায় যাওয়ার পর হুট করেই এএসআই আশেক এলাহীর খপ্পরে পড়েন রায়হান আহমদ। আশেক তাকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। সেখানে টাকার দাবিতে পুলিশের পৈশাচিক নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রায়হান। এজন্য রাতে পুলিশের ফোন দিয়ে তার সৎবাবাকে ফোনও করেন রায়হান। ১০ হাজার টাকা নিয়ে পরিবার সদস্যরা রাতে ওই ফাাঁড়িতে এলেও ততক্ষণে গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে পরিবারের কাছে ফেরত না দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রতিবাদে ফাঁড়ি ঘেরাও করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন জানায় স্থানীয়রা। তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করেন। এরপর মহানগর পুলিশের তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন– কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ ও টিটু দাস। প্রত্যাহার হওয়া তিন জন হলেন এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন। আর এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর। তাকেও গ্রেফতার করা হয়।

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সিলেট পিবি আইয়ের পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান জানান, রায়হান হত্যাকা-ের ২৮ দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হলো। পিবি আইয়ের একটি দল কানাইঘাট এলাকায় যাচ্ছে। তবে ভিন্ন একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশে গ্রেফতারের আদেশ জারি হওয়ার পর থেকে পালিয়ে বেড়ানো আকবর কৌশলে সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত পার হয়ে খাসিয়াদের মতো বেশভূষা ধরে সেখানে অবস্থান করছিলেন। তবে তাকে স্থানীয়রা সন্দেহ করে আটক করে। এরপর তার হাত-পা বেঁধে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

https://dailysangram.com/post/439188