১ নভেম্বর ২০২০, রবিবার, ১০:৫১

পুরান ঢাকার বেশির ভাগ চাঁদাবাজি এখনো হাজী সেলিমের নিয়ন্ত্রণে

পুরান ঢাকার বেশির ভাগ চাঁদাবাজি এখনো হাজী সেলিমের লোকজনের নিয়ন্ত্রণে আছে। সদর ঘাটের ফুটপাথ আর ফলের মার্কেট থেকে শুরু করে কামরাঙ্গীরচরের বেড়িবাঁধের অটোস্ট্যান্ড পর্যন্ত সর্বত্রই এখনো তারই লোকজন নিয়ন্ত্রণ করছে। স্থানীয় সূত্র জানান, ছেলে এরফানের হাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হওয়ার পর হাজী সেলিমের পাশে এখন দৃশ্য কেউ নেই। এরপরেও প্রভাব কমেনি এই পরিবারের। এখনো মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছুই বলার সাহস রাখে না।

ভুক্তভোগীরা বলেছেন, শুধু দখলবাণিজ্যই নয়, পুরান ঢাকার বেশির ভাগ চাঁদাবাজি এখনো নিয়ন্ত্রণ করছেন হাজী সেলিম। তিনবারের এই দাপুটে সংসদ সদস্য শারীরিকভাবে এখন কিছুটা অসুস্থ হলেও তার বাহিনীর লোকজন এখনো বেশ সক্রিয়। তারা মূলত হাজী সেলিমের নামেই চাঁদাবাজি করে আসছে। বিশেষ করে কোতয়ালি, লালবাগ ও চকবাজার এলাকায় তার আধিপত্য মোটেও কমেনি। এমনকি ক্ষমতাসীন দলে তার অবস্থান কোণঠাসা থাকলেও এলাকায় তার আধিপত্য সেই আগের মতোই আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদরঘাট ও ফলের আড়ৎ থেকে মাসে কোটি টাকার মতো চাঁদাবাজি হয়। এর প্রায় অর্ধেক হাজী সেলিমের লোকজন নিচ্ছে। বাকি অর্ধেক বিভিন্ন পকেটে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এরফান গ্রেফতার হলেও তাদের সহযোগীরা এখনো সক্রিয়।

এ দিকে পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, এরফানের সাথে অন্য যারা গ্রেফতার হয়েছে সেই দিপু ও জাহিদ এর আগেও একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। এরা মূলত হাজী সেলিমেরই বডিগার্ড। এর আগেও অনেকবার তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে ল্যাবএইডের সামনে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো: ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় এরফান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ। তাকে মারধর ছাড়াও তার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেন তিনি। এরফানের সঙ্গীরা ওয়াসিফের স্ত্রীকে তুলে নেয়ারও হুমকি দেন। এই মামলায় সেলিমপুত্র এরফানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে হাজী সেলিমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, মাদকদ্রব্য, ওয়াকিটকি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত হ্যান্ডকাফসহ নানা অবৈধ দ্রব্য। এই ঘটনায় সেলিমপুত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আরো মামলা দায়ের করা হয়।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/539053