১০ অক্টোবর ২০২০, শনিবার, ১০:৩৮

সাংবাদিকদের গ্রেফতারে উদ্বেগ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ক্রমবর্ধমান হারে গ্রেফতারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারপারসন মারিয়া আরিনা গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় অন্যায্যভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজের অস্তিত্বের ভিত্তি হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানো এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী এবং সাংবাদিকদের রক্ষায় আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

মারিয়া আরিনা বলেন, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ বাংলাদেশে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে গ্রেফতারের জোয়ারে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। করোনা মহামারীর ব্যবস্থাপনাকে সমালোচনা করে ধারাবাহিক কার্টুন প্রকাশের জন্য গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গত মে মাসে আহমেদ কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। ডায়বেটিসের জন্য ইনস্যুলিননির্ভর আহমেদ কবিরের স্বাস্থ্যঝুঁকি গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারীর চলমান পরিস্থিতিতে আহমেদ কবিরসহ আটককৃত অন্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আহমেদ কবিরের মুক্তির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিগুলোর প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক সাড়া মিলতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আহমেদ কবির বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ‘করোনাকালীন জীবন’ শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন তৈরি করেছেন। এসব কার্টুনের কয়েকটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং বঙ্গবন্ধু, জাতীয় সঙ্গীত এবং জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঝুঁকি নিয়ে বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক কার্টুনিস্ট অধিকার নেটওয়ার্কের (সিআরএনআই) সুপারিশের ভিত্তিতে আহমেদ কবির কিশোর গত ৫ অক্টোবর রবার্ট রাসেল সাহসিকতা পদক পেয়েছেন।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/534249