২৪ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ২:৩০

বন্যায় ১৩ দিনে ৮৯ জনের মৃত্যু

কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জে আবার পানি বাড়ার আশঙ্কা

দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ১৩ দিনে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাব এবং যুগান্তরের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে এসব জানা গেছে। জামালপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ২৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

১০ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে পানিতে ডুবে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সাপের কামড়ে আটজন, বজ পাতে সাতজন, আরটিআইয়ে আক্রান্ত হয়ে একজন এবং অন্য কারণে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার বন্যার পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক যুবক এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। অপরদিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাগেশ্বরীতে বন্যার পানি কিছুটা কমতে না কমতেই আবার বাড়তে শুরু করেছে।

 দুই দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজারেও আবার বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ জেলার বন্যার্তদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, হাইজিন পার্সেল, ফুড পার্সেল, তারপলিন, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

সোসাইটির জাতীয় সদর দফতর থেকে বন্যার্তদের জন্য জরুরি সহায়তা হিসেবে প্রথম পর্যায়ে প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার এক হাজার পরিবারের মাঝে টাকা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন জানান, ডেনিশ রেড ক্রসের সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জ জেলায় ৫০০ পরিবার, নেত্রকোনায় ৫০০ পরিবার, জামালপুরে ৭০০ এবং সুনামগঞ্জে ৮০০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, ফুড প্যাকেজ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে গাইবান্ধা জেলার জুবুলি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবা দেয় রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল টিম। মেডিকেল টিমের প্রধান জানান, শুধু রোগীর জন্য প্রেসক্রিপশন নয়, বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে। বন্যা, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার চারটি ওয়ার্ড আবার পানিতে তলিয়ে গেছে। বামনডাঙ্গার তেলিয়ানীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবল বেগে প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

শুক্রবার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করলেও সোমবার রাত থেকে আবার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। কেদার ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, যেভাবে বানের পানি বাড়ছে তাতে ২০১৭ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) : চিলমারীতে বন্যার পানিতে ডুবে আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মধ্যমাচাবান্দা খুচরাপাড়া এলাকার নেছাব উদ্দিন মিস্ত্রির ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৫) ব্রিজে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার ভোরে লোকজন জাল ফেলতে গিয়ে ফিরোজের লাশ পানিতে ভাসতে দেখে।

চিলমারীতে উপজেলা প্রশাসন, ওষুধ কোম্পানি টেরেডেস হোমস ফাউন্ডেশন ও জেঅ্যান্ডটি ল্যাবরেটরিজ ইউনানির উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ফায়ার সার্ভিস চত্বরে ৩০০ বন্যার্তের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ সরকার, থানাহাট ইউপি চেয়ারম্যান রাজ্জাক মিলন প্রমুখ।

রংপুরের জেঅ্যান্ডটি ল্যাবরেটরিজ ইউনানির উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৮৫০ বন্যার্তের মাঝে শুকনা ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনানির মো. ডোনার আতিকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম, কবিরাজ মো. ইসমাইল মোল্লা প্রমুখ।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই সুরমা, চেলা, মরা চেলা, চিলাই, খাসিয়ামারা, কালিউরি, ধূমখালীসহ উপজেলার সবক’টি হাওর, খালবিলে হু হু করে পানি আবার বাড়ছে। শত শত হেক্টর জমিতে সদ্য বোনা আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা চোখে সরষে ফুল দেখছে।

শেরপুর (বগুড়া) : যমুনায় দুইদিন ধরে পানি কমলেও শেরপুরের বাঙালি ও করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নদী ভাঙনও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে বিনোদপুরসহ ২০টি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।

সুঘাট ইউনিয়নের সাহেববাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাংশ (৪৫০ মিটার) বাঙালি নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া যে হারে পানি বাড়ছে তাতে যে কোনো সময় আরেকটি অংশ ধসে যেতে পারে। বাঁধটি ভাঙলে উপজেলার সুঘাট, সীমাবাড়ী, বিশালপুর, ভবানীপুর ইউনিয়নের একাংশসহ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ উপজেলাসহ ২০ গ্রামের বিশাল এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে। হাজার হাজার বিঘা জমির নানা ফসল নষ্ট হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি এলজিইডির নির্মিত হলেও দুয়েকদিনের মধ্যে মেরামতকাজ শুরু হবে। শঙ্কার কোনো কারণ নেই বলেও তিনি দাবি করেন। ভাঙন কবলিত সাহেববাড়ী বাঁধ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ হাবিবুর রহমান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মকবুল হোসেন।

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) : চৌহালীতে বন্যার পানিতে ডুবে মরিয়ম খাতুন (৮) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। চরকুকরী পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম কুকরী কলেজপাড়ার সবজি ব্যবসায়ী বাবু সিকদারের মেয়ে।

মরিয়মের ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বান্ধবীদের সঙ্গে তার বোন বাড়ির পাশে খালে গোসল করতে যায়। এ সময় সে পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।

রংপুর : বন্যার পানি কমলেও গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙনে সাতদিনে ২৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হাত থেকে অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদী জানান, তিস্তার ভাঙনে বাঁধ, আবাদি জমিসহ ২৫ পরিবারের বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে।

টাঙ্গাইল : বন্যাকবলিত প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। সরকারি দফতর থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাবার স্যালাইন রয়েছে জানানো হলেও সরেজমিনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। শুধু ইউনিয়ন পরিষদে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে দায় এড়াচ্ছে সিভিল সার্জন অফিস।

দুর্গম চরাঞ্চল ও পানিবন্দি মানুষের কাছে সহায়তা বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও পৌঁছায়নি। কাকুয়া ইউনিয়নের ওমরপুরের পল্লী চিকিৎসক জহিরুল জানান, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা করছেন। ডায়রিয়ায় করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারিভাবে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যবলেট সরবরাহ করা হলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান জানান, পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন মজুদ আছে। বন্যাকবলিত উপজেলা প্রতি ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ২০ হাজার খাবার স্যালাইন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিম কাজ করছে। কোনো সমস্যা হবে না বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) : ভূঞাপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার দুস্থ পরিবারের মধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পৌর এলাকার বামনহাটা, গাবসারা ইউনিয়নের জয়পুর-পুংলী পাড়া, অর্জুনা ইউনিয়নের শুশুয়া, বাসুদেব কোলে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খন্দকার পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে তিন কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবণ, এক কেজি গোল আলু, এক কেজি চিড়া, এক কেজি গুড় ও আধা লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হয়।

কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : কালিহাতীতে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল- মুড়ি, চিড়া, গুড়, দিয়াশলাই, মোমবাতি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন ইত্যাদি।

এ সময় কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম নুরুল আমীন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ ।

দেওয়ানগঞ্জ (জামালগঞ্জ) : মঙ্গলবার ব্যবসায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল- চাল, ডাল, আলু, তেল, স্যালাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন মোল্লা, সমিতির উপদেষ্টা মহিবুল ইসলাম যুবরাজ, সাধারণ সম্পাদক মাহ আলম, সহ-সভাপতি কাশেম খান, সাংগঠনিক জাহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দাস, প্রচার সম্পাদক মনজু মিয়া প্রমুখ।

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : তাহিরপুরের কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ বন্যাকবলিত পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া, লাকমা, আমতৈল, খলিশাজুড়ি, গোলকপুর, বিন্নারবন্দ, লেদারবন্দ, সাদেরখলা, কাঞ্চনপুর, ধরুন, পাগলপুর, সোনাপুর, কুকুরকান্দিসহ একাধিক গ্রামে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় গ্রুপের সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক হাজি মোশারফ হোসেন তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন, সাবেক চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তিকর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : গোয়ালন্দ উপজেলার বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজবাড়ী জেলা আনসার ও ভিডিপি। সোমবার বিকালে ৩০০ বন্যার্ত পরিবারকে তারা ত্রাণ সহায়তা দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট আহসানউল্লাহ, জেলা কর্মকর্তা কুসুম কুমার রায়, গোয়ালন্দ উপজেলা কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমিন, গোয়ালন্দ উপজেলা আনসার কোম্পানি ইমদাদুল হক পলাশ, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার সেলিম রেজা প্রমুখ। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল- মুড়ি, চিড়া, গুড়, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইন, মোম ইত্যাদি।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/202496/