১৯ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ১১:২৬

লেভেল ক্রসিংয়ে মৃত্যুফাঁদ

১০৮৫টিতে নেই গেটকিপার : ঝুলছে রেলের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি

রাজশাহী থেকে ঢাকামুখি পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিবেগ ছিল তখন ৬০ কিলোমিটারের উপরে। সামনে একটা বাঁক পেরিয়ে অরক্ষিত লেভেলক্রসিং। এ কারণে সামনে তেমন কিছুই দেখা যায় না। বাঁক পেরিয়ে ট্রেনের চালক হঠাৎ সামনে দেখেন একটি মাইক্রেবাস লেভেল ক্রসিংয়ের রাস্তা ধরে সামনের দিকে আসছে। চালক হর্ন বাজিয়ে চলছেন। ভাবলেন, মাইক্রোবাসটি হয়তো দাঁড়িয়ে যাবে। কিন্তু লেভেলক্রসিং থেকে কিছুদূরে থাকতে বুঝলেন মাইক্রেবাসটি দাঁড়ায় নি। গতি নিয়েই পারাপারের চেষ্টা করছে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি মাইক্রেবাসটিকে ধাক্কা দেয়। ইঞ্জিনের সামনে অংশে আটকে যায় হাইয়েস ব্রান্ডের মাইক্রোবাসটি। চালক তখন ইমারজেন্সী ব্রেক কষে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ট্রেনটি বেশ কিছুদুর এগিয়ে যায়। ট্রেনটি যখন দাঁড়ায় ততোক্ষণে সব শেষ। মাইক্রোবাসের ভেতরে দলিত হয়ে বর-কনেসহ বরযাত্রীদের সবাই রক্তাক্ত। কারো কারো নিথর দেহ জানালা ভেঙ্গে বাইরে ঝুলে গেছে। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। উদ্ধার করেন মাইক্রোবাসের যাত্রীদের। ট্রেন চালকের সাথে কথা বলে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে গত ১৫ জুলাই সোমবার ভয়াবহ দুর্ঘটনার এভাবেই বর্ণনা দিয়েছেন একজন। ওই দুর্ঘটনায় নবদম্পতিসহ প্রাণ হারান মাইক্রোবাসের ১২ জন আরোহী। নিমিষেই বিয়ের সব আনন্দ ¤øান হয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মাস দুয়েক আগেও একই লেভেলক্রসিংয়ে ঢাকা-কলকাতার মৈত্রী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় নিহত হয় দুজন। সাথে দুটি গরুও মারা যায়।

গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট এলাকায় বাসের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান দুজন। তারও আগে ২০১৪ সালের ১ আগস্ট ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বরযাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লেগে প্রাণ হারান ১১ জন। রেলওয়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা লেভেলক্রসিংগুলোতে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি বছর রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি ঘটে, তার সিংহভাগই অবৈধ লেভেলক্রসিংয়ে।

সারা দেশে এ ধরনের লেভেলক্রসিং আছে ১ হাজার ৮৫টি। এর কোনোটিতেই গেটকিপার নেই। শুধু পারাপারের পথে ‘ঝুঁকিপূর্ণ লেভেলক্রসিং’ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকে। সেদিকে অবশ্য কেউ খেয়াল করে না। এ কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝরছে প্রাণ। অবশ্য ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংগুলো ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তারা জানান, জনবলের অভাবে অনেক বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে গেটকিপার রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য স্বয়ংক্রিয় লেভেল ক্রসিং ব্যবহারের পরিকল্পনা চলছে। বৈধ-অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলো পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, বৈধ-অবৈধ লেভেল ক্রসিং পুনর্বাসনে রেলওয়ের দুটি জোনে পৃথকভাবে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর আওতায় পূর্বাঞ্চলে ৩২৮টি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে গেটকিপার নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান। এগুলোর মধ্যে বৈধ লেভেল ক্রসিং আছে ১৮২টি, বাকি ১৪৬টি অবৈধ। এ পর্যন্ত ৮১৭ জন গেটকিপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে, যাদের ২৮৬টি লেভেল ক্রসিংয়ে পদায়ন করা হয়েছে। আরো ২২১ জনকে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান।

অন্যদিকে পশ্চিমাঞ্চলে ৩২৬টি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ৮৫১ জন গেটকিপার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, যার মধ্যে ৬৩৯ জনের পদায়নও হয়ে গেছে। বাকি পদগুলোতেও নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সারা দেশে সহ¯্রাধিক অবৈধ লেভেল ক্রসিং গড়ে উঠেছে। এগুলো বানিয়েছে এলজিইডি, সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর। রেললাইনে লেভেল ক্রসিং বানাতে হলে রেলওয়ের অনুমোদন লাগে। এছাড়া নির্দিষ্টহারে ‘ডিপোজিট মানি’ জমা দিতে হয়। কিন্তু এসব সরকারি সংস্থা নিজেদের ইচ্ছামতো রেলওয়েকে না জানিয়েই অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলো বানিয়েছে।

রেলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারি। কিন্তু বেশির ভাগই যেহেতু সরকারি সংস্থা, সেহেতু মামলার ঝামেলায় আমরা জড়াতে চাই না। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আসলে তেমন কিছু করারও নেই।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূসম্পত্তি শাখার তথ্য বলছে, রেলপথে সবচেয়ে বেশি অবৈধ লেভেল ক্রসিং বানিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সারা দেশে ৪৫২টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং আছে তাদের। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদের ৩৬৩, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ১১, পৌরসভার ৭৯, সিটি করপোরেশনের ৩৪, জেলা পরিষদের ১৩, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৩, বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ১, জয়পুরহাট চিনিকলের ১, ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের ৩, অন্যান্য ৯২ এবং রেলওয়ে মালিকানা জানতে পারেনি এমন অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা আরো ৩৩টি। অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলোর সিংহভাগই গড়ে উঠেছে রেলের পূর্বাঞ্চলে। এ সংখ্যা ৮১১।

অন্যদিকে, জনবলের অভাবে অনেক বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ের দুই জোনে (পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল) বৈধ লেভেল ক্রসিং আছে ১ হাজার ৪১২টি। এর মধ্যে গেটকিপার আছে মাত্র ৪৫৬টিতে। বাকিগুলোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। বৈধ, কিন্তু গেটকিপার নেই, এমন লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী) রেলওয়েতে বেশি। ৯৭৮টি বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলে গেটকিপার আছে মাত্র ২২১টিতে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলে (চট্টগ্রাম) ৪৩৪টির মধ্যে গেটকিপার আছে ২৪৫টি লেভেল ক্রসিংয়ে।


জলাশয়গুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে
সমুদ্রসম্পদ আহরণ করে শক্তিশালী হবে অর্থনীতি
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা মিঠাপানি ছাড়াও বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। এখন এ সমুদ্র সম্পদ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। মাছ ছাড়াও সমুদ্রে প্রায় ৪৩০ প্রকার সম্পদ রয়েছে। এ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশ সম্পদশালী এবং অর্থনীতি শক্তিশালী করা হবে। ইতোমধ্যে বøু ইকোনমি নীতিমালাও করা হয়েছে। এছাড়া মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের আমিষের চাহিদা পূরণে দেশের জলাশয়গুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’র উদ্বোধনকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় গণভবনের লেকে পোনা অবমুক্ত করে এ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। ‘মাছ চাষে গড়ব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেøাগান নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বøু ইকোনমি নীতিমালা করেছি। সমুদ্র সম্পদ আহরণে মাছ ছাড়াও সমুদ্রে আরও যে যে সম্পদ আছে সেগুলো কীভাবে কাজে লাগাতে পারি সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছি। গবেষণার জন্য একটি জাহাজ কিনেছি এবং আরেকটি জাহাজ ভাড়া করার চিন্তাভাবনা করছি। যে জাহাজে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, গভীর সাগরে টোনা ফিশসহ মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। গভীর সমুদ্রে প্রায় ৪৩০ প্রকার সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ আহরণ করে আমরা দেশকে আরও সম্পদশালী করতে পারব, এতে অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের জন্য বেশ কয়েকজন লাইসেন্স চেয়েছে। সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি, কীভাবে তাদের অনুমতি দেওয়া যায়। দেশের আমিষের চাহিদা মেটানোর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের আমিষের চাহিদা পূরণে জলাশয়, পুকুর, খাল, বিল রয়েছে সেগুলোকে আমরা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে করে আমাদের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেতে পারে। বাড়ির আশপাশের ডোবা, পুকুর ও জলাশয়কে ফেলে না রেখে মাছ চাষ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা খাদ্যের চাহিদা পূরণ করেছি। এখন দৃষ্টি পুষ্টির দিকে। বিল, ঝিল, হাওর, বাওড়, নদী নালায় পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করতে হবে। মাছের চাইতে এত নিরাপদ আমিষ আর নেই।

সরকারের শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নদী মাতৃক বাংলাদেশে আমরা নদীগুলোকে ড্রেজিং করছি যাতে করে এর প্রবাহ এবং নাব্যতা বৃদ্ধি পায়। আর পানির প্রবাহ বাড়লে মাছের উৎপাদন বাড়বে এবং একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যেকোন দুর্যোগের মোকাবেলা আরো সহজ হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাছ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে তা বিদেশেও রফতানি করা যায়। এ জন্য মাছের উৎপাদন বাড়ানোর এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন মৎস্য বিদেশে রফতানি করার জন্য ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ল্যাবরেটরিগুলো করা হয়েছে। মান ঠিক রাখতে না পারলে মাছ রফতানি কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে।
মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদনে আমরা তৃতীয় স্থানে রয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে আমরা যেন প্রথম স্থান লাভ করতে পারি, মিঠা পানির মৎস্য চাষে আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রথম স্থান অর্জন করার। আর সেকারণে এখন থেকেই সরকার খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

সরকার প্রধান বলেন, জলমহালে প্রকৃৃত জেলেদের অধিকার নিশ্চিত করতে নতুন জলমহাল নীতিমালা, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। ‘জাল যার জলা তার’ আমরা এর ভিত্তিতে জেলেদের বিভিন্ন জলাশয় বরাদ্দ দিচ্ছি। ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’র চিরায়ত পরিচয় ধরে রাখতে প্রাকৃতিক উৎসগুলো রক্ষায় সরকার সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ও বনাঞ্চল রক্ষা, পানিসম্পদের উন্নয়ন ও নদীতে নাব্যতা রক্ষার জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মধুমতি, গড়াই, যমুনা, বুড়িগঙ্গা, কুশিয়ারা প্রভৃতি নদীতে নাব্যতা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মধুমতি ও গড়াই নদী খননের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে লবণাক্ততা হ্রাস পেয়ে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সুন্দরবন এবং আশপাশের জীববৈচিত্র রক্ষা পাচ্ছে।

সামনে কোরবানীর ঈদ চলে আসায় প্রধানমন্ত্রী, কোরবানীর পশু কোন নিদিষ্ট জায়গায় কোরবানী করে এর চামড়া, হাড় এমনকি রক্ত-যেগুলো বিভিন্ন কাজে লাগে সেগুলোর সংগ্রহ নিশ্চিত করা যায় কিনা সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণেও মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষ, রেণু উৎপাদনসহ মৎস্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জাতীয় মৎস্য পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কার হিসেবে ৮ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ পদক ও ৫০ হাজার টাকার করে চেক এবং ৯ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য পদক ও ৩০ হাজার টাকার করে চেক প্রদান করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইসুল আলম মন্ডল, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোহম্মদ রাশিদুল হক এসময় উপস্থিত ছিলেন।

https://www.dailyinqilab.com/article/221246